নরওয়ে স্টুডেন্ট ভিসা: বাংলাদেশিদের জন্য তথ্য
নরওয়েতে পড়াশোনা করা আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এখানে নরওয়ে স্টুডেন্ট ভিসা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়তা
নরওয়ের বাচেলর ও মাস্টার প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য আপনাকে কিছু বিশেষ শর্ত পূরণ করতে হবে:
1. **বাচেলর প্রোগ্রামের জন্য**:
– **জিপিএ**: ৪.০ স্কেলে ২.৫ (বা সমমান)।
– **ভাষার দক্ষতা**: ইংরেজিতে ৬.৫ স্কোরের IELTS বা TOEFL এর সমমানের স্কোর প্রয়োজন।
2. **মাস্টার প্রোগ্রামের জন্য**:
– **জিপিএ**: ৪.০ স্কেলে ৩.০ (বা সমমান)।
– **ভাষার দক্ষতা**: একই IELTS বা TOEFL স্কোরের প্রয়োজনীয়তা।
টিউশন ফি
নরওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সাধারণত টিউশন ফি নেই; তবে কিছু বিশেষায়িত প্রোগ্রামে ফি থাকতে পারে, যা NOK ০ থেকে NOK ১৫,০০০ প্রতি সেমিস্টার হতে পারে।
পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ
আন্তর্জাতিক ছাত্ররা পড়াশোনা করার সময় পার্ট-টাইম কাজ করতে পারেন। তারা প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন, এবং ছুটির সময়ে পূর্ণ সময় কাজের সুযোগ রয়েছে। এটি তাদের জীবনের ব্যয় মেটাতে সাহায্য করতে পারে। গড় আয় প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ২০০ NOK পর্যন্ত হতে পারে।
স্নাতকোত্তরের পর সুযোগ
পড়াশোনা শেষ করার পর, গ্র্যাজুয়েটরা ১৮ মাসের চাকরি খোঁজার অনুমতি পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। পড়াশোনা শেষ করার পর স্থায়ী নিবাস (PR) পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
দূতাবাসের তথ্য
বাংলাদেশে নরওয়ের দূতাবাস সরাসরি নেই; বরং ঢাকা শহরের ডেনিশ দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসা আবেদন পরিচালিত হয়।
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
স্টুডেন্ট ভিসার জন্য সাধারণত নিচের ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়:
1. **ভর্তি প্রমাণ**: নরওয়েজিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নিশ্চিতকরণ।
2. **আর্থিক প্রমাণ**: জীবনের ব্যয় মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রমাণ (প্রায় ১২৬,০০০ NOK বার্ষিক)।
3. **স্বাস্থ্য বীমা**: স্বাস্থ্য বীমার প্রমাণ।
4. **পাসপোর্ট ও ID**: বৈধ পাসপোর্ট এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
5. **ভাষার দক্ষতা**: ইংরেজিতে ভাষার দক্ষতার প্রমাণ (IELTS/TOEFL স্কোর)।
6. **প্রেরণাপত্র**: ব্যক্তিগত বিবৃতি যা আপনার নরওয়ে পড়াশোনার কারণ ব্যাখ্যা করে।
Like this:
Like Loading...