মনটা খুব আনচান করছিল,এই ইট-পাথরের শহরে মনটা জিইয়ে রাখাই যে দায়।
নিঝুম দ্বীপ ও হাতিয়া ক্যাম্পিং ট্যুুর ::
প্রায় হুট করে প্ল্যান করে ফেল্লাম নিঝুম দ্বীপ যাবো।যেই ভাবা সেই কাজ। লঞ্চ তাসরিফ ২ এ করে সদরঘাট থেকে রওনা হয়ে গেলাম হাতিয়ার উদ্দেশ্যে। ৫ টা থেকে ৬ টার মধ্যে হাতিয়ার লঞ্চ ছাড়ে।
লঞ্চ গুলোর নাম: এম.ভি ফারহান – ৩ ও ৪ এবং এম. ভি. তাসরিফ – ১ ও ২।(প্রতিদিন ২ টা করে লঞ্চ চলাচল করে)। ফিরতি লঞ্চ হাতিয়া তমুরদ্দী ঘাট থেকে ১২:৩০ থেকে ১:৩০ এর মধ্যে।
ডেকের ভাড়া জনপ্রতি ১৫০ করে।
হাতিয়া পৌঁছাতে পৌছাতে সকাল ৯ টা। সবার সম্মতিক্রমে ঐদিন হাতিয়া থেকে গেলাম। আশেপাশে ঘুরাঘুরি করে বিকালের দিক বেরিয়ে পড়লাম বাইক নিয়ে। কমলার দিঘী নামে একটা যায়গার উদ্দেশ্যে। যায়গাটা অসাধারণ লেগেছে। বাইক ভাড়া তমুরদ্দী ঘাট থেকে ২০০ নিবে ২ জন। ইচ্ছা করলে রাতে কমলার দিঘীতে ক্যাম্প করে থাকতে পারেন। আমরা রাতে হাতিয়া এক ছোট ভাইয়ের বাসায়(ওজখালি) থেকে গেলাম(কমলার দিঘী থেকে ওজখালি বাজার বাইকে ১০০টাকা ২জন)। সাকালে উঠে এবার যাএা শুরু হাতিয়া ওজখালি বাজার থেকে লোকাল বাসে করে(তমুরদ্দী ঘাট থেকে ওজখালি বাজার বাইকে ২ জন ১০০ টাকা)। ২টা লোকাল বাসে যাএা শেষে আমরা পৌঁছাই মোক্তারিয়া ঘাটে (৪০+৫০=৯০ টাকা জনপ্রতি )। ট্রলারে করে ঘাট পার হতেই নিঝুম দ্বীপ। সময় লাগে ১৫ মিনিট এর মতো। ভাড়া ২০ টাকা করে। চাইলে স্পিড বোর্ডে করে ও পার হতে পারেন (ভাড়া ৬০ টাকার মতো, নট শিওর )
আমাদের ট্যুর টা ক্যাম্পিং টুর আর ক্যাম্প আমরা করবো নামা বাজার তাই বাইক নিয়ে সরাসরি চলে গেলাম নামা বাজার (বাইক ভাড়া ১০০ টাকা ২ জন)। দুপুরের খাবার শেষ করে দেখলাম অনেক বেলা হয়ে গিয়েছে তাই আর হরিণ দেখতে বনের গভীরে যাওয়া হয়ে উঠেনি। আশেপাশে ঘুরে বীচ পাড়ে সূর্যাস্তের আগ মুহূর্তেই তাবু টাঙিয়ে, তাবুর পাশে বসে ২০১৭ এর শেষ সূ্র্যাস্ত উপভোগ করলাম। তারপর Bbq আর ফায়ার ক্যাম্প এর সবকিছু ব্যাবস্থা করলাম। চাঁদনী রাতে Bbq খাওয়ার শেষে চাঁদের আলোতে কার্ড খেলা আর খেঁজুরের রস,,,,, আহহহহ অমৃত অমৃত
ব্যাক করার সময় বেশি কষ্ট করতে হয়নি নামা বাজার থেকেই ট্রলারে করে হাতিয়া তমুরদ্দী ঘাট(২২০ টাকা) আর ঐখান থেকে লঞ্চে ঢাকা।।
এখানে শুধু যাতায়াত খরচ দেয়া হল,খাবারের খরচ নিজের উপর নির্ভর করে তাই দিলাম না।
নোট: আমরা সবাই অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ,প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে বা উপভোগ করতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় ভ্রমন করি। ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন,তাহলে ভালো থাকবে পরিবেশ আর পরিবেশ ভালো থাকলে ভালো থাকবো আমরাও।।