শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন

নিউজিল্যান্ডে পড়াশোনা ও সহজে নাগরিকত্ব

  • আপডেট সময় শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩

সাগর ঘেরা  দেশ নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রীদের আন্তর্জাতিক মানের পড়াশুনার জন্য একটি সম্ভবনাময়ী দেশ। পৃথিবীর যেসব দেশ নাগরিকত্ব প্রদান করে তাদের মধ্যে নিউজিল্যান্ডই একমাত্র দেশ যারা সরাসরি এবং তুলনামূলকভাবে খুব সহজেই নাগরিকত্ব প্রদান করে থাকে।

মোট আয়তন এর তুলানায় জনসংখা কম হওয়ার বাংলাদেশের এবং বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া যোগ্য ছাত্র ছাত্রীদের নিউজিল্যান্ড সরকার নাগরিকত্ব প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর জন্যে খুব অল্প খরচে উন্নত মানের পড়াশুনার সুযোগ রয়েছে নিউজিল্যান্ডে। তাছাড়া পড়াশুনার পাশাপাশি খন্ডকালীন কাজ করার সুযোগ আছে এই দেশে। নিউজিল্যান্ড উচ্চতর শিক্ষার জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীকে অবশ্যই IELTS স্কোর থাকতে লাগবে। কোর্স এবং লেভেল উপর নির্ভর করে IELTS স্কোর বিবেচনা করা হয়।

নিউজিল্যান্ড বিভিন্ন ডিগ্রী

ক) ন্যাশনাল সার্টিফিকেট (৬ মাস)

খ) ন্যাশনাল ডিপ্লোমা (১ বছর)

গ) ব্যাচেলার ডিগ্রী বা গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (৩-৪ বছর)

ঘ) পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট বা ব্যাচেলার উইথ অনার্স (১ বছর)

ঙ) মাস্টার্স (২ বছর)

চ) ​​ডক্টরেট (৩-৪ বছর)

শিক্ষাগত যোগ্যতা:

শিক্ষাগত যোগ্যতা নুন্যতম উচ্চ মাধ্যমিক অথবা সমমান এর হলে একজন শিক্ষার্থী নিউজিল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষার জন্যে আবেদন করতে পারবে। উচ্চ মাধ্যমিক অথবা সমমান শিক্ষার্থী এর জন্য IELTS স্কোর সর্বোনিম্ন ৫.৫ . স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর উচ্চ শিক্ষা নিতে IELTS স্কোর ৬-৬.৫ লাগে।

নিউজিল্যান্ডে কোন শিক্ষার্থীর পড়াশুনায় বিরতি থাকলে তাকে অবশ্যই যথাযথ কারণ এবং প্রমানপত্র দেখাতে হয়।

পড়াশোনার সম্ভাব্য খরচ:

একজন শিক্ষার্থী নিউজিল্যান্ড পড়াশুনার জন্য যেতে সর্ব মোট ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়। তবে শিক্ষার্থী কে তার অথবা তার পরিবার (বাবা ,মা ,ভাই বোন ) এর ব্যাংক একাউন্টের হিসাবে ২৫-৩০ লক্ষ টাকা দেখাতে হয়। তবে মনে রাখতে হবে যে শুধু টাকা দেখালেই হবেনা টাকার উত্স, সরকারি কর ও অন্যানো কাগজপত্র দেখাতে হবে।

কাজের সুযোগ:

নিউজিল্যান্ডে এক বছর বা দেড় বছর পড়াশুনা করার পর একজন শিক্ষার্থী এক বছরের জন্য চাকুরী খোঁজার অনুমতি পায়। যে বিষয়ে পড়াশুনা করেছে সেই বিষয়ের উপর যেকোনো একটি চাকুরী পেলেই দুই বছরের পূর্ণ সময় কাজ করার অনুমতি প্রদান করে নিউজিল্যান্ড সরকার।

১। নিউজিল্যান্ডে ভর্তি হওয়ার পরপরই আপনি পার্ট টাইম কাজ করতে পারবেন। তবে আপনার course চলাকালীন সময়ে সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজের অনুমোদন পাবেন এবং vacation এর সময় সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা এর বেশি আপনি কাজ করতে পারবেন না; কারণ আপনার Visa টি Student Visa।

২। প্রতি ঘন্টা কাজের জন্য আপনি কমপক্ষে ১২.৫০নিউজিল্যান্ড ডলার পাবেন।

ভিসার আবেদন:

যেকোন শিক্ষার্থী নিজেই স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। তবে ভিসা আবেদন পদ্ধতি জটিল হবার কারণে ভুল ভ্রান্থীর সম্ভবনা থাকে। যেহেতু বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ড এর দুতাবাস নেই সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে ইন্ডিয়াতে অবস্থিত নিউজিল্যান্ড দুতাবাসে আবেদনপত্র সহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র টি টি সার্ভিস এর মাধ্যমে পাঠাতে হয়। কাগজপত্রের সত্যতা যাচাই করতে অথবা নিউজিল্যান্ড সরকার অনুমোদিত স্টুডেন্ট ভিসা ইমিগ্রেশন অ্যাডভাইযারের সাহায্য নিতে হয়। এর ফলে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে সুবিধা হয় এবং নিউজিল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থা ও এর কার্যপ্রণালী সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানা যায়।

মাহফুজা ইসলাম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com