শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন

দুবাই হচ্ছে এক স্বপ্নের শহর

  • আপডেট সময় সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪

আরব দেশে যাবার ইচ্ছে বহুদিনের। এ নিয়ে ভাবতেই চোখে ভেসে আসে শুধু ধু ধু মরুভূমি, জলশূন্য দিগন্ত, দলবদ্ধ উটের সারি। সূর্যের আলোয় চিকচিক করা লাল বালি। উঁচু-নিচু পাহাড়াকৃতির বালির বিস্তীর্ণ এলাকা।

কালের বিবর্তনে হাজারো পরিবর্তন এসেছে মরুর বুকে। সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্বের সুন্দর দেশগুলোর একটি। আর দুবাই হচ্ছে এক স্বপ্নের শহর! অত্যাধুনিকতা এবং নান্দনিকতার জন্য দুবাই শহরটার পরিচিতি আজ বিশ্বজোড়া। সংযুক্ত আরব আমিরাত সাতটি অঞ্চলের সমন্বয়ে গঠিত একটি দেশ। দেশটির রাজধানী হলো আবুধাবি।

দুবাইকে বহুজাতিক সংস্কৃতির মিলনমেলা বলা হয়ে থাকে। এখানে প্রায় দুশ’রও বেশি জাতির মানুষ একসঙ্গে বসবাস করে। আপনি যে দেশ থেকেই দুবাই বেড়াতে যান না কেন, স্বদেশী মানুষের দেখা পাবেনই।

দুবাইয়ে পাবেন বিচিত্র স্বাদের সব খাবার। দুবাইবাসীদের নিজস্ব খাবার তো আছেই। এছাড়া আরও পাবেন- হিন্দী, পাঞ্জাবী, মারাঠী, পাকিস্তানী, চাইনিজসহ বিভিন্ন দেশের বিচিত্র খাবারের দারুণ সমারোহ। আরও আছে ফ্রেঞ্চ, জাপানিজ, ব্রিটিশ, মেক্সিকানসহ নানা খাবার। এখানে বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা বেড়াতে আসেন রসনা বিলাসের জন্য।

পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত দুবাইকে পৃথক করেছে দুবাই খাল। খালের এক পাশে অত্যাধুনিক আকাশচুম্বি অট্টালিকা দেইরা দুবাই অন্যপাশে প্রাচীন ঐতিহ্যধারণ করা বার দুবাই। আমরা নৌকা দিয়ে বার দুবাই ঘুরে আসি। দুবাইয়ের প্রকৃত অধিবাসীদের বাস বার দুবাইয়ে। প্রাচীন দুবাইকে দেখতে হলে বার দুবাই অবশ্যই ঘুরে দেখতে হবে। বার দুবাইয়ের অনেকটা জায়গা ঘুরি হেঁটে হেঁটে।

সন্ধ্যা হয়ে গেছে, দেরা দুবাই ফিরে একটু নাস্তা করে ইউনিয়ন মেট্রো স্টেশন থেকে রওনা হই দুবাই মলের উদ্দেশে। মেট্রোর অভিজ্ঞতা ছিল চমৎকার! ৪/৫ মিনিট পরপর স্টেশন, কয়েকটা স্টেশন পার হয়ে আমরাও পৌঁছে যাই দুবাই মলে। হেঁটে চলে যাই দুবাই মলের ভেতরে সেখানে ঘোরাঘুরি করি। দুবাই মল আর বুর্জ খলিফা পাশাপাশি। এখানকার সুউচ্চ অট্টালিকাগুলো সত্যি দেখার মতো। বিখ্যাত বুর্জ আল খলিফা, যা কিনা এখন পর্যন্ত মানুষ নির্মিত সবচেয়ে উঁচু স্থাপনা। তবে শুধু বুর্জ খলিফা নয়, সমগ্র দুবাই মিলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পৃথিবীর অন্যতম সেরা কিছু অট্টালিকা। এর মধ্যে আছে মেরিনা ১০১, প্রিন্সেস টাওয়ার, ২৩ মেরিনা, এলিট রেসিডেন্স, আলমাস টাওয়ার এবং আরও অনেক। এগুলো শুধু উঁচুই না, এসব অট্টালিকাগুলোর ভেতরটাও অনেক জাঁকজমকপূর্ণ। দুবাই বেড়াতে গেলে এসব আকর্ষণীয় সুউচ্চ ভবনগুলো আপনাকে মুগ্ধ করবেই।

বুর্জ খলিফা, যা একইসঙ্গে একটি সাত তারকা হোটেল, মসজিদ, বিনোদন কেন্দ্র, নাইট ক্লাব, এ্যাপার্টমেন্ট, অফিস এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্যবেক্ষণ ডেক হিসেবে বিখ্যাত। ১৬০ তলাবিশিষ্ট ‘বুর্জ খলিফা’র মোট উচ্চতা ২,৭১৭ ফুট। যার অবকাঠামো করা হয়েছে রকেটের মতো। এ ভবনে ঘণ্টায় ৪০ মাইল গতি বেগে চলে এমন মোট ৫৪টি এলিভেটর আছে। এছাড়া যাদের নিজস্ব হেলিকপ্টার রয়েছে, তাদের জন্য রয়েছে হেলিপ্যাড ব্যবস্থা।

পর্যটকদের কাছে এটি নিঃসন্দেহে আরব আমিরাতের সবচেয়ে দর্শনীয় এবং আকর্ষণীয় স্থান। এই ভবনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা হলো ১২৪ তলার উপরে প্রকৃতি দর্শনের জন্য পর্যবেক্ষণ ডেকটি। যেখান থেকে শুধু দুবাই নয়, আরবের একটি বৃহৎ অংশ পর্যবেক্ষণ করা যায়। ভূমি ছেড়ে এই ভবনটি এতটাই উপরে উঠেছে যে, একই বিল্ডিংয়ে থাকা সত্ত্বেও এখানকার মানুষজন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে পান। শুধু উচ্চতাই নয়, বুর্জ খলিফার আভিজাত্য এবং চোখ ধাঁধানো নির্মাণশৈলী এক মুহূর্তেই যে কাউকে বিমোহিত করবে।

রাতের বুর্জ খলিফাতে লেজার শো মনে রাখার মতো। আর দুবাই ফাউন্টেইনের ওয়াটার শো তো আছেই। ফাউন্টেইনে পানির বিচিত্র খেলা সত্যিই মনোমুগ্ধকর। এটিই পৃথিবীর সব থেকে বড় ফাউনন্টেইন। এখানকার বিশাল কৃত্রিম ওয়াটার ডান্স প্রায় সাড়ে ছয় হাজার সঙ্গীতের সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ৩ থেকে ৬ মিনিট ধরে নৃত্য পরিবেশন করে। সন্ধ্যায় এই ফাউন্টেইনে যুক্ত হয় ৬ হাজার ৬০০টি সুপার লাইট এবং ২৫টি রঙের প্রজেক্টর। যা পানির ধারাকে বহুরূপে প্রকাশ করে। এমন কি রঙিন আলোকরশ্মির ঝলমল সেই আলো ২০ মাইলেরও বেশিদূর থেকে দেখা যায়। প্রতি ১৫-২০ মিনিট অন্তর এই ওয়াটার ডান্স দেখা যায়। আমরা রাতের বেলায় বেশ উপভোগ করি ফাউনন্টেইন। হাজার হাজার পর্যটকরা দাঁড়িয়ে মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখছে, ছবি তুলছে, কেউ বা ভিডিও করছে। সেদিন অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় অন্য কোথায় যাওয়া হয়নি।

পরদিন সকালে দুবাইয়ের গোল্ড সোক মার্কেটে অযথা ঘোরাঘুরি করলাম। দুবাইয়ের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে এখানকার বিশুদ্ধ এবং উন্নতমানের স্বর্ণের বিশাল বাজার। সবগুলো শপিংমলেই রয়েছে স্বর্ণের দোকান, তবে বিশেষভাবে যারা স্বর্ণ ভালবাসেন, তাদের জন্য দুবাইয়ের বিশেষ আয়োজন হলো গোল্ড সোক। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মার্কেট, যেখানে শুধুমাত্র স্বর্ণই কেনাবেচা হয়ে থাকে। এই সোক দুবাইয়ের ব্যবসার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। সঠিক দামে উন্নতমানের স্বর্ণ কেনার উদ্দেশ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রেতারা এই সোকে চলে আসেন। স্বর্ণের তৈরি সবচেয়ে বড় আংটি, স্বর্ণের তৈরি পোশাকসহ নানাকিছু রয়েছে এই গোল্ড মার্কেটে।

 

দুবাইয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা দারুণ। ট্রাম, মেট্রো, পাবলিক বাস সবই রয়েছে। শুধু জানতে হবে কোথায় কি রয়েছে। বাকিটা গুগল ম্যাপে সার্চ দিলেই কিভাবে যেতে হবে, বলে দেবে। কাছাকাছি কোথায় যেতে হলে তার জন্য ট্যাক্সি বা উবার তো আছেই। আর পরিচিত কারও গাড়ি থাকলে তো ঘোরার জন্য কোন চিন্তাই করতে হয় না। যেখানে খুশি সেখানেই যাওয়া যায়। ৫ম দিন সারাদিন ঘুরলাম শারজাহ এলাকায়। সকালে আজিজ ভাই আমাকে তার গাড়িতে নিয়ে যান শারজাহ। পরিবারসহ তিনি বসবাস করেন সেখানে। তার বাসায় দুপরের খাবার খেলাম। দূর দেশে তাদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ আমি। অনেক বাংলাদেশী, পরিচিত এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা হয় সেখানে।

আরব্য সংস্কৃৃতি, ঐতিহ্য ও শিল্পের সঙ্গেও আধুনিক প্রযুক্তির মিলন ঘটেছে শারজাহতে। ইসলামিক সভ্যতার জাদুঘরে বিরল হস্তনির্মিত শিল্পকর্ম এবং প্রাচীন ও সমকালীন শিল্পের ছোঁয়া রয়েছে শারজাহর শিল্প এলাকায়। এর সঙ্গে শারজাহর সাদা সৈকতের বিস্তীর্ণ এলাকাও ঘোরার জন্য আকর্ষণীয়।

শারজাহ বাণিজ্যিক এলাকা একটু ভাল করে ঘুরে দেখলে শ্রমজীবী মানুষদের জীবনমান একটু আন্দাজ করা যায়। সারা দিন ঘোরাঘুরি শেষে রাতে ফিরলাম দুবাইয়ে, বোন-দুলাভাইয়ের আলয়ে।

পরের দিন ৬ষ্ঠ দিন। আমার যাত্রা আবুধাবি। আবুধাবি হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী। দুবাই শহর থেকে গাড়িতে ১.৫/২ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। দুবাই-আবুধাবির মূল সড়ক শেখ জায়েদ মহাসড়ক। সঙ্গে আমাদের এলাকারই ভাই জুবায়ের আহমেদ। তার নিজস্ব গাড়িতে সকালে রওনা দিলাম আবুধাবির দিকে। উদ্দেশ্য শেখ জায়েদ মসজিদ পরিদর্শন। আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর মসজিদ এই শেখ জায়েদ মসজিদ। এটি দেখতে প্রচুর মানুষ আসে। দেখার মতো একটা মসজিদ। যে কোন ধর্মের লোকই ঘুরেফিরে দেখতে পারে এই মসজিদ। বিভিন্ন দেশের অনেক পর্যটক ভিড় করেন মসজিদটি দেখতে। মেয়েরা, যারা বোরকা না পরে আসে, তাদের জন্য বোরকার ব্যবস্থা রয়েছে। এ মসজিদ দেখতে এলে অন্য ধর্মের সবাইকেই বোরকা পড়তে হয়!

সূর্য বিপরীত দিকে থাকায় ভাল করে ছবি তুলতে পারিনি। রোদেও তাপ এতটাই ছিল যে, ভাল করে তাকানো যাচ্ছিল না।

মসজিদের ভেতরের নান্দনিক কারুকাজ যে কারও মনকে নাড়া দেবে। সঙ্গে আবুধাবি ম্যারিনা দেখে একটু ঘোরাঘুরি করে বিকেলে রওনা দিলাম দুবাইয়ের দিকে। মাঝপথে হাইওয়েতে একটি রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া-দাওয়া করলাম। রওনা হই জুমেরা এলাকায় উদ্দেশে। সেখান থেকে কয়েকটি জায়গা দেখা হয়।

দুবাইয়ের সব সমুদ্র সৈকতগুলোতে আপনাকে মনকে মুগ্ধ করবেই। দুবাই শহরটি পারস্য উপসাগরের ঠিক পাড়েই অবস্থিত। তাই সৈকতের কোন কমতি পাবেন না। এখানকার চমৎকার সূর্যালোক ও নিরাপত্তাবেষ্টিত সমুদ্র সৈকত পশ্চিমা নাগরিকদের কাছে অনেক জনপ্রিয়। এখানকার জনপ্রিয় সৈকতগুলোর মধ্যে আছে- জুমেইরাহ সৈকত, মেরিনা সৈকত, আল মামজার সৈকত, আজুর সৈকত এবং আরও অনেক কিছু।

প্রথমে বুর্জ আল আরবে যাই। বুর্জ আল আরব বিশ্বের একমাত্র বিলাসবহুল সাত তারকা হোটেল। ৩২১ মিটার লম্বা এই ভবনের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে অনেকটা পালতোলা জাহাজের মতো করে। যা জুমেইরাহ সৈকতে পাশে সমুদ্রের মাঝে একটি কৃত্রিম দ্বীপের ওপর তৈরি করা হয়েছে। উচ্চতার দৃষ্টিকোণ থেকে আকাশচুম্বি এই হোটলে বিশ্বের চতুর্থ সুউচ্চ ভবন। বুর্জ আল আরবের অত্যাধুনিক রাজকীয় অন্দরসজ্জা, দৃষ্টিনন্দন এ্যাকুরিয়াম এবং চমৎকার ইন্টেরিয়র ডিজাইন সবাইকে দারুণ এক অনুভূতির শিহরণ দেয়।

হোটেলের প্রতিটি রুমেই রয়েছে স্বর্ণের আইপ্যাড। যার মাধ্যমে আপনি সহজেই হোটেল এবং রেস্তরাঁর নানা তথ্য জানতে পারবেন। ব্যয়বহুল এই হোটেলে প্রতিরাত থাকার জন্য খরচ হবে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ দিরহাম, এত টাকা খরচ না করেও পাশে থাকা জুমেইরা সৈকতে বা হোটেলের সামনে গিয়ে নিজেকে ফ্রেমবন্দী করেই ফিরে এলাম।

আটলান্টিস/দি পাম : আটলান্টিস, দি পাম হচ্ছে একটি রিসোর্ট। যা দুবাইয়ের পাম জুমেইরাতে অবস্থিত। কৃত্রিম দ্বীপের উপর তৈরি এটিই বিশ্বের প্রথম রিসোর্ট। দি পামে প্রবেশ করার ঠিক পর মুহূর্ত থেকেই এর বিলাসিতা ও চোখ ধাঁধানো জৌলুস অন্য সবার মতো আমার মন কেড়ে নেয়। কয়েক দিনের অবসরে ছুটি কাটানোর জন্য এটি খুবই জনপ্রিয়। হলিউডের অনেক তারকাই এখানে আসেন তাদের অবসর সময় কাটাতে।

দুবাইয়ের পাম আইল্যান্ডটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় একটি জায়গা। যা মানুষের তৈরি কৃত্রিম দ্বীপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টিকারী। সমুদ্রের উপর বালি দিয়ে তৈরি দ্বীপগুলো এমনভাবে বসানো হয়েছে, যা উপর থেকে দেখতে একটি পাম গাছের মতো মনে হয়। এখানে রয়েছে সারি সারি বিলাসবহুল সব হোটেল আর রিসোর্ট। আরও রয়েছে নিজস্ব আবাসিক সৈকত, এ্যাপার্টমেন্ট, সুইমিং পুল, থিম পার্ক, রেস্তরাঁ, শপিংমল, হাসপাতাল এবং খেলাধুলার সুবিধা।

দুবাই ম্যারিনা, যেখানে রয়েছে বিশাল বিশাল সব আকাশছোঁয়া ভবন, বিলাসবহুল পেঁচানো টাওয়ার, সমুদ্র সৈকত, যা টুরিস্টদের মন কেঁড়ে নেয় এক নিমিষেই। এখানে ওয়াটার ট্যাক্সি নিয়ে ঘুরতে পারেন ম্যারিনার অন্যতম ক্রুজে। কিংবা প্রিয়জনদের সঙ্গে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে অসাধারণ একটি ডিনারও করে নেয়া যায়।

দুবাইতে কোটিপতিদের পাশাপাশি সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন দামী গাড়ি বহর রয়েছে পুলিশের কাছে। দুবাইতে ধনীরা শখের বসে বাঘ-সিংহের মতো ভয়ঙ্কর সব প্রাণী পোষে। নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান অনেক উঁচুতে। স্মার্ট দুবাই ঘটাচ্ছে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার। প্রযুক্তির দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে দুবাই এবং তাদের হাতে যেসব পরিকল্পনা রয়েছে তাতে করে অদূর ভবিষ্যতে তাদের উত্তরোত্তর উন্নতিই কেবল ঘটে চলবে।

দুবাই বিমানবন্দর পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম এবং ব্যস্ততম বিমানবন্দর। প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার বিমান ওঠানামা করে। দুবাই থেকে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে যাবার জন্য সরাসরি ফ্লাইট পাওয়া যায়, যেটা একটা চমৎকার সুবিধা। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।

১ সপ্তাহের জন্য দুবাই গিয়েছিলাম, কিন্তু দেখতে দেখতে ১৩ দিন পার হয়ে গেছে। ১৩ দিনের ভ্রমণ শেষে নিজ জন্মমাটি বাংলাদেশে ফিরে আসি। সহসাই আবার দেখা হবে মরুভূমি মরীচিকা বুকে ফুটে ওঠা বিশাল বিশাল অট্টালিকার অত্যাধুনিক শহরটিকে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com