শিগগিরই দেশে ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম কম ভাড়ার এয়ারলাইন্স সংস্থা উইজ এয়ার। ধারনা করা হচ্ছে, এয়ারলাইন্সটি চলতি বছরের মে মাসের মধ্যেই বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছ থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পাবে।
বেবিচকের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলি আলহামুদি। কূটনীতিক বিভিন্ন বিষয় আলোচনার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশে উইজ এয়ার পরিচালনার সহযোগিতা চান।
একইসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাতেও এ কথা বলেন আব্দুল্লা আলি আলহামুদি। বেবিচকের কাছে উইজ এয়ার তাদের ফ্লাইট পরিচালনার ইচ্ছার বিষয়টি অবগত করলে বেবিচক তাদের কূটনীতিক চ্যানেলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে আবেদন করার পরামর্শ দেয়।
এ প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, উইজ এয়ার ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছে। তবে আমরা আপাতত তাদের ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিতে পারছি না। তাদের ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ে আলোচনা আছে। শিগগিরই তাদের একটা ডেলিগেশন টিম ঢাকায় আসছে। তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
বিশ্বে কমদামি টিকিট বিক্রির জন্য বিখ্যাত এয়ারলাইন্স হিসেবে খ্যাতি আছে ‘উইজ এয়ারের’। ২০০৪ সালে অপারেশনে আসা উইজ এয়ার মূলত হাঙ্গেরিভিত্তিক এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ইউরোপে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর তারা আবুধাবিতে একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তাকে ‘উইজ এয়ার আবুধাবি’ নামকরণ করে। কোম্পানি আইনের ভাষায় উইজ এয়ার আবুধাবি মূলত উইজ এয়ারের একটি ‘ডটার কোম্পানি’।
এয়ারলাইন্সটির বর্তমানে ১৭৯টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। তারা বাংলাদেশি যাত্রীদের ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের দেশগুলোতে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এয়ারলাইন্সটি যাত্রীদের অনেক কমদামে টিকিট দেয়। তবে এটি শুধু যাত্রীর ভ্রমণ ভাড়া। ফ্লাইটে খাবার খেতে বা চেক-ইন লাগেজ নিতে হলে যাত্রীকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে।
শেয়ার নিউজ