নারীদের উচ্চশিক্ষার পথ সহজ করতে পৃথিবীর বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ বৃত্তি এবং ফেলোশিপ দেয়। কিছু কিছু বৃত্তি দেওয়া হয় প্রতিবছরই। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে চোখ রাখলে বা ফেসবুক পেজ অনুসরণ করলে হালনাগাদ তথ্য জানা যায়। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা গবেষণাগারে নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে বৃত্তি, অনুদান, ফেলোশিপ বা বিশেষ ভাতা চালু আছে। ভর্তির সময় এসব বৃত্তির খোঁজ জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষা অফিসে ই–মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
এখানে সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকটি বৃত্তি ও ফেলোশিপের খোঁজখবর দেওয়া হলো,
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে আগ্রহী নারী শিক্ষার্থীরা যেন উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরের সুযোগ পায়, সে জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল দিচ্ছে বিশেষ বৃত্তি। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত এই বৃত্তির আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হতে হবে। যে বিষয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী, সে বিষয়ে কাজ ও গবেষণার অভিজ্ঞতাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। জ্বালানি ও শক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য ও লাইফসায়েন্সের বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার জন্য এই বৃত্তি। যুক্তরাজ্যের টিসাইড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, স্ট্র্যাটক্লাইড ইউনিভার্সিটি, নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটি, ওয়ারউইক ইউনিভার্সিটি, এডিনবার্গ নেপিয়ার ইউনিভার্সিটি, ব্রুনেল ইউনিভার্সিটি লন্ডনে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।
বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের সুযোগ তৈরির জন্য লরেল-ইউনেসকো ফর উইমেন ইন সায়েন্স ফেলোশিপ চালু করা হয়েছে। নারী বিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাজের সুযোগ বিস্তৃতির জন্য এই ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও নারী বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দিতে লরেল-ইউনেসকো ফর উইমেন ইন সায়েন্স আন্তর্জাতিক পুরস্কারও দেওয়া হয় ইউনেসকো থেকে। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।
আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি উইমেন নারীদের উচ্চশিক্ষার জন্য বিশেষ ফেলোশিপ প্রদান করে। প্রতিবছর নানা দেশের বিভিন্ন বিষয়ে পড়ুয়া নারী শিক্ষার্থীরা এই ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। ফেলোশিপ বিজয়ী শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে বিশেষ সুযোগ পান। প্রতিবছরের আগস্ট-নভেম্বরে ফেলোশিপের আবেদন গ্রহণ করা হয়। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।
নারী বিজ্ঞানী ও গবেষকদের জন্য ওডব্লিউএসডি পিএইচডি ফেলোশিপ দিচ্ছে অর্গানাইজেশন ফর উইমেন ইন সায়েন্স ফর দ্য ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ড। এখন পর্যন্ত ২৭ জন বাংলাদেশি নারী পিএইচডি গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন এই ফেলোশিপের অধীনে। বর্তমানে ৯ জন বাংলাদেশি নারী পিএইচডি ফেলো হিসেবে পড়ছেন। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পড়েছেন ও কাজ করছেন এমন নারীরা এই ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। ফেলোশিপের জন্য জীবনবৃত্তান্ত, রিকমেন্ডেশন লেটার, পাসপোর্টসহ পিএইচডি রিসার্চ প্রপোজাল তৈরি করে অনলাইনে জমা দিতে হবে। এ বছর আবেদনের শেষ সময় ১৫ এপ্রিল ২০২১। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।
উচ্চশিক্ষার সকল সনদ ও মার্কশিটের মূলকপি, পাসপোর্ট (অন্তত ৬ মাসের মেয়াদসহ), দু–তিনজন শিক্ষক বা গবেষণা তত্ত্বাবধায়কের রিকমেন্ডেশন লেটার, স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), পিএইচডির জন্য গবেষণা প্রস্তাবনা জমা দিতে হয়। আবেদনসংশ্লিষ্ট যেকোনো সমস্যায় কর্তৃপক্ষের ই–মেইলে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। আবেদনের জন্য শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করলে শেষ দিকে সার্ভার সমস্যার কারণে অনেকেই জমা দিতে পারেন না, যে কারণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।