নরওয়ের ভিসা এপ্লিকেশান এর ডকুমেন্টস প্রস্তুত করতে অনেকেই কনফিউজ থাকেন, আজকের এই পোষ্টে চেষ্টা করবো ভিসা এপ্লিকেশানের সময় ডকুমেন্টস জনিত সকল কনফিউশান দূর করতে! তাহলে শুরুতে এপ্লিকেন্টের ডকুমেন্টস চেকলিষ্ট দিয়েই শুরু করি,পর্যায়ক্রমে স্পাউজ ও বেবীর চেকলিষ্ট থাকবে!
১) পাসপোর্টঃ
মিনিমাম ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে। VFS এ সকল ডকুমেন্টস এর সাথে পাসপোর্ট জমা দিতে হয় এবং VFS সকল ডকুমেন্টস রেখে পাসপোর্টের পিছনের কভারে একটা স্টিকার লাগিয়ে ফেরত দিবে!
২) পাসপোর্ট এর ফটোকপিঃ
আপনার পাসপোর্ট যদি একদম নতুন হয়ে থাকে তাহলে শুধু ছবি ও ঠিকানার ডিটেইলস পেজের ফটোকপি দিলেই হবে। আর আপনার পাসপোর্টে যদি পূর্বের কোন ভিসা ও এন্ডোর্সমেন্ট এর পেজে কোন সিল পড়ে তাহলে সেটার ফটোকপিও জমা দিবেন। মোদ্দাকথা, আপনার পাসপোর্ট এর সকল ইউজেস পেজের ফটোকপি।
৩) এপ্লিকেশান ফর্মঃ
প্রথমে UDI এর ওয়েবসাইটের এই লিংকে গিয়ে “Application for a permit for residence or work (pdf, 2,0 MB)” ফর্ম ডাউনলোড করে নিবেন!
ওয়ার্ক পারমিট ( Optional) এপ্লিকেশান ফর্ম পূরণ করার নিয়ম নিয়ে আমার একটা বিস্তারিত ভিডিও আছে, ভিডিওটি দেখে
এপ্লিকেশান ফর্মটি পূরণ করে নিন! এপ্লিকেশান ফর্মটি ক্যাপিটেল লেটারে পূরণ করবেন ।👇
৪) পাসপোর্ট সাইজ ছবিঃ
নরওয়ের ভিসার জন্য ছবির সাইজ (35 mm x 45 mm) এবং ব্যাকগ্রাউন্ড হোয়াইট! নরওয়ের ভিসা সাইজ ফটো লিখে সার্চ দিলেই ডেমো পেয়ে যাবেন, সেটা দেখিয়ে স্টুডিও থেকে ছবি তুলে নিবেন।
৫) এডমিশান লেটার/অফার লেটারঃ
ভার্সিটি থেকে পাঠানো আপনার অফার লেটারটির ১ কপি জমা দিবেন।
৬) ফান্ড ট্রান্সপারের পেপারঃ
লিভিং এক্সপেন্স এর জন্য নরওয়েতে টাকা পাঠানোর পরে ভার্সিটি ফিরতি মেইলে টাকা প্রাপ্তির যে পিডিএফ ফাইলটা পাঠায় সেটার প্রিন্ট কপি!
৭) UDI চেকলিস্টঃ
এই লিংক এ গিয়ে যে যে ডকুমেন্টসগুলো আপনি জমা দিবেন সেগুলাতে টিক দিয়ে Print বাটনে ক্লিক করে Destination এ গিয়ে Save as PDF করে PDF ফাইলে সেভ করে নিন! অতপর কলম অথবা পিডিএফ ফাইল ইডেট করে আপনার নাম ও জন্ম তারিখ লিখে দিন! আপনার সিগনেচার অবশ্যই কলম দিয়ে লিখে দিবেন!
8) হাউজিং এর কন্ট্রাক পেপারঃ
ইউনিভার্সিটি হাউজিং কিংবা প্রাইভেট হাউজিং যেটাই হোক, হাউজিং এর কন্ট্রাকপেপার/কনফারমেশানের ডকুমেন্টস জমা দিবেন।
৯) ভিসা পেমেন্ট রিসিটঃ
এই লিংকে গিয়ে আপনার নাম, বার্থ ডে, পাসপোর্ট নাম্বার দিবেন । অনেকেই কনফিউজিং হয়ে যায় Case Order ID দেখে, এটা ফাঁকা রাখবেন,এটাতে কিছু দেবার দরকার নেই!
এর পরে আপনার যদি নিজের ক্রেডিট কার্ড হয় তাহলে ক্রেডিট কার্ডের ইনফরমেশান দিয়ে পে করবেন (১৪৫৫ ডেনিশ ক্রোনার)! যদি ক্রেডিট কার্ড আপনার পরিচিত অন্য কারো হয়ে থাকে তাহলে তার কার্ড ডিটেইলস দিয়ে পে করবেন। পে করার পরে রিসিট ডাউনলোড করে নিতে পারবেন, আপনাকে মেইলেও রিসিটটা পাঠিয়ে দিবে, এটা প্রিন্ট করে জমা দিবেন!
(রিসিটের মধ্যে ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারের নাম, ডিটেইলস থাকবে, এটা নিয়ে কনফিউজড হবার দরকার নেই! ডান কর্নারে দেখবেন একটা Punches no আছে, এটাতেই আপনার সকল ইনফরমেশান আছে!)
১০) VFS এপোয়েনমেন্ট লেটারঃ
VFS এর এপোয়েনমেন্ট লেটারটির প্রিন্ট কপি VFS এ ডুকার সময় হাতে রাখবেন, এটা দেখেই আপনাকে টোকেন দিবে এবং সেটা দেখিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে হবে!
১১) নগদ টাকাঃ
VFS এর ভিতরে ১১৭১ টাকা নগদ জমা দিতে হবে! খুচরা করে নিয়ে গেলে ভালো।
১) স্পাউজের পাসপোর্টঃ মেয়াদ মিনিমাম ৬ মাস থাকতে হবে।
২) স্পাউজের পাসপোর্টের ফটোকপিঃ পাসপোর্টের সকল ইউজেস পেজ।
৩) মেইন এপ্লিকেন্টের পাসপোর্টের ফটোকপিঃ
মেইন এপ্লিকেন্টের পাসপোর্টের সকল ইউজেস পেজের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
৪) ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৫) স্পাউজের বার্থ সার্টিফিকেটঃ
স্পাউজের বার্থ সার্টিফিকেট ল মিনিষ্ট্রি ও ফরেন মিনিষ্ট্রি থেকে এটাস্টেড করতে হবে!
৬) ম্যারেজ সার্টিফিকেট ও নিকাহনামাঃ
বার্থ সার্টিফিকেটের মত এগুলাও এটাস্টেড কপি জমা দিতে হবে! নিকাহনামা এটাস্টেড করতে নিকাহনামাটা A4 সাইজের পেজে প্রিন্ট নিয়ে সেটাকে এটাস্টেড করে নিবেন। VFS তাদের প্রিন্ট করার সুবিধার্থে আপনার কাছে লিগাল সাইজের পরিবর্তে A4 সাইজের নিকাহনামা দিতে বলবে।
৭) এপ্লিকেশান ফর্মঃ
মেইন এপ্লিকেন্টের তথ্যতে দেওয়া লিংক থেকে ফর্মটি ডাউনলোড করে নিন এবং এপ্লিকেশান ফর্মের1,2,3,6,7,9 নাম্বার অংশ মেইন এপ্লিকেন্টের ফর্মের মত করে স্পাউজের ইনফরমেশান দিয়ে পূরণ করতে হবে! 4 (a) তে মেইন এপ্লিকেন্টের তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে এবং 4 এর b,c,d ও5,8,10 নং ঘর ফাঁকা থাকবে! 9 নং ঘরে কলম দিয়ে স্পাউজ সাইন করবেন।
8) UDI চেকলিষ্টঃ
এই লিংকে গিয়ে স্পাউজের যে যে ডকুমেন্টসগুলো আপনি জমা দিবেন সেগুলাতে টিক দিয়ে Print বাটনে ক্লিক করে Destination এ গিয়ে Save as PDF করে PDF ফাইলে সেভ করে নিন! কলম দিয়ে সাইন করুন।
স্পাউজের চেকলিস্টের নিচে যে প্রশ্নগুলো (১৫টি) দিতে বলছে,সেগুলা আপনি একটা ওয়ার্ড ফাইলে (প্রশ্ন–উত্তর) লিখবেন এবং সেই পেজটা এই চেকলিষ্টের সাথে এড করে দিয়েন (এই এক্সট্রা পেজের উপরের কর্ণারে স্পাউজের নাম, জন্ম তারিখ এবং পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে দিতে পারলে ভালো!)
৯) ব্যাংক স্ট্যাটমেন্টঃ
স্পাউজের জন্য বাংলাদেশে যে কোন ব্যাংকে দেখানো ১৬ লাখ টাকার ব্যাংক স্ট্যাটমেন্টের কপি + এপ্লিকেন্টের ভার্সিটিতে লিভিং কস্ট হিসেবে পাঠানো ফান্ড ট্রান্সফারের কপি সাথে দিয়ে দিবেন। ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট ব্যাংক থেকে কালেক্ট করবেন, অনলাইন কপি জমা দিবেন না,কারন অনলাইন কপিতে ব্যাংকের সিল থাকে না!
১০) এক্সট্রা ডকুমেন্টসঃ
“Questions about the relationship between the spouses in family immigration cases” নামে একটি ফর্ম আছে UDI এর ওয়েবসাইটে! এই লিংক থেকে ডাউনলোড করে জমা দিবেন এবং এই ফর্মে যে ছবিগুলো দিতে বলা হয়েছে সেই ছবি যদি আপনি দিতে চান,তাহলে একটা A4 সাইজের পেজে প্রিন্টকরা ছবিগুলো গ্লু/আটা দিয়ে লাগিয়ে দিবেন,সম্ভব হলে ছবির নিছে ক্যাপশন দিয়ে দিবেন!
(পুনশ্চঃ এই ফর্মে লিখা আছে, এই ফর্মটা পূরণ করে জমা দিলে এপ্লিকেশানের ডিসিশান দ্রুত পাওয়া যায় এবং এটাতে তাদের কাঙ্খিত এন্সার পেয়ে গেলে আর ইন্টারভিউর জন্য কল করে না)
১১) ভিসা পেমেন্ট রিসিটঃ
এপ্লিকেন্টের মত করে বেবীর ইনফরমেশান দিয়ে বেবীর ভিসা ফি পে করে দিবেন! এপ্লিকেশন ফি সেইম (১৪৫৫ ডেনিশ ক্রোনার)
১২) VFS এপোয়েনমেন্ট লেটারঃ
VFS এর এপোয়েনমেন্ট লেটারটি প্রিন্ট করে VFS এ ডুকার সময় হাতে রাখবেন, এটা দেখেই আপনাকে টোকেন দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে হবে!
১৩) নগদ টাকাঃ
VFS এর ভিতরে ১১৭১ টাকা নগদ জমা দিতে হবে! খুচরা করে নিয়ে গেলে ভালো।
পুনশচঃ চেকলিস্টে উল্লেখিত অরজিনাল ডকুমেন্টস গুলোও সাথে নিয়ে যাবেন!
১) বেবীর পাসপোর্টঃ মেয়াদ মিনিমাম ৬ মাস থাকতে হবে।
২) পাসপোর্টের ফটোকপিঃ পাসপোর্টের সকল ইউজেস পেজ।
৩) মেইন এপ্লিকেন্টের পাসপোর্টের ফটোকপিঃ
মেইন এপ্লিকেন্টের পাসপোর্টের সকল ইউজেস পেজের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
৪) বেবীর বার্থ সার্টিফিকেটঃ
বেবীর বার্থ সার্টিফিকেট ল মিনিষ্ট্রি ও ফরেন মিনিষ্ট্রি থেকে এটাস্টেড করতে হবে!
৫) ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৬) এপ্লিকেশান ফর্মঃ
মেইন এপ্লিকেন্টের তথ্যতে দেওয়া লিংক থেকে ফর্মটি ডাউনলোড করে নিন এবং এপ্লিকেশান ফর্মের 1,2,3,6,7,9 নাম্বার অংশ মেইন এপ্লিকেন্টের ফর্মের মত করে বেবীর ইনফরমেশান দিয়ে পূরণ করতে হবে! 4 (a) তে মেইন এপ্লিকেন্টের তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে এবং 4 এর b,c,d ও 5 নং ঘর ফাঁকা থাকবে!
8 নং ঘরে মেইন এপ্লিকেন্টের তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। 9 নং ঘরে মেইন এপ্লিকেন্ট নিজ নামে সিগনেচার করবে (যদি বেবী সিগনেচারের উপযুক্ত বয়স না হয়) এবং 10 নং ঘরে বাবা ও মায়ের সাইন দিতে হবে।
৭) UDI চেকলিষ্টঃ
এই লিংকে গিয়ে বেবীর যে যে ডকুমেন্টসগুলো আপনি জমা দিবেন সেগুলাতে টিক দিয়ে Print বাটনে ক্লিক করে Destination এ গিয়ে Save as PDF করে PDF ফাইলে সেভ করে নিন!
বেবীর চেকলিস্টের নিচে যে প্রশ্নগুলো/ইনফরমেশান দিতে বলছে সেগুলা আপনি পিডিএফ ইডেট করে লিখে দিবেন। (পিডিএফ এ কিভাবে লিখতে হয় সেটা ইউটিউবে সার্চ দিয়ে দেখে নিন) এবং সিগনেচার অবশ্যই কলম দিয়ে লিখে দিবেন!
১১ ও ১২ নাম্বারে দাদা দাদী ও নানা নানীর এবং বেবীর ভাই–বোন থাকলে তাদের নাম ও ঠিকানা আলাদা একটা ওয়ার্ড ফাইলে লিখে সেই পেজটা এই চেকলিষ্টের সাথে এড করে দিয়েন (এই এক্সট্রা পেজের উপরের কর্ণারে বেবীর নাম, জন্ম তারিখ এবং পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে দিতে পারলে ভালো!)
8) ব্যাংক স্ট্যাটমেন্টঃ
স্পাউজের জন্য বাংলাদেশে ব্যাংকে দেখানো ১৬ লাখ টাকার ব্যাংক স্ট্যাটমেন্টের কপি + ভার্সিটিতে লিভিং কস্ট হিসেবে পাঠানো ফান্ড ট্রান্সফারের কপি দিয়ে দিবেন।
৯) ভিসা পেমেন্ট রিসিটঃ
এপ্লিকেন্টের মত করে বেবীর ইনফরমেশান দিয়ে বেবীর ভিসা ফি পে করে দিবেন! এপ্লিকেশন ফি সেইম (১৪৫৫ ডেনিশ ক্রোনার)
১০) VFS এপোয়েনমেন্ট লেটারঃ
বেবীর VFS এর এপোয়েনমেন্ট লেটারটি/মেইলটি প্রিন্ট করে VFS এ ডুকার সময় হাতে রাখবেন, এটা দেখেই টোকেন দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে দিবে! বেবীর সাথে মেইন এপ্লিকেন্টVFS এর ভিতরে গিয়ে ডকুমেন্টস জমা দিতে পারবে! বেবীর কোন কাজ নাই আসলে, ওরা জাস্ট পাসপোর্ট এর সাথে চেহারা মিলিয়ে দেখবে।
১১) নগদ টাকাঃ
VFS এর ভিতরে ১১৭১ টাকা নগদ জমা দিতে হবে! খুচরা করে নিয়ে গেলে ভালো।
পুনশচঃ চেকলিস্টে উল্লেখিত অরজিনাল ডকুমেন্টস গুলোও সাথে নিয়ে যাবেন!