পৃথিবীর সবচেয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেশের কথা চিন্তা করলে সবার আগে মনে আসে সুইজারল্যান্ড কিংবা জাপানের নাম। কিন্তু এনভায়রনমেন্টাল পারফরমেন্স ইনডেক্স ২০২৪-এর রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন দেশের তালিকার প্রথম তিনেই নেই দেশ দুটির নাম। ঝকঝকে পরিষ্কার একটি দেশে বাস করতে কে না চায়। এমন দেশ যা জীবনমানকে প্রভাবিত করে আপনার আয়ু বাড়িয়ে দেবে আরও অনেকদিন।
সম্প্রতি এনভায়রনমেন্টাল পারফরমেন্স ইনডেক্স জানিয়েছে ২০২৪ সালের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন দেশগুলো সম্পর্কে। যা বিশ্বের ১৮০টি দেশের পরিচ্ছন্নতা এবং পরিবেশগত অবস্থা ইপিআই স্কোর দ্বারা পরিমাপ করে। ৪০টি প্যারামিটার ইপিআই পরিমাপ করে, যা বায়ুর গুণমান, স্যানিটেশন, জল সম্পদ, বন ও জীববৈচিত্র্য এবং বাসস্থানসহ যা ১১টি বিভাগে বিস্তৃত।
আয়তনের দিক থেকে ইউরোপের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র জার্মানি। বিশ্বের সবথেকে পরিষ্কার দেশের তালিকায় তৃতীয় দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে জার্মানি। ইউরোপের প্রধান শিল্পোন্নত দেশ হলেও জার্মানি বিশুদ্ধ পানি এবং বিশুদ্ধ বায়ুর কারণে তারা নিজেদের জন্য শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে।
আপনি জেনে অবাক হবেন যে, জার্মানিতে নগরায়নের হার অনেক বেশি এবং তা নিয়মিত পরিসরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে দেশের পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে তারা অনেক বেশি অগ্রসর ভূমিকা পালন করছে। পরিচ্ছন্ন দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লুক্সেমবার্গ।
এটি স্যানিটেশন, পানীয় জলের গুনমান, বজ্র নিরসন, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর ভর করে ভালো স্কোর অর্জন করেছে। মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে লুক্সেমবার্গ বিশ্বের সবথেকে ধনী দেশ। লুক্সেমবার্গ এর জনসংখ্যা যথেষ্ট বেশি।
এরপরেও লুক্সেমবার্গ বজ্র ব্যবস্থাপনা, বিশুদ্ধ পানির মান এবং পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করেছে। সব দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এস্তোনিয়া। এটি বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত ইউরোপের ছোট্ট একটি দেশ। এস্তোনিয়া বিশ্বের সবথেকে পরিষ্কার দেশের তকমা পেয়েছে। সবুজ পরিবেশ, মিঠা পানির উৎস, বিশুদ্ধ বাতাস, বিশুদ্ধ পানির কারণে সর্বোচ্চ স্থান অর্জন করেছে।