শীতকাল মানেই ভ্রমণের মৌসুম। যে সময়ে নেই ভয়াবহ গরমে ক্লান্ত হবার ভয়, নেই বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত সড়কের ঝামেলা। ক্রমাগত উষ্ণ হতে থাকা বাংলাদেশ, শীতকালে তার চিরাচরিত নয়নাভিরাম সৌন্দর্য ফিরে পায়। সেই
হলুদ সরিষায় হাসছে চলনবিল। দিগন্ত বিস্তৃত হলুদের সমারোহে মৌমাছি আর হাজারো পাখির কলতান। প্রকৃতির রঙিন সাজে চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যের হাতছানিতে দূর দূরান্ত থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। সরেজমিনে চলনবিল ঘুরে দেখা যায়,
কোলাহলমুক্ত নির্জন প্রাকৃতিক পরিবেশে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে। আর তা যদি হয় কোনো লেকের মাঝখানে তাহলে তো কথাই নেই। এমনই এক নতুন পর্যটন গন্তব্য কাপ্তাইয়ের গরবা গুদি।
বর্ষাকালে টাঙ্গুয়ার হাওর এক বিশাল সমুদ্রের মতো রূপ ধারণ করে। চারদিকে শুধু জল আর জল। তখন হাওরের পানিতে আকাশের ছায়া মিলে এক মোহনীয় দৃশ্য তৈরি হয়। নৌকায় চড়ে হাওরের মধ্যে
মুক্তাদানার মতো বালু চিকচিক করছে। এরই মাঝে বিশাল বিশাল এক একটা ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে তীরে। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে শত শত দেশি-বিদেশি পর্যটক ভিড় করছেন সুন্দরবনের ডিমের চরে।
ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরামধারায় প্রবাহমান জলপ্রপাত, অরণ্য বেষ্টিত উঁচু উঁচু টিলা, সারি সারি পর্বতমালা, ঝুলন্ত ডাউকি সেতু, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ নির্মল পানি, পাহাড়ের সঙ্গে লেগে থাকা বিশাল পাথরখণ্ড, নদীর পানিতে
পাহাড়ের বুক চিরে উঁকি দেয় সূর্য। আবার সেই পাহাড়েই সন্ধ্যায় নিভে যায় তার আলো। কখনো সোনালি কিংবা নীল আকাশ আর নিচে সবুজের সমারোহ। পূর্ণিমায় আলো রাঙিয়ে তোলে রাতের আঁধার। আবার
কাঞ্চনজঙ্ঘার অভূতপূর্ব সৌন্দর্য সবাইকে বিস্মিত করে। শীতে যেন এই পর্বতের সৌন্দর্য দ্বিগুন বেড়ে যায়। তাই পর্যটকদের আনাগোনাও বাড়ে হিমালয়ে। তবে এই মুহূর্তে যারা ভারত ভ্রমণ করতে পারছেন না তারা জানলে
পাহাড়, নদী ও প্রাকৃতিক লেক দিয়ে ঘেরা পার্বত্য চট্টগ্রাম হলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি। যেখানে আছে বৈচিত্র্যপূর্ণ সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলাকে একত্রিত করেছে- রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও
দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থানসমূহ। বছরজুড়েই সেসব স্থানে থাকে ভ্রমণপিপাসুদের আনাগোনা। তবে দেশের বেশ কিছু স্থান আছে যেখানে শীতেই প্রকৃতি সবচেয়ে সুন্দরভাবে পর্যটকের কাছে ধরা দেয়।