মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৪:২৩ অপরাহ্ন

পারমিট ছাড়া হজ পালন না করার অনুরোধ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫

চলতি হজ মৌসুমে পারমিট ছাড়া হজ পালনে বিরত থেকে থাকতে বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা বজায় রাখা, হজযাত্রীদের কল্যাণ এবং সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখার স্বার্থে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। ২ মে (শুক্রবার) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হজের অনুমতি না থাকলে কেউ যেন ভিজিট ভিসায় মক্কা বা পবিত্র স্থানগুলোতে না যান। একইসঙ্গে ভিজিট ভিসাধারীদের হজ পালনে পৃষ্ঠপোষকতা করা, তাদের পরিবহন, আবাসন বা হজ এলাকায় প্রবেশে সহায়তা করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এ বছর হজ ব্যবস্থায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন নিয়ম জারি করেছে সৌদি সরকার। এসব নিয়ম অনুযায়ী, শুধুমাত্র বৈধ হজ পারমিট, মক্কায় নিবন্ধিত বসবাসের বৈধ কাগজপত্র (ইকামা) এবং নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের অনুমতি থাকলেই কেউ মক্কায় প্রবেশ করতে পারবেন।

সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পারমিট ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করলে ২০ হাজার সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা হবে। কেউ যদি এতে সহায়তা করে, তবে সেই জরিমানার পরিমাণ এক লাখ রিয়াল পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি আদালতের আদেশে সহায়তাকারীর যানবাহনও বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।

আর কোনো বিদেশি নাগরিক যদি বৈধ অনুমতি ছাড়াই হজ পালন করেন বা নির্ধারিত সময়ের বেশি সৌদি আরবে অবস্থান করেন, তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং পরবর্তী ১০ বছর সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। এই বিধান আগামী ১০ জুন পর্যন্ত, অর্থাৎ জিলকদ মাসের ১ তারিখ থেকে জিলহজ মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, সৌদি সরকারের নির্দেশনা মেনে চলা হজ ব্যবস্থাপনার একটি অপরিহার্য অংশ। তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং হজ বিষয়ে অননুমোদিত কার্যকলাপ সৌদি-বাংলাদেশ সম্পর্কেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক বলেন, হজ একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় ও সমন্বিত টিমওয়ার্কের ফল। এতে সৌদি আরব মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই হজের সফল বাস্তবায়নে তাদের আইন-কানুন মেনে চলা জরুরি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশি নাগরিকরা এসব নিয়ম যথাযথভাবে অনুসরণ করবে এবং ২০২৫ সালে সফল হজ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের সম্মান আরও বৃদ্ধি পাবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com