ফাঁক পেলে বেড়াতে যেতে পছন্দ করেন না এমন বাঙালির হদিশ পাওয়াই দুষ্কর। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির একাংশ সমুদ্রে পাগল, তেমনই অন্য অংশের পছন্দ পাহাড়। আমাদের এই প্রতিবেদনটি পাহাড়প্রেমী বাঙালিদের জন্যই। কথায় বলে উত্তরবঙ্গের এমন অনেক পর্যটন কেন্দ্র আছে যা বলে বলে টক্কর দিতে পারে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের নজরকাড়া ট্যুরিস্ট স্পটগুলির সঙ্গে। এই প্রতিবেদনেও আজ তেমনই অসাধারণ একটি জায়গার খোঁজ দেব আমরা। শুধু কর্মক্ষেত্র থেকে দিন কয়েকের ছুটি ম্যানেজ করে নিন। অল্প খরচে পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে বেড়ানোর ক্ষেত্রে এই জায়গার জুড়ি মেলা ভার।
দার্জিলিং থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে রয়েছে পাহাড় ঘেরা গ্রাম রঙ্গারুন। ছোট্ট এই জনপদ যেন পাহাড় কোলে ঘুমিয়ে আছে। এখানকার অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুহূর্তে আপনার যাহতীয় স্ট্রেস ভুলিয়ে দিতে পারে। আপনজনদের সঙ্গী করে আপনিও এখানকার অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। পাহাড় ঢালে এখানেই রয়েছে রঙ্গারুন টি এস্টেট। বলা বাহুল্য এই টি এস্টেটকে কেন্দ্র করেই রঙ্গারুন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
অনেকেই পাহাড় ঢালের এই গ্রামকে মেঘের দেশ বলে ডাকেন। ভূপৃষ্ঠ থেকে এই গ্রামটির উচ্চতা প্রায় ৬ হাজার ফুট। পাহাড়ের ঢালে এখানে বহু দিন আগে থেকেই চা চাষ হয়। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে রংডং নদী। চাইলে এক আধ বার নদীর জলে পা ভেজাতেই পারেন। পাহাড় কোলের এই গ্রাম থেকেই দেখা মিলবে সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘারও। চোখ মেললেই মায়াবী কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য্য আপনাকে মোহিত করে তুলবে।
কীভাবে যাবেন রঙ্গারুন গ্রামে?
কলকাতার দিক থেকে গেলে ট্রেনে বা বাসে নিউ জলপাইগুড়ি বা এনজেপি স্টেশনে পৌঁছে যেতে হবে। সেখান থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে নিন। গাড়িতেই পৌঁছে যাবেন রঙ্গারুন গ্রামে।
এখানে থাকার বন্দোবস্ত কী?
থাকার জন্য এখানে একাধিক হোম স্টে রয়েছে। সেগুলিতে থাকা-খাওয়ার খরচও নাগালের মধ্যেই। জনপ্রতি ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পড়তে পারে। ভিড় এড়াতে অনেকেই এখন কোলাহলহীন এই জায়গাটিকে বেছে নিচ্ছেন। তাই আগে থেকে হোম স্টে বুক করে যাওয়াই ভালো।