নি মেলায় যেতে পারেন। রাতে মানুষ আরো বাড়ে। পা রাখার জায়গা থাকে না পুরো এলাকায়। পুরো এলাকা আলোয় আলোকিত। আপনি মেলায় কিছু গ্রামীণ রাইডে চড়তে পারেন। ভোরে আপনার পাখির ডাকে ঘুম ভাঙতে পারে
এরপর সবাই নাশতা করে বিদায়ের প্রস্তুতি নিতে পারেন। যেতে ইচ্ছে করবে না আপনার। কিন্তু যেতে হবে। কারণ ঢাকায় সবারই কাজ আছে। তাই আপনাকে নৌকায় উঠতে হবে। বিদায় নিতে হবে। মনে মনে আপনি বলতে থাকবেন বিদায় অষ্টগ্রাম। আবার দেখা হবে কোনো এক বর্ষায়।
যেভাবে যাবেন : সবচেয়ে ভালো হলো ট্রেনে যাওয়া। প্রতিদিন সকাল ৭টায় এগারসিন্দুর প্রভাতি (বুধবার বন্ধ) ছাড়ে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে। এতে উঠে কুলিয়ারচর নেমে পড়ুন। ভাড়া ১২০ টাকা। এ ছাড়া গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া থেকে বিআরটিসি বাসে করেও কুলিয়ারচর যাওয়া যায়। ভাড়া ২০০ টাকা। যাঁরা ভৈরব হয়ে যেতে চান, তাঁরা ভৈরব নেমে সিএনজিতে করে কুলিয়ারচর যাবেন। শেয়ারে ভাড়া নেবে জনপ্রতি ৪০ টাকা।
কুলিয়ারচর নেমে একটা রিকশা নিয়ে চলে যান লঞ্চঘাট। এখান থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টা, ৮টা, ৯টা, ১১টা এমনি করে ৩টা পর্যন্ত লঞ্চ ছেড়ে যায় অষ্টগ্রাম। ভাড়া ১০০ টাকা। সময় লাগবে সাড়ে তিন ঘণ্টা।
গ্রুপ ট্যুরে গেলে আগে থেকে জানালে ট্রলার নিয়ে হাজির হবে। এই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৬-১৮৫১৪৪১ (খোকন)। এটি ১৫-২০ জন গ্রুপের বড় নৌকা দুদিনের জন্য নিতে পারে চার থেকে ছয় হাজার টাকা।
কোথায় থাকবেন : থাকার বেশ কটি অপশন আছে। নিজেরা টেন্ট নিয়ে ক্যাম্পিং করতে পারেন। আছে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো। কেয়ারটেকার এর নম্বর দিলাম ০১৯১৪-৯৭৫৩৮৯। আগে কথা বলে বুকিং দিতে পারেন। ভাড়া ৩০০-১৫০০ টাকা (রুম ভেদে)। এ ছাড়া বাজারে দুটি সাধারণ মানের হোটেল আছে, ভাড়া ১০০-২০০ টাকা।