দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে খবর,এই বাস নিত্যযাত্রীদের জন্য নয়। প্রমোদতরীতে যে সমস্ত পর্যটক উঠবেন,তাঁদের যাতায়াতের জন্য বাসটি চালু হচ্ছে। ৫২টি আসন বিশিষ্ট বিলাসবহুল বাসে থাকবে আলোর সমাহার, মিউজিক সিস্টেম। বাসটি নিউ দিঘা ও ওল্ড দিঘা থেকে যাত্রীদের নিয়ে ন্যায়কালী মন্দিরে পৌঁছবে।
চলতি বছরেই দিঘায় পর্যটকদের জন্য চালু হয়েছে প্রমোদতরী। এতে চড়ে সমুদ্রবক্ষ ঘুরে বেড়াতে পারবেন পর্যটকরা। উপভোগ করতে পারবেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও। তবে প্রমোদতরীতে যাওয়ার জন্য চালু হল ডবল ডেকার বাসও। ইতিমধ্যেই বাসটি পুরো দিঘা শহরে পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হয়েছে। আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য।
কারা উঠতে পারবেন এই বাসে?
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে খবর,এই বাস নিত্যযাত্রীদের জন্য নয়। প্রমোদতরীতে যে সমস্ত পর্যটক উঠবেন,তাঁদের যাতায়াতের জন্য বাসটি চালু হচ্ছে। ৫২টি আসন বিশিষ্ট বিলাসবহুল বাসে থাকবে আলোর সমাহার, মিউজিক সিস্টেম। বাসটি নিউ দিঘা ও ওল্ড দিঘা থেকে যাত্রীদের নিয়ে ন্যায়কালী মন্দিরে পৌঁছবে।
ঠিকাদার সংস্থার পক্ষে জানানো হয়েছে, “প্রমোদতরী চালানোর জন্যে পরিকাঠামো তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। দিঘা থেকে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার জন্যে ডবল ডেকার বাস এসে গিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি পুজোর সময় পর্যটকদের সমুদ্র ভ্রমণে নিয়ে যাওয়ার জন্যে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, দিঘার পূর্ব মুকুন্দপুরের ন্যায়কালী মন্দিরের সামনে চম্পা খালে নোঙর করে রাখা এই জলযানটি চালু করার জন্য পরিকাঠামোর অভাব ছিল। জেটি পর্যন্ত যাওয়ার মাটির রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি ছিল না গ্যাংওয়ে ও পল্টুন জেটি।
এজন্য ক্রুজটি চালানোর উদ্যোগ শুরুতেই ধাক্কা খায়। সম্প্রতি প্রমোদতরী পর্যন্ত যাতায়াতের জন্যে পল্টুন জেটি ও গ্যাংওয়ে তৈরি হয়েছে। তৈরি হয়েছে মোরামের রাস্তা থেকে জেটি পর্যন্ত লম্বা কাঠের ব্রিজ। শুধু তাই নয়, দিঘা কিংবা অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র থেকে পর্যটকরা যাতে প্রমোদতরীর কাছে আসতে পারেন, তার জন্য বাসও এসে পৌঁছেছে পর্যটন শহরে। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তত্ত্বাবধানে একটি ঠিকাদার সংস্থা পুরো পরিকল্পনা রূপায়ণ করেছে।
তবে বাসটির মাথাপিছু কত ভাড়া হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। স্পট ও অনলাইন দুধরনের বুকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। প্রয়োজনে ছোটখাটো অনুষ্ঠান, পার্টির জন্যও ভাড়া করা যাবে বলেও জানা যায়।
Like this:
Like Loading...