সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন

পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ পরিকল্পনা

  • আপডেট সময় বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩
আমরা যখন একটি স্থানে ভ্রমণ করি তখন শুধু ওই স্থানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই উপভোগ করি না, নতুন স্থানে নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হই। তাদের সংস্কৃতি, জীবনযাপন সম্পর্কে জানতে পারি। ভ্রমণপ্রেমীরা সবসময়ই নতুন সৌন্দর্য খুঁজতে পছন্দ করেন। যখনই যান্ত্রিক জীবনের একঘেয়েমিতায় হাঁপিয়ে ওঠেন, তখনই তারা বেরিয়ে পড়েন  সৌন্দর্যের খোঁজে।

ভ্রমণ আমাদের মানসিক প্রশান্তি দেয় ও শরীরকে চাঙ্গা করে।ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে টেকসই পর্যটন খুব জনপ্রিয় একটি ধারণা। টেকসই পর্যটন হলো পরিবেশবান্ধব পর্যটন এলাকায় প্রকৃতি ও পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে ভ্রমণ করা। পর্যটনের এ ধারণা এসেছে পরিবেশ ও প্রকৃতিকে রক্ষণাবেক্ষণের ধারণা থেকে।

পরিবেশবান্ধব ভ্রমণের গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতিসংঘ ২০০২ সালকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইকো-ট্যুরিজম ইয়ার’ ঘোষণা করে। তাই আমরা যখন কোনো একটি স্থানে ভ্রমণ করবো তখন সেই স্থানের প্রকৃতির কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করবো। কোথাও ঘুরতে গেলে এমন কিছু করা উচিত না যা আমাদের পরিবেশ ও প্রকৃতির কোনো ক্ষতি করে। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের এই সংকটকালে টেকসই পর্যটন খুবই কার্যকর একটি পরিকল্পনা।
টেকসই পর্যটন আমাদেরকে দায়িত্বশীল ভ্রমণে উৎসাহী করে তোলে।পরিবেশ বান্ধব ভ্রমণ পরিকল্পনার চারটি উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।

১. আবাসন: স্থানীয়দের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা থাকে পর্যটকদের জন্য। সেসব স্থানে থাকার চেষ্টা করুন। আবাসনের জন্য ছোট পরিসরে ব্যবস্থা করতে হবে।

স্থানীয়দেরও এ বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠা প্রয়োজন। বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে যদি স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করা হয়, তবে পরিবেশের ওপর কম চাপ পড়বে। এর ফলে পরিবেশে কার্বনের পরিমাণ ৪৮ শতাংশ কমবে।২. খাদ্য: ভ্রমণের সময় খাবারের জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা হলো স্থানীয়ভাবে খাবার সংগ্রহ করা। এতে করে স্থানীয় কৃষকরা উপকৃত হবে এবং বাইরের খাবারের সঙ্গে আসা কার্বন ফুটপ্রিন্টও হ্রাস হবে। খাবারের জন্য স্থানীয় বসতি, দোকান, বাজার উপযুক্ত স্থান। যতটুকু খেতে পারবেন ততটুকুই কিনুন এবং বেঁচে যাওয়া খাবার পরবর্তী সময়ের জন্য সংরক্ষণ করুন। চিপসের প্যাকেট, পানির বোতল যেখানে সেখানে ফেলা থেকে বিরত থাকুন।

৩. পরিবহন: যানবাহনের ধোঁয়ায় অনেক পরিমাণে কার্বন নির্গত হয়। তাই ভ্রমণের ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবহার করা উচিত। কম দূরত্বের পথ হলে পায়ে হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে যাতায়াত করাই ভালো উপায়। যদি দূরত্ব বেশি হয় তাহলে ফ্লাইট বা বাসের চেয়ে ট্রেনে যাতায়াত করাই ভালো। কারণ তুলনামূলক ট্রেন কম কার্বন নির্গত করে।

৪. অন্যান্য কার্যক্রম: সাইক্লিং, কায়ায়িং, ট্র্যাকিং ইত্যাদি বিনোদন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করা। এ ছাড়াও এমন খেলাধূলা করা যা পরিবেশে কার্বন ছড়ায় না।

সর্বোপরি, প্লাস্টিক ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। পূনর্ব্যবহারযোগ্য ভ্রমণ উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। স্থানীয় সংস্কৃতিকে সম্মান করতে হবে এবং পরিবেশকে আবর্জনা মুক্ত রাখতে হবে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com