বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম ১৫টি দেশ

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩

পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে যা আমাদের এই ঢাকার একটি ছোট মহল্লার সমান। আমরা আজকে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম ১৫টি দেশ নিয়ে জানার চেষ্টা করবো। যেই ১৫টি দেশের সবগুলির মোট আয়তন মিলে বাংলাদেশের কোন একটি ছোট শহরের চাইতেও ছোট হবে।

পৃথিবীর ছোট আয়তনের দেশটির কথা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু এই ছোট আয়তনের দেশটির কাছাকাছি আয়তনের আরও অনেকগুলি দেশ রয়েছে দুনিয়ায়।

দেশগুলি আয়তনে ছোট হলেও মোটামুটি সবগুলি দেশ অত্যন্ত শক্তিশালী ও স্বাধীন দেশ। ক্ষুদ্র এই দেশগুলি বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের অর্থনীতি, রাজনীতি এবং মানবাধিকার মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে।

আমাদের আলোচিত ১৫টি দেশের মধ্যে একটি দেশ ছাড়া অন্য সবগুলি দেশ জাতিসংঘের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভ করেছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র ১৫টি দেশ
ভ্যাটিকান সিটি

১। ভ্যাটিকান সিটি (আয়তন-০.২ বর্গ মাইল)

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম ১৫টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে ছোট দেশ হলো ভ্যাটিকান সিটি। তবে একথা ঠিক যে, বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ হলেও ধারণা করা হয়ে থাকে ধর্মের দিক থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী রাষ্ট্র ভ্যাটিকান সিটি।

ভ্যাটিকান সিটিকে মনে করা হয় রোমান ক্যাথলিক গির্জার আধ্যাত্মিক কেন্দ্র এবং পোপের আবাসিক কেন্দ্র। ভ্যাটিকান সিটির অফিসিয়াল নাম- দ্য হোলি সি। ভ্যাটিকান সিটি ইতালীর রাজধানী রোমে অবস্থিত।

ভ্যাটিকান সিটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৮০০ জন। ভ্যাটিকান সিটির নাগরিকদের মধ্যে কেউই দেশটির স্থানীয় বা স্থায়ী বাসিন্দা নয়। ধরে নেয়া হয় সবাই কাজের জন্য এখানে এসেছেন।

ইতালির সাথে ল্যাটরান চুক্তির মাধ্যমে ১৯২৯ সালে ভ্যাটিকান সিটি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নিজস্ব অস্তিত্ব অর্জন করে। সরকার প্রধান হিসেবে দেশটি পরিচালনা করেন পোপ। ভ্যাটিকান সিটি নিজেদের ইচ্ছায় জাতিসংঘের সদস্যপদ গ্রহণ করেনি।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র ১৫টি দেশ
মোনাকো

২। মোনাকো (আয়তন-০.৭৭ বর্গ মাইল)

মোনাকো নামের ক্ষুদ্র দেশটির অবস্থান দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রান্স এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্যেবর্তী অঞ্চলে। দেশটিতে একটি মাত্র শহর রয়েছে আর হলো মন্টি কার্লো যা মোনাকোর রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

দেশটি অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ। মূলত দেশটি একটি রিসোর্ট অঞ্চল হিসেবে বিখ্যাত। দেশটি বিশ্বের বড় বড় ধনী ব্যক্তিদের জন্য রিসোর্ট অঞ্চল তৈরি করার জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে।

কাসিনো, ছোট ছোট সমুদ্র সৈকত ঘেরা এ দেশটি বিনোদনের জন্য বিখ্যাত। পৃথিবীর বড় বড় ধনী ব্যক্তিরা ছুটি কাটানো এবং আনন্দ ভ্রমণের জন্য সাধারণত এই দেশে এসে থাকেন।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র ১৫টি দেশ
নাউরু

৩। নাউরু (আয়তন-৮.৫ বর্গ মাইল)

পৃথিবীর ক্ষুদ্র দেশগুলির মধ্যে অন্যতম  নাউরু ১৯৬৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার কব্জা থেকে স্বাধীন হয়। নাউরু দেশটির অবস্থান ঠিক ওশেনিয়া অঞ্চলে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপে।

আয়তনের দিক দিয়ে নাউরু বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। দেশটির লোকসংখ্যা প্রায় ১২,০০০ জন। নাউরু অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি দেশ যা বিশ শতকের গোড়ার দিকে সমৃদ্ধ ফসফেট খনির জন্য দেশটি বিখ্যাত।

নাউরু খুব সুন্দর একটি দেশ। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের দেশ হিসেবে এবং সাগরবেষ্টিত হওয়ার কারণে এই সুন্দর দেশটিতে পর্যটকেরা সারা বছরই যাতায়াত করে থাকেন।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র ১৫টি দেশ
টুভালু

৪। টুভালু (আয়তন-১০ বর্গ মাইল)

টুভালু নামের ক্ষুদ্র ও ছিমছাম দেশটির অবস্থান দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। টুভালু দেশটি নয়টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি ক্ষুদ্র দেশ হিসেবে পরিচিত।

আশ্চর্যের বিষয় হলো এসব দ্বীপ এলাকায় পানির স্রোতের কোন অস্তিত্ব নেই এবং কোন নদী নেই। দ্বীপগুলো প্রবাল প্রাচীর দিয়ে ঘিরে থাকা বিধায় দেশটিতে বিশুদ্ধ খাবার পানির নিরাপদ কোন উৎস্য নেই।

এখানকার মানুষ বিভিন্ন নালা থেকে কিংবা গর্ত খুড়ে বৃষ্টির পানি ধরে রাখেন এবং খাবার পানি হিসেবে পরবর্তীতে ব্যবহার করে থাকেন। টুভালুতে বিশুদ্ধ পানি দীর্ঘ সময় ধরে রাখার জন্য অনেক ধরণের ব্যবস্থা চালু আছে।

টুভালুর জনসংখ্যা প্রায় ১২,৫০০ জন। এরা ৯৯ শতাংশ পলিনেশিয়ান। এই ছোট দেশের রাজধানী ফুনাফুতি যা টুভালুর জন্য একটি বৃহত্তম শহর হিসেবে পরিচিত। টুভালু অফিসিয়াল ভাষা টুভালুয়ান এবং ইংরেজি।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র ১৫টি দেশ
সান মেরিনো

৫। সান মেরিনো (আয়তন-২৪ বর্গ মাইল)

পৃথিবীর ছোট দেশগুলির মধ্যেসান মেরিনো  অন্যতম। সান মেরিনো দেশটি পুরোপুরি ইতালি দ্বারা বেষ্টিত একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র। এজন্য অনেক লোক ইতালিকে তিন দেশের সমন্বয় রাষ্ট্র হিসেবেও বলে থাকে।

চতুর্থ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত এই দেশটি ইউরোপের অতি প্রাচীনতম দেশ হিসাবে বহুদিন যাবত দাবি করে আসছে। সান মেরিনোর জনসংখ্যা প্রায় ৩৩,০০০ জন। দেশটি খুবই সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী এই দেশটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র ১৫টি দেশ
লিচটেনস্টাইন

৬। লিচটেনস্টাইন (আয়তন-৬২ বর্গ মাইল)

ইউরোপীয় ছোট দেশগুলির মধ্যে আরেকটি ছোট্ট দেশ হল লিচটেনস্টাইন। লিচটেনস্টাইন সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চল আল্পস-এর প্রায় ৬২ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে অবস্থিত।

এর মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩৭,০০০ জন। এই ছোট দেশটির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে রাইন নদী। ১৮০৬ সালে বিশ্বের একটি স্বাধীন ক্ষুদ্র দেশ হিসেবে লিচটেনস্টাইন পরিচিতি লাভ করে।

১৮৮৮ সালে লিচটেনস্টাইন তার দেশের সেনাবাহিনীকে বিলুপ্ত করে দেয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দেশটি কারো পক্ষে অবস্থান না নিয়ে নিরপেক্ষ ও অবিচ্ছিন্ন দেশ হিসেবে থেকেছে।

লিচটেনস্টাইনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত। বংশগত সাংবিধানিক রাজতন্ত্র দেশটিতে বহুদিন যাবত প্রচলিত রয়েছে। এই ছোট দেশটি একজন প্রধানমন্ত্রী দ্বারা পরিচালিত।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র ১৫টি দেশ
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ

৭। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ (আয়তন-৭০ বর্গ মাইল)

প্রশান্ত মহাসাগরের ৭,৫০,০০০ বর্গ মাইল এলাকা জুড়ে অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম ছোট দেশ মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ। বিশাল জলরাশির মাঝে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ রাষ্ট্রটি পাঁচটি প্রধান দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে।

মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ রাষ্ট্রটি হাওয়াই অঞ্চল এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। ৭০,০০০ জনসংখ্যার মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ১৯৮৬ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র ১৫টি দেশ
সেন্ট কিটস এবং নেভিস

৮। সেন্ট কিটস এবং নেভিস (আয়তন-১০৪ বর্গ মাইল)

মাত্র ১০৪ বর্গমাইলের সেন্ট কিটস এবং নেভিস দেশটি ১৯০৩ সালে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৫০,০০০ জন। সেন্ট কিটস এবং নেভিস দেশটি বর্তমান ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অংশবিশেষ।

সেন্ট কিটস এবং নেভিস গঠিত হয়েছে মূলত দুটি প্রাথমিক দ্বীপের সমন্বয়ে। এর মধ্যে সেন্ট কিটস এবং নেভিস। পুয়ের্তো রিকো এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো-এর মধ্যবর্তী ক্যারিবিয়ান সাগর অঞ্চলে অবস্থিত সেন্ট কিটস এবং নেভিস। আয়তন এবং লোকসংখ্যার দিক দিয়ে আমেরিকার বৃহত্তম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র ১৫টি দেশ
সিসিলি

৯। সিসিলি (আয়তন-১০৭ বর্গ মাইল)

সিসিলি একটি ক্ষুদ্র দেশ যা ১৯৭৬ সালে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। দেশটির মোট জনসংখ্যা প্রায় ৮৮,০০০ জন। ভিক্টোরিয়া হল সেশেলসের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং দেশটির বৃহত্তম শহর হিসেবে পরিচিত।

সিসিলি দেশটি মাদাগাস্কারের উত্তর-পূর্বে এবং আফ্রিকার মূল ভুখন্ড থেকে প্রায় ৯৩২ মাইল পূর্বে অবস্থিত। ১০০ টিরও বেশি ক্রান্তীয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে সিসিলি গঠিত। দেশটি আফ্রিকান একটি দেশ এবং আফ্রিকার দেশগুলির মধ্যে সবথেকে ছোট দেশ হিসেবে বিবেচিত।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র ১৫টি দেশ
মালদ্বীপ

১০। মালদ্বীপ (আয়তন-১১৫ বর্গ মাইল)

দক্ষিন এশিয়ার একটি ছোট দেশ মালদ্বীপ । ভারত মহাসাগরের প্রায় ২০০ টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত মালদ্বীপ দেশটি একটি দ্বীপ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। সাগর বেষ্টিত খুবই সুন্দর ও মনোরম এই দেশটিতে প্রায় ৪,০০,০০০ জন মানুষ বসবাস করে।

পর্যটন খাত মালদ্বীপের প্রধান আয়ের উৎস। তবে বর্তমানে গার্মেন্টস শিল্পে মালদ্বীপ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তাছাড়া সাগর থেকে মৎস্য আহরণ মালদ্বীপের অন্যতম আয়ের উৎস।

১৯৬৫ সালে মালদ্বীপ যুক্তরাজ্যের কব্জা থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। তবে বর্তমানে এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির জন্য প্রধান ও একমাত্র বিপদের কারণ হলো জলবায়ুর পরিবর্তন। মালদ্বীপ পানির উপর স্তর থেকে মাত্র ৭.৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।

মালদ্বীপ দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের পানির স্তরের উচ্চতা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে যে কোন সময় সমুদ্রে বিলিন হয়ে যাবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র ১৫টি দেশ
মাল্টা

১১। মাল্টা (আয়তন-১২২ বর্গ মাইল)

পৃথিবীর ছোট দেশগুলির মধ্যে অন্যতম মাল্টা নামের ছোট দেশটি সরকারীভাবে রিপাবলিক অফ মাল্টা নামে পরিচিত। মাল্টা দেশটির রাজধানী ভ্যালেটা। দক্ষিণ ইউরোপে অবস্থিত মাল্টা একটি দ্বীপ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত।

মাল্টা আয়তনের তুলনায় একটি জনবহুল দেশ। মাল্টার জনসংখ্যা প্রায় ৪,৮০,০০০ জন। মাল্টা সিসিলি দ্বীপ থেকে প্রায় ৫৮ মাইল দক্ষিণ দিকে এবং তিউনিসিয়া থেকে ৫৫ মাইল পূর্বে ভূমধ্যসাগরের অংশে অবস্থিত একটি ছোট আয়তনের দেশ।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র ১৫টি দেশ
গ্রেনাডা

১২। গ্রেনাডা (আয়তন-১৩৩ বর্গ মাইল)।

ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের একটি ক্ষুদ্র দেশ গ্রেনাডা। ১৯৭৪ সালের ৭ ফ্রেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের দখল থেকে গ্রেনাডা স্বাধীনতা লাভ করে। গ্রেনাডার রাজধানি সেন্ট জর্জ। গ্রেনাডার মোট জনসংখ্যা প্রায় ১,১০,০০০ জন।

স্বাধীনতা লাভ করার পর পরই দেশটি পুনরায় মার্কিন বাহিনীর দখলে চলে গিয়েছিলো। ১৯৮৩ সালে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর দেশটিতে নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনের পর দেশটিতে স্থিতিশীলতা আসে এবং গ্রানাডার সংবিধান পুনরায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

দেশটি খুবই সুন্দর হওয়ায় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের দেশ হিসেবে বিবেচিত।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র ১৫টি দেশ
সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস

১৩। সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস (আয়তন-১৫০ বর্গ মাইল)

সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন ক্যারিবীয় সাগরের ক্ষুদ্রতম অ্যান্টিল দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র। দেশটি ৩৮৯ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে বিস্তৃত।

সমগ্র সেন্ট ভিনসেন্ট দ্বীপ এবং গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জের উত্তরের দুই-তৃতীয়াংশ নিয়ে গঠিত দেশটির রাজধানী কিংসটাউন। দেশটির প্রধান ভাষা ইংরেজি। সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস ব্রিটিশদের সাম্রাজ্যবাদী দখল থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র ১৫টি দেশ
বার্বাডোস

১৪। বার্বাডোস (আয়তন-১৬৬ বর্গ মাইল)

বার্বাডোসকে বলা হয় উড়ন্ত মাছের দেশ। আরও একটি কথা জনমুখে প্রচলিত আছে, বার্বাডোস কখনো ঘুমায় না। বাস্তবেও বিষয়টি তাই। প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, বিভিন্ন উৎসব, নাইট লাইফ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আনাগোনার কারণে এ দেশটি সবসময়ই প্রাণ চঞ্চল থাকে।

মূলত মানুষের চলাফেরা এবং আনাগোনার কারণেই দেশটি জেগে থাকে। বার্বাডোস ভেনিজুয়েলার উত্তরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের পূর্বতম অংশে অবস্থিত।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম ১৫টি দেশের মধ্যে অন্যতম বার্বাডোস-এর রাজধানী ব্রিজটাউন। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ২,৯০,০০০ জন।

বার্বাডোসের প্রধান রাষ্ট্রীয় ভাষা ইংরেজি। বার্বাডোসের প্রধান ধর্ম হচ্ছে প্রোটেস্ট্যান্ট বা রোমান ক্যাথলিক। দেশটির রাষ্ট্রীয় মুদ্রার নাম বার্বাডিয়ান ডলার। তবে মার্কিন ডলারেও প্রচলন আছে এখানে।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র ১৫টি দেশ
অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুডা

১৫। অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুডা (আয়তন-১৭১ বর্গ মাইল)

অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুডা আটলান্টিক মহাসাগরের অন্তর্ভুক্ত পূর্ব ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত। এর রাজধানী সেন্ট জন’স। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ১,০৩,০০০ জন। অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুডা এর রাষ্ট্রীয় ভাষা ইংরেজি।

পাশাপাশি এরা অ্যান্টিগুয়ান ক্রিওল ভাষায় কথা বলে থাকে। পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম ১৫টি দেশের মধ্যে অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুডা দেশটি ব্রিটিশ কমনওয়েলথ এর অন্তর্ভুক্ত থাকার কারণে “ল্যান্ড অফ ৩৬৫ বিচ” নামেও পরিচিত।

তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com