বাংলাদেশ দূতাবাস পর্তুগালের কন্স্যুলার বিভাগে সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের দুর্ভোগের চিত্র নিত্যদিনের। কেউ এসেছেন পাসপোর্ট নবায়ন করতে আবার কেউ এসেছেন প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাগজ সত্যায়ন বা নানা সমস্যা নিয়ে।
প্রতিদিন এ মিশনে প্রায় একশো মানুষ আসেন পাসপোর্ট নবায়ন করতে। বাইরে যেমন সেবা প্রত্যাশীদের দীর্ঘ সারি তেমনি ওয়েটিং রুমেও রয়েছে উপচে পরা ভিড়। সময়মতো কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে প্রবাসীদের কেউ কেউ ভোর থেকে দাঁড়িয়েছেন লাইনে।
প্রতিদিন কন্স্যুলার সেবা নিতে আসা দুই শতাধিক সেবা প্রার্থীর জন্য এ বিভাগে আছেন মাত্র তিনজন কর্মকর্তা। বিপুল সংখ্যক প্রবাসীদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারাও। সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেও সময়মতো প্রত্যাশিত সেবা দেয়া সম্ভব না হওয়ায় অফিস করতে হচ্ছে নির্ধারিত সময়ের বাইরেও।
এছাড়া সম্প্রতি দুজন সচিবের একজনের বদলিজনিত কারণেও প্রকট হয়েছে জনবল সংকট। এমন পরিস্থিতিতে দূতাবাসে এসে সময়মতো প্রত্যাশিত কাজটি শেষ না করতে পেরে ভোগান্তিতে প্রবাসীরা। জনবল বাড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
প্রবাসীরা বলেন, লোকবল সংকটের কারণে আমরা বিড়ম্বনার সম্মুখিন হচ্ছি। এক কাজের জন্য অন্তত ৫ দিন আসতে হচ্ছে। এখানে প্রয়োজন অনুযায়ী লোকবল দেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
২০১২ সাল থেকে পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু হলেও ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ সরকারের কেনা নিজস্ব চ্যান্সারিতে সেবা দেয়া শুরু করে দূতাবাস। অবকাঠামোগত কোনো সীমাবদ্ধতা না থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে সেবা কার্যক্রম। সম্প্রতি অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় পর্তুগালে অভিবাসন প্রত্যাশীদের চাপ বেড়েছে।