শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন

নাইন্টিজ ঢাকা’র সাথে আরেকবার ফিরে যাই সেই ফেলে আসা সময়ে

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩
রেস্তোরাঁর নাম কেন ‘৯০’র ঢাকা’ রাখা হয়েছে তা এর সাজসজ্জাই বলে দিচ্ছিলো। নব্বইয়ের দশকে হারিয়ে যাওয়া অনেক কিছুর দেখা মিলবে এই রেস্তোরাঁটিতে। অন্যান্য আধুনিক সজ্জার রেস্তোরাঁ থেকে ভিন্ন আদলে সাজিয়ে তোলা এই রেস্তোরাঁর  দেয়ালের চারিদিক ঘিরে টানানো হয়েছে অসংখ্য লাটিম।

জৈষ্ঠ্য মাসের ভ্যাপসা তাপদাহ কাটিয়ে হঠাৎ করেই চারিদিকে তখন কালো মেঘের খেলা শুরু হয়ে গেল। কাজের সূত্রে উত্তরার হাউজ বিল্ডিং-এ বাংলাদেশ মেডিকেলের কাছে আসতেই আকাশ ভেঙে ঝিরিঝিরি বর্ষণ শুরু হয়ে গেল। বেশিক্ষণ লাগলো না নিমিষেই বৃষ্টি যেন তার সবটা শক্তি নিয়ে ঝরে পড়তে শুরু করলো। একটুখানি বিপাকেই পড়ে গেলাম বলা চলে, কারণ বৃষ্টি থেকে নিজেকে বাঁচাতে রাস্তার পাশে ঠায় নিলেও খুব বেশি রক্ষা হলো না। হঠাৎ চোখ পড়তেই দেখলাম সামনের এক বিল্ডিংয়ে বড় করে লেখা আছে ‘নাইন্টিজ ঢাকা’ (90’s Dhaka.)  

লিফটের ৩ চেপে পৌঁছে গেলাম আমার গন্তব্য ‘নাইন্টিজ ঢাকা’ (90’s Dhaka) রেস্টুরেন্টে। দরজা খুলতেই শুনতে পেলাম সেখানে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের “এই মেঘলা দিনে একলা, ঘরে থাকে না তো মন, কাছে যাবো কবে পাবো, ওগো তোমার নিমন্ত্রণ” গানটি বাজছে। বুঝতে বাকি রইলো না এখানে বৃষ্টি বিলাস শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমার ভাবনায় তখন শুধু আমার শৈশবের দিনগুলো ভেসে আসছিলো। মনে হচ্ছিলো আমি ফিরে গেছি সেই ৯০-এর দশকে। মাথার ওপর নানান রঙের ঘুড়ি, দেয়ালে আঁকা হিমু-রূপার পোর্টেইট, তার ঠিক নিচের দিকটাতে রয়েছে ৯০ দশকের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সাড়া জাগানো হুমায়ুন আহমেদের বিখ্যাত উপন্যাস ‘কোথাও কেউ নেই’ অবলম্বনে নির্মিত নাটকের চরিত্র বাকের ভাই ও তার সঙ্গীদের পোর্ট্রেইট।

জায়গাটি বেশ বড় না হলেও প্রতিটি কোণায় ভিন্নভিন্ন সাজসজ্জা একে অন্যরকম বিশেষত্ব এনে দিয়েছে। এক কোণার বোহেমিয়ান স্টাইলে বালিশ দিয়ে নিচে আরাম করে বসার ব্যবস্থা দেখে সে জায়গাটিকে দখল করে নিলাম। তারপর ভাবলাম আমিও কিছুটা বৃষ্টি বিলাস করি। তাই মেনু বইটি হাতে নিয়ে কয়েক পাতার বাহারি সব খাবারের মধ্যে বেছে নিলাম খিচুড়ি, বেগুন ভাজা, ডিম ও আচারি গরুর প্লেটারটি।

খাবার রান্না করার ছোট কিচেনটিতে তখন বেশ তোড়জোড় চলছে, কারণ অনলাইনে প্রচুর অর্ডার এসেছে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রান্না করে পাঠিয়ে দিতে হবে গন্তব্যে। কিন্তু আমার দৃষ্টি তখন আশেপাশের সাজিয়ে রাখা কালক্রমে হারিয়ে যাওয়া দুর্লভ কিছু বস্তুর ওপর। কয়েকটি টেবিলের ওপর সাজিয়ে রাখা হয়েছে নিভন্ত একটি করে হারিকেল। এখন লোডশেডিং হলেও আর হারিকেনের ব্যবহার হয়না, তাইতো এগুলোকে এখানে মূর্তির মতো সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

বাসাবাড়ি থেকে অফিস সর্বত্র পাওয়ার সাপ্লাইয়ে এখন রয়েছে আইপিএস, জেনারেটরের মতো সুবিধা। কিন্তু মাত্র দু’দশক আগে আমাদের ছেলেবেলায় যখন লোডশেডিং হতো, বলা যায় তখন আলোর ব্যবস্থা জোগাড়ে হারিকেন ছিলো একমাত্র সম্বল। তাইতো হারিকেনে তেল ঠিকঠাক আছে কিনা তা নিয়ে শঙ্কার শেষ ছিলনা মায়েদের। হারিকেনের সেই নিভু নিভু আলোয় কতো শতো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে, তা হাতড়ে বেড়াচ্ছিলাম টেবিলে সাজিয়ে রাখা হারিকেনটি দেখে।

শৈশবে ফিরে যাওয়া 

রেস্তোরাঁর নাম কেন ‘৯০’র ঢাকা’ রাখা হয়েছে তা এর সাজসজ্জাই বলে দিচ্ছিলো। নব্বইয়ের দশকে হারিয়ে যাওয়া অনেক কিছুর দেখা মিলবে এই রেস্তোরাঁটিতে। অন্যান্য আধুনিক সজ্জার রেস্তোরাঁ থেকে ভিন্ন আদলে সাজিয়ে তোলা এই রেস্তোরাঁর  দেয়ালের চারিদিক ঘিরে টানানো হয়েছে অসংখ্য লাটিম। এতো লাটিম এই সময়ে একসাথে দেখে একটু অবাকই হয়েছি। মাথার ওপরের লাইটগুলোও ছিলো লাটিমের আকারের। তখনো বাইরে বৃষ্টি আর মৃদু ভলিউমে গান বেজে চলছিলো।

একমনে গান শুনতে শুনতে টেবিলের নিচে পা জেতেই কি যেন ঝনঝন করে উঠলো। তাকিয়ে দেখলাম সেখানে সাদা পাথরের সাথে অনেকগুলো মার্বেল বিছিয়ে রাখা হয়েছে। ছোট্ট এই জিনিসিটিকেও কি অদ্ভুতভাবে সাজ-সজ্জার কাজে লাগানো হয়েছে দেখে-মনে মনে এই রেস্তোরাঁর মালিকের মুখ থেকে তার এই ভিন্ন নাম ও সজ্জার রেস্তোরাঁ নিয়ে বিস্তর জানতে আগ্রহ আরো বেড়ে গিয়েছিলো। তিনি তখনও ছোট্ট সেই রান্নাঘরে রান্না ও যাবতীয় কাজে কর্মীদের হাতে হাতে সাহায্য করতে ব্যস্ত।

শুধু কি তাই! যতক্ষণ ছিলাম পুরোটা সময় যে গানগুলো বেজে যাচ্ছিলো, তার প্রতিটি ছিল ৯০ দশকের সিনেমা ও অ্যালবামের বিখ্যাত সব শিল্পীদের গান।

পাশেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে হুমায়ুন আহমেদের হিমু-মিসির আলি, তিন গোয়েন্দা, ফেলুদা ও কাকাবাবু সিরিজের কিছু বই। তার ওপরে রাখা একটি পুরোনো আমলের চেরাগ প্রদীপ আর একটি টেপ রেকর্ডার, যেটাতে ফিতার ক্যাসেট চালিয়ে আগেকার দিনে গান বাজানো হতো। ক্যাসেটে গান বাজানোর প্রচলন না থাকলেও দুই ক্যাসেটের মাঝে টিস্যুকে ভাজ করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে বানরের খেলা দেখানোর সময় শব্দ তৈরিতে একধরণের ডুগডুগি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করার প্রচলন ছিল। এতোকাল পরে এই দুর্লভ জিনিসটির দেখা মিললো এখানে। ছোট বেলায় খেলা করা সেই খেলনা পিস্তল ও ব্রিক গেমও এককোণে দাড় করে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ ৯০’র দশকের ছোট ছোট সবকিছুকে এখানে বিশেষ কায়দায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

খাবার মেনুতে যা যা পাবেন

প্রায় ২০ মিনিট পর আমার অর্ডার করা খাবার চলে আসলো। সরিষার তেল দিয়ে রান্না করা খিচুরির সুঘ্রাণ নাকে এসে লাগতেই, বৃষ্টি হলেই বাঙালির খিচুরির সাথে প্রেম ও সখ্যতার যে মহিমা তা বুঝতে পারলাম। আচারি গরুর সাথে খিচুড়ি খেতে খেতে ডুবে গেলাম এর স্বাদে ও ঘ্রাণে, সাথে ছিলো ডিম, বেগুন ও সালাদ। এ যেন পুরো বাঙালিয়ানা ভোজ। তারপর ডেজার্ট অর্ডার করার জন্য মেনু বইটি হাতে নিয়ে চোখ বুলাতে যেয়ে একরকম বিস্মিত হলাম বলা চলে।

এখানে অন্যসব রেস্টুরেন্টের মতো ডেজার্ট হিসেবে পেস্ট্রি, আইস্ক্রিমের মতো আইটেমগুলো ছিল না।  দেখতে পেলাম ডেজার্ট হিসেবে এখানে পাওয়া যায় কটকটি, মালাই পেস্তা কুলফি, হাওয়াই মিঠাই, শন পাপড়ি ও তিলের খাজা। এগুলো কিন্তু এখন খুব বেশি দেখা যায় না বললেই চলে। কিন্তু আমার মতো নব্বইয়ের দশকে যাদের শৈশব কেটেছে তারা জানে এই প্রতিটির আইটেমের সাথে জড়িয়ে রয়েছে কতোশতো  স্মৃতি ও শৈশবে করা বায়না।

মেনুতে প্রতিটি আইটেমের পাশেই দাম লিখে রাখা আছে। যার প্রতিটি পড়বে একজনের জন্য ২০/৩০ টাকা করে। মালাই পেস্তা কুলফির দামটা একটু বেশি ছিল, প্রতিটি ৮৫ টাকা। তারা জানালেন এটা তাদের রেস্তোরাঁয় বেশ জনপ্রিয়। তাই অর্ডার করে বসলাম।  চামচে ভেঙে মুখে দিতেই মনে হলো, নাহ একটুও বাড়িয়ে বলেননি। দুধ ও পেস্তা বাদামের স্বাদের এই কুলফি অনায়াসে এক বসায় কয়েকটি খাওয়া যাবে। এটার স্বাদ এতোটাই তৃপ্তির ছিলো যে, খাবার খাওয়ার পর একটি পেস্তা মালাই কুলফি আপনার মনকে চাঙা করে দিতে পারে। আমি এটার সাথে শন পাপড়ি নিয়েছিলাম। বাইরে ফুটপাতে বিক্রি হওয়া শন পাপড়ির থেকে এটা অনেক ফ্রেশ ছিল, আর একটু ভারি পুরু ছিল।

মেনুতে আরও যা যা আছে- চিকেন, কর্ণ ও ভেজিটেবল মিলিয়ে ৬ রকমের স্যুপ পাওয়া যায় এখানে। যারমধ্যে ’90’s special’ ২ ধরনের স্যুপ রয়েছে। আবার চাইলে কেউ স্যুপ কম্বো নিতে পারবে, যেখানে স্যুপের সাথে যোগ হবে সোনালি করে ভাজা মুরগি ও অন্থন।

মেইন খাবারে বাংলা প্ল্যাটারের পাশাপাশি এখানে চাইনিজ ও থাই খাবারও পাওয়া যাবে। বোধ করি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সামঞ্জস্য রাখতেই এটা করা হয়েছে। বাংলা প্ল্যাটারের মধ্যে রয়েছে স্পেশাল খাসির তেহারি। অর্থাৎ বেশিরভাগ রেস্তোরাঁয় গরুর তেহারি পাওয়া যায় এবং মূলত খাসির কাচ্চি দেখা যায়। এখানে একটু ভিন্নতা আনতে খাসির তেহারি আইটেমটি রেখেছে।

এছাড়াও আছে শাহী পোলাও, বিফ ভুনা খিচুড়ি ও বিয়ে বাড়ির স্পেশাল চিকেন ফ্রাই ও রোস্ট। বিয়ে বাড়ির রোস্ট মোটামুটি সব জায়গায় পাওয়া গেলেও চিকেন ফ্রাইয়ের প্রচলন কমে গেছে। বর্তমানে হাতে গোনা কয়েকটা গ্রামের বিয়ে অনুষ্ঠানে এই আইটেমটি দেখা যায়। তাই ভাবলাম একবার পরখ করে দেখি সেই চিকেন ফ্রাইয়ের স্বাদ।

গরম গরম বিয়ে বাড়ির স্পেশাল চিকেন ফ্রাইয়ের সাথে সোনালি করে ভাজা মুরগি হাজির। সাথে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে ঝাল টমেটো সস ও মেয়নিজ সস। সোনালি মুরগি ভাজাগুলো কেএফসি বা সিপি চিকেন ভাজার মতো না। এটির বাইরের আবরণে খুব বেশি ময়দা বা স্টার্চ দেওয়া হয়না। সোনালি রঙে হালকা আবরণে ভাজা মুরগির ভেতরের দিকটা ভালোভাবে মসলায় সিদ্ধ হয় বলেই এটি খেতে বেশ সুস্বাদু। কিন্তু আমি আগ্রহী ছিলাম বিয়ে বাড়ির স্পেশাল চিকেন ফ্রাইয়ের স্বাদ পরখ করতে। গরম গরম স্পেশাল চিকেন ফ্রাই মুখে দিতেই মনে হলো, এইতো সেই স্বাদ যেটা বহুকাল আগে গ্রামের এক আত্মীয়ের বিয়েতে শেষবার খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো। টোস্ট বিস্কুটের গুড়া দিয়ে ভাজা এই চিকেন ফ্রাই আসলেই স্পেশাল আইটেম এটা বলার আর বাকি রাখে না।

এছাড়াও পাওয়া যাবে নানা পদের স্ন্যাকস আইটেম, ঠান্ডা জুস ও শেক আইটেম। মেনু বইতে প্রতিটি আইটেমের পাশেই দাম ও পরিমাণ উল্লেখ করা রয়েছে।

ব্যক্তিক্রমী ধারণার পেছনে 

কিছুক্ষণ পরেই রেস্তোরাঁর মালিক ‘আব্দুল্লাহ আল আমিন’ কিচেনের দায়িত্ব শেষ করে বাইরে আসলেন। নিজ হাতে কিচেনের এতো কিছু সুনিপুণভাবে সামলেছেন দেখে তিনি নিজেই এই রেস্তোরাঁর রাধুনি কিনা জিজ্ঞেস করে বসলাম। একটু হেসে তিনি জানালেন-আজকে তাদের অনলাইন অর্ডারের চাপ বেশি থাকায় তিনি কর্মীদের হাতে হাতে কাজ এগিয়ে দিয়েছেন। প্রতিদিন দুপুর থেকে তিনি রেস্তোরাঁয় এসে হাজির হন, সবকাজ ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা দেখার পাশাপাশি কর্মীদের কাজে সহযোগিতা করতে।

রেস্তোরাঁর এই ভিন্নধর্মী নাম ও সজ্জার কথা কীভাবে মাথায় আসলো এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান,  ছোটবেলা থেকেই বাবা-মা দুজনে চাকুরিজীবী ছিলেন, তাই ঘরে টুকটাক রান্নার হাতে খড়ি হয়েছিল তার। তারপর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনাকালীন প্রায়ই ভাবতেন ভবিষ্যতে একটা রেস্টুরেন্ট দেবেন।

“কিন্তু রেস্টুরেন্ট খোলার পরিকল্পনাটা যদিও আরো পরে ছিল। তারপর বাবার চাকরির সুবাদে ভারতে কয়েক বছর থাকতে হয়েছিলো। সে সময় আমার নিজ দেশ ও শৈশবের দিনগুলোকে অনেক মনে পরতো। মনে হতো আবার যদি ফিরে যেতে পারতাম সেই শৈশবের দিনগুলোতে, ফেলে আসা সেই ৯০ এর দশকে। তারপর দেশে এসে আত্মীয় ও পরিচিতদের থেকে ঋণ নিয়ে এই রেস্টুরেন্টটি দেই”।

এরপর নিজের শৈশবের স্মৃতির সাথে মিল রেখে রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন করার পরিকল্পনা করেন তিনি। এজন্য তাকে বেশ কাঠখড় পুড়িয়ে সব কিছু বিভিন্ন জায়গা থেকে খুঁজে বের করতে হয়েছে।

“একসাথে এতোগুলো লাটিম খুঁজে বের করার কাজটা সহজ ছিলনা। এখন আর ক্যাসেটের প্রচলন নেই তাই ওগুলো কোথাও খোঁজ করে পাচ্ছিলাম না। কয়েকজনের কাছে ব্যক্তিগতভাবে কিছুকিছু সংরক্ষণ করা থাকলেও তারা তা দিতে নারাজ ছিলেন।”

এভাবেই কখনো পুরান ঢাকার অলি গলি, বাজার, চকবাজার এবং টাংগাইল ঘুরে ঘুরে এগুলো জোগাড় করেছেন তিনি। তার মতো নাইন্টিজ কিডদের স্মৃতিরোমন্থন করে তুলতে রেস্টুরেন্টটিক ৯০ এর দশকের আবহে সাজিয়ে তুলেছেন।

রেস্টুরেন্টটিতে ৬০ জন একসাথে বসে খাবার মতো ব্যবস্থা রয়েছে। তবে ৮ জন কর্মীকে হিমশিম খেতে হয় বেশি লোকের চাপ সামলাতে। অনলাইন খাবার অর্ডার করার অ্যাপ ফুডপান্ডা ও পাঠাও সার্ভিসে রেস্টুরেন্টটি অন্তর্ভুক্ত থাকায় লোকেদের ভিড় একটু কম হয় মাঝে মধ্যে।

রেস্তোরাঁটির মালিক আরও জানালেন, দ্রর্ব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই সময়তে দাম অপরিবর্তনশীল রাখলেও খাবারের মানে কোনরকম আপোষ রাজি না তিনি । ব্যবসায় দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে টিকে থাকতে চান তিনি। এবং  ভবিষ্যতে ধানমন্ডিতে রেস্টুরেন্টটির একটি শাখা খোলার পরিকল্পনা করছেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com