যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি জাহাজগুলোকে পানামা খাল দিয়ে চলাচলের জন্য কোনরকম টোল দিতে হবে না। স্টেট ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে লিখেছে, এর ফলে বছরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মিলিয়ন ডলার ব্যয় কমবে।
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পানামা সফর করেন। দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করেন।
নভেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পানামা খাল ‘পুনরুদ্ধারে’ শক্তি প্রয়োগের কথা বলেছেন। ট্রাম্প এবং রুবিও পানামা খালে চীনা বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এদিকে, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য এবং যোগাযোগের উন্নতির লক্ষ্যে চীনা নেতৃত্বাধীন বিশাল অবকাঠামো বিনিয়োগ প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ থেকেও সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পানামা। বেইজিংয়ের কথিত প্রভাব রোধে ওয়াশিংটনের হুমকির মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের পর পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো সাংবাদিকদের বলেছেন, আমার সরকার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ২০১৭ সালের সমঝোতা স্মারক নবায়ন করবে না।
মিত্রদেশ পানামার কাছ থেকে পানামা খাল দখলে ট্রাম্পের হুমকির মধ্যেই ১ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে সফর করতে যান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রেসিডেন্টার সঙ্গে আলোচনার সময় রুবিও সতর্ক করে বলেন, খালে চীনের সম্পৃক্ততার অনুমতি দিয়ে পানামা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১৯৭৭ সালের চুক্তি লঙ্ঘন করছে।
যদিও চীনের কর্মকর্তারা খালের উপর পানামার ‘সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের আশঙ্কা’র বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, বেইজিং সব সময় পানামা খালকে স্থায়ীভাবে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।