জাতীয় বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসকে (পিআইএ) এবার বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান সরকার। সেই সঙ্গে আইএমএফের ঋণের শর্ত হিসেবে দেশটির বিভিন্ন বিমানবন্দরের পরিচালনা কার্যক্রমে বাইরের জনবল ব্যবহার করবে বা আউটসোর্স করবে পাকিস্তান সরকার।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বেসরকারিকরণ-বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
পাকিস্তানে এখন বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে, এবার সেই তালিকায় পিআইএ সংস্থাটিকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারিকরণ-বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি সংসদে আইন সংশোধনও করা হয়েছে।
এর আগে পিআইএ ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের মালিকানাধীন নিউইয়র্ক শহরের রুজভেল্ট হোটেলকে দীর্ঘ মেয়াদে লিজ দেওয়া হয়। বিষয়টি দেখভাল করার জন্য একজন আর্থিক বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ দেওয়া সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।
পাইলটদের লাইসেন্স দেওয়া-সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির কারণে বর্তমানে পিআইএর ব্রিটেনগামী ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। পাকিস্তান আশা করছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই উড়ান আবার চালু করা যাবে।
২০২০ সাল থেকেই ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যে পিআইয়ের উড়ান বন্ধ। পিআইএর পাইলটরা ভুয়া লাইসেন্স দিয়ে বিমান পরিচালনা করছেন—এ অভিযোগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিমান নিরাপত্তা সংস্থা ইউরো অঞ্চলে পিআইএর বিমান চলাচলের অনুমতি বাতিল করে।
বছরের পর বছর ধরে লোকসান দেওয়ার কারণে শত শত কোটি রুপির ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পিআইএ। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়ার পর পাকিস্তান পিআইএকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
দীর্ঘ দর-কষাকষির পর চলতি বছরের জুনে পাকিস্তান আইএমএফের ৩০০ কোটি ডলারের আর্থিক পুনরুদ্ধার ঋণ পেয়েছে।