পর্যটকদের চাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জাপানের জনপ্রিয় স্থান মাউন্ট ফুজি। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে এখানে পর্যটক সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বছরে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ এখানে ঘুরতে যান। কিন্তু এতসংখ্যক মানুষের জন্য প্রস্তুত নয় এখানকার পরিবেশ। ফলে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া আবর্জনা বাড়ছে, কার্বন ডাই অক্সাইডও বাড়ছে এই এলাকায়।
২০১৩ সালে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেড সাইটের স্বীকৃতি পায় মাউন্ট ফুজি। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে পর্যটকদের চাপ। বাড়তে থাকে জনজট, আবর্জনা এবং অপ্রস্তুত পর্বতারোহীর সংখ্যা।
মিকো সাকুরাই নামে এক বর্ষীয়া রেঞ্জার জানান, তিনি সাত বছর ধরে সেখানে কাজ করেন। আগের চেয়ে এখন পর্যটকদের সংখ্যা অনেক বেশি। তিনি বলেন, ওভারটুরিজম বলা যায় একে। এখনকার আরোহীরা অনেক বেপরোয়া। এটিই সবচেয়ে বড় চিন্তার করাণ। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণও করা যাচ্ছে না।
মাউন্ট ফিজির হাইকিং স্টেশন গোগোমেই ৯০ শতাংশ পর্যটকরা যায়। টোকিও থেকে সুবারু লাইন মাউন্টেন রোড হয়ে তারা যাতায়াত করে। প্রায় ৬০ বছর আগে এই রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছসরাসরি যাতায়াতের সুবিধা থাকায় জাপানের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই পথ ধরে মাউন্ট ফুজিতে যায় পর্যটকরা।
মাউন্ট ফুজি সংরক্ষণ কর্মী তোমোয়ো তাকাহাসি বলেন, এই অঞ্চল পরিস্কার রাখতে সবারই অন্তত ৭ ডলার করে সাহায্য করা উচিত। তিনি বলেন, `এখানকার অবস্থা ডিজনিল্যান্ডের মতো। প্রচুর মানুষ ঘুরতে আসে। কিন্তু সবাই টাকা দেয় না। এখানে বাধ্যতামূলক প্রবেশমূল্য থাকা দরকার। এতে করে যারা সত্যিই মাউন্ট ফুজিকে ভালোবাসেন শুধু তারাই আসবেন।
মাউন্ট ফুজির দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে অলাভজনক সংস্থা ফুজিসান ক্লাব। এখন ২০০৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তারা ৯৯২বার এই জায়গা পরিষ্কার করেছে এবং ৮৫০ টন ময়লা সরিয়েছে। সম্প্রতি তারা ইলেক্ট্রিক বাইকে করে টহল দিচ্ছে এবং ময়লা পরিষ্কার করছে। ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবক নানাই তাতসু বলেন, টহল দিয়ে ময়লা পরিষ্কারের কাজ মনে হয় বিশ্বে এটাই প্রথম।