রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন

পর্যটক আকৃষ্ট করতে মালদ্বীপের আদলে সাজছে সেন্টমার্টিন

  • আপডেট সময় বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩

কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সরকার। মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই পর্যটন নগরীতে অন্তত ২৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। বিশেষ করে মালদ্বীপের আদলে সাজানো হচ্ছে সেন্টমার্টিনের প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্র। এর মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন পর্যটন শিল্পের টেকসই বিকাশ নিশ্চিত হবে অন্যদিকে আধুনিক নগরী হয়ে উঠবে কক্সবাজার। সেইসঙ্গে সারা বছর ঢল নামবে দেশি-বিদেশি পর্যটকের। অর্জিত হবে বৈদেশিক মুদ্রা, গতি আসবে স্থানীয়দের জীবনযাত্রায়। নিশ্চিত হবে জীবনমানের উন্নয়ন।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ, সোনাদিয়াকে বিশেষ পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা, ইনানী সৈকতের উন্নয়ন, টেকনাফের সাবরায়েং ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণ, শামলাপুর সৈকতের উন্নয়ন, চকরিয়ায় মিনি সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক আধুনিকায়নসহ অন্তত ২৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এর অংশ হিসেবে সেন্টমার্টিনকে সাজানো হচ্ছে মালদ্বীপের আদলে। ভ্রমণের জন্য সেন্টমার্টিনে নামবে সি-প্লেন। কক্সবাজার-মহেশখালী ও টেকনাফে চলবে ক্যাবল কার। এগুলোকে সমন্বয় করতে চলছে নানা উন্নয়নকাজ। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বদলে যাবে এই পর্যটন নগরী।

পর্যটকের সমাগম বাড়বে কয়েকগুণ: দেশি-বিদেশি পর্যটক টানতে কক্সবাজারে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানালেন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সভাপতি তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের নানা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সি-প্লেন ও ক্যাবল কার। যা পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করবে। পর্যটনসেবার মানও উন্নত হবে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে দৃষ্টিনন্দন হবে পর্যটন নগরী। পর্যটকের সমাগম বাড়বে কয়েকগুণ।’

পর্যটন শিল্পের টেকসই বিকাশ নিশ্চিত করতে কক্সবাজারে অনেকগুলো মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার। তিনি বলেন, ‘পর্যটন নগরীকে পরিকল্পিতভাবে সাজানো হচ্ছে। পর্যটনের উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সেন্টমার্টিন ভ্রমণে এতে যুক্ত হচ্ছে সি-প্লেন।

কক্সবাজার-মহেশখালী এবং টেকনাফে ক্যাবল কার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি মালদ্বীপের রিসোর্ট গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে আমাদের। তাদের কাছ থেকে কারিগরি পরামর্শ নিয়ে চলবে কার্যক্রম। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে সারা বছর সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন পর্যটকরা। এ ছাড়া সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে আন্ডার সি অ্যাকুরিয়াম, সার্কুলার বাস টার্মিনাল, মেরিনা বে-রিসোর্ট, খুরুশকুল স্মার্ট সিটি, থিম পার্ক, ইকো রিসোর্ট, চৌফলদন্ডীতে রিভাররেইন ট্যুরিজমের কাজ চলছে। আশা করছি, এখানে সারা বছর দেশি-বিদেশি পর্যটকরা থাকবেন।’

সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পরিবেশের ভারসাম্য মেনে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কাজ চলছে বলে জানালেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।

তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে বিদেশি পর্যটক টানতে মূলত এসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ৫-৬ বছরের মধ্যে মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com