নেদারল্যান্ডসের ওভারইজেল প্রদেশের একটি ছোট্ট, মনোরম শহর, যাকে প্রায়ই “ডাচ ভেনিস” বলা হয়। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো শহরটির অনেকাংশই পানির উপর নির্মিত, এবং এখানে প্রচলিত সড়কপথের পরিবর্তে খালপথে যাতায়াত ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
গিয়েরথুনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক। ঘরবাড়িগুলো খালের ধারে অবস্থিত এবং এগুলোকে ঘিরে সবুজ গাছপালা, ফুলের বাগান এবং সুসজ্জিত লন দেখা যায়। প্রতিটি বাড়িই যেন ছবির মতো সাজানো, আর খালপথে নৌকা চালানোর সময় এই সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে মুগ্ধকর অভিজ্ঞতা তৈরি করে।
শীতে, যদি খালগুলো জমে যায়, তবে স্থানীয়রা এবং পর্যটকরা এখানে স্কেটিং উপভোগ করতে পারেন, যা বিশেষ আকর্ষণ যোগ করে।
গিয়েরথুনে কোনো বড় রাস্তা নেই
কি ভাবছেন??যাতায়াতের যদি রাস্তাই না থাকে, তাহলে গ্রামের মানুষেরা যাতায়াত করেন কী ভাবে? সবটাই হয় জলপথে। গ্রামের প্রান্তে প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে জলপথ।
গিয়েরথুনে যাতায়াতের জন্য প্রধানত নৌকা ব্যবহার করা হয়। পর্যটকরা বিভিন্ন প্রকারের নৌকা, যেমন “হুইসলবোট” বা “পুন্ট” ভাড়া নিয়ে শহরের চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। এই শহরে প্রায় ১৭৬টি ছোট এবং বড় ব্রিজ রয়েছে, যেগুলোর সাহায্যে পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়ানো যায়।
এই গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মাটির নীচে ছোট বড় ফাঁপা অংশ ছিল। গ্রামে মানুষ বসবাস শুরু করার পর, সেগুলি খুঁড়ে বার করতে শুরু করল।বছরের পর বছর ধরে সেগুলি খুঁড়ে বার করার ফলে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাটো হ্রদ তৈরি হয়। সেগুলোকেই জুড়ে জুড়ে ক্যানাল রোড তৈরি হয়েছে।
চমৎকার এই গ্রামটি বিশ্বের নজরে আসে ১৯৫৮ সালে। ডাচ ফিল্মমেকার বার্ট হান্সট্রা তাঁর কমেডি ফিল্ম ‘ফ্যানফেয়ার’-এর শুটিং এই গ্রামে করার পর।
গিয়েরথুন একটি শান্ত, মনোরম স্থান যা ব্যস্ত নগর জীবনের বাইরে প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটানোর জন্য আদর্শ।
Like this:
Like Loading...