শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন

পৃথিবীর শেষ রাস্তা, একা যাওয়া নিষেধ

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে কত কিছুই তো অজানা! যেমন এ যে পৃথিবী শুরুই বা কোথায় আর শেষই বা কোথায়। এ রকম নানা বিষয় এখনও অনেকের অজানা।

আবার জানা গেলেও সেই তথ্যটির যে কতখানি সত্যতা রয়েছে তা নিয়েও থেকে যায় ধোঁয়াশা। তেমনই পৃথিবীর শেষ রাস্তা বলেও একটি জায়গা রয়েছে।

বলা হয়ে থাকে, এর পর নাকি আর কোনো রাস্তাই নেই। দীর্ঘ এক পথ। আলো-অন্ধকারে মোড়া। বরফে ঢাকা। দীর্ঘ নিঃসঙ্গ ভয়বিহ্বল এক পথ। রাস্তাটিকে মুখে বলা হয়ে থাকে ‘দ্য লাস্ট রোড অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ তবে এর আসল নাম E 69 Highway। নরওয়ের উত্তরমেরুর সঙ্গে এই রাস্তাটি যুক্ত রয়েছে।

E 69 হাইওয়াতে যেতে গেলে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলো না মানলে সেখানে একা যাওয়া নিষেধ। প্রথমত পৃথিবীর শেষ পথটিতে একা যাওয়া বারণ। E 69-র অভিনব ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এখানে কাউকে একা যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। এখানে একদিকে যেমন ভয়ানক গতিতে বাতাস বয় তেমনই এখানে ঠান্ডা।

এখানকার আবহাওয়া একেবারে অনিশ্চিত। গ্রীষ্মকালেও এখানে বরফ পড়ে। আবার সমুদ্র উপকূল সংলগ্ন হওয়ায় যে কোনো মুহূর্তে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে যায়। আর শীতকালে এ রাস্তা একেবারেই বন্ধ থাকে। অতিরিক্ত তুষারপাত বা বৃষ্টি হলে এখানে গাড়ি চালানো ভয়ানক বিপজ্জনক। ঝড় এখানে বলে কয়ে আসে না। আর এই অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার কারণেই এখানে কাউকে একা যেতে দেওয়া হয় না।

ছবির মতো ল্যান্ডস্কেপ। শীতকালে তাপমাত্রা মাইনাস ২৬ থেকে মাইনাস ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। এমনিতেই এখানে বছরের ছয় মাস দিন আর ছয় মাস রাত। সারা পৃথিবী থেকে মানুষ নর্থপোল দেখতে আসেন। এ যেন এক ভিন্নতর জগৎ।

অস্তমান সূর্য এবং মেরুজ্যোতির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন মানুষ। গাঢ় নীল আকাশে সবুজ এবং গোলাপি আলোর খেলা! আর এসবই দেখা যেতে পারে এই ই সিক্সটিনাইন হাইওয়ে ধরলে। কিন্তু মুশকিল হল, এখানেই পৃথিবীর শেষ। মানে, এরপর আর রাস্তা নেই।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com