বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০১ অপরাহ্ন

পাহাড়ে নজর কাড়ছে নার্সারি রেস্তোরাঁ

  • আপডেট সময় রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪

 নানা রঙের ফুলে সাজানো বাগান। সেখানে এক কাপ চা, কফি কিংবা পছন্দের খাবার খেতে খেতে আশপাশ দেখে চোখ জুড়িয়ে নিতে পারেন।

গতানুগতিক চিন্তার বাইরে এসে স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালু হয়েছে খাগড়াছড়িতে। জেলার মহালছড়িতে অবস্থিত নার্সারি কেন্দ্রিক এ রেস্তোরাঁ এরই মধ্যে নজর কেড়েছে সবার।

মহালছড়িতে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজ। নার্সারি কেন্দ্রিক রেস্তোরাঁ ও কৃষিভিত্তিক ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রটি জেলায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। রেস্তোরাঁটি গড়ে তুলেছেন তরুণ উদ্যোক্তা খালেদ মাসুদ সাগর। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে গড়ে তুলেন এ ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রটি। কেন্দ্রটিজুড়ে শোভা পাচ্ছে নানা প্রজাতির ফুল। যেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা।

পাহাড়ের কৃষি ঐতিহ্যের মিশেলে দারুণ বৈচিত্রপূর্ণ এটি। বর্তমানে রেস্তোরাঁটি বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। স্থানীয়দের পাশপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা রেস্তোরাঁটিতে ভিড় করছেন। বিভিন্ন ফুল ও ফলের চারা কেনার পাশাপাশি বিনোদনের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত তারা।

স্থানীয় দর্শনার্থী নিগার সুলতানা বলেন, এখানে এসে মন ভরে গেছে। চারপাশে নানা রঙের ফুল। এখান থেকে চারাও কেনা যাচ্ছে। খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা আছে। সবমিলে অপূর্ব সুন্দর একটি জায়গা। উনুইচিং মারমা নামে অপর দর্শনার্থী বলেন, এখানে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পাচ্ছি। ফুলের চারা কিনতে পারছি। গতানুগতিক চিন্তার বাইরে আমরা ভিন্ন কিছু পেলাম।

স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজ’র উদ্যোক্তা খালেদ মাসুদ সাগর বলেন, চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে কিছু করার তাগিদ থেকে আমি এটি চালু করেছি। আমি ভিলেজ নিয়ে পর্যটকসহ স্থানীয়দের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমি সবাইকে বলবো চাকরির পেছনে না ছুটে পাহাড়ের কৃষি পর্যটন নিয়ে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তরুণরাও যদি এমন এগ্রো ট্যুরিজম গড়ে তুলতে পারি তাহলে নিজে যেমন স্বাবলম্বি হতে পারবে তেমনি পর্যটনখাত সমৃদ্ধ হবে।

পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি একদিকে যেমন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটছে তেমনি স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে কৃষিভিত্তিক এ ইকোট্যুরিজম। পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি এ ইকো-ট্যুরিজমের মাধ্যমে একদিকে যেমন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটছে, তেমনি অন্যদিকে স্থানীয় অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে কৃষি ভিত্তিক এ ইকো-ট্যুরিজম নার্সারি।

খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, জেলায় অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি নার্সারি কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্র ও রেস্তোরাঁ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অনাবাদি জমিগুলোতে দিন দিন কৃষি চাষ বাড়ছে। আমরা চাচ্ছি এ নার্সারি শিল্পটা যেন আরও বাড়ে।

জেলায় প্রায় ৩০টি কৃষিভিত্তিক ট্যুরিজম নার্সারি ও রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে। চাকরির পেছনে না ছুটে ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রিক ব্যবসায় ভাগ্য ফেরাচ্ছেন অনেক তরুণ-তরুণী। যা দেখে অন্যরাও উৎসাহিত হবেন। এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com