হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্ব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাপান। দেশটির প্রশ্ন মূলত: এ কাজে বিমানের সক্ষমতা নিয়ে।
তবে গেল ছয় মাসের অভিজ্ঞতায় বিমান এ কাজ পারবে আশ্বস্ত করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কবির ভুঁইয়া।
বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, সাবেক সরকার থার্ড টার্মিনালের দায়িত্ব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দিতে চেয়েছিলো। তবে বর্তমান সরকার দুই বছরের জন্য বিমানকে এ দায়িত্ব দিচ্ছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ প্রায় শেষের দিকে। গেলো জানুয়ারীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলো টার্মিনালের ৯৯ শতাংশ কাজই শেষের পথে।
সেই হিসেবে চলতি বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে এই টার্মিনাল চালুর কথা। শুরু থেকেই এই টার্মিনালে বিশ্বের বিখ্যাত বিমান বন্দরগুলোর মতো বিশ্বমানের সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে সরকার।
বাংলাদেশ বিমানের গ্রাউন্বড হ্যান্ডেলিং এর মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় জাপানের প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সাবেক সরকার।
কিন্তু বর্তমান সরকার সিদ্ধান্ত; দুই বছরের জন্য থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ করবে বাংলাদেশ বিমান। এরিমধ্যে নিয়োগ দেয়া হয়েছে জনবল। কেনা হয়েছে ৫৪ কোটি টাকার সরঞ্জাম।
অনুষ্ঠানে মোট ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয়কৃত ছয় ধরনের মোট ৩২টি অত্যাধুনিক গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্টের কমিশনিং করা হয়।
ইকুইপমেন্টসমূহের মধ্যে রয়েছে দুইটি অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফট কন্টেইনার প্যালেট লোডার, ১২টি এয়ারক্রাফট কন্টেইনার প্যালেট ট্রান্সপোর্টার ও নয়টি বেল্ট লোডার, ১১৫ টন ক্ষমতাসম্পন্ন দুইটি এবং ৬৫ টন ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি এয়ারক্রাফট এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট। এছাড়াও রয়েছে দুইটি এয়ার স্টার্ট ইউনিট।
আগামী চার মাসে আসবে আরও ১৫৪ কোটি টাকার মালামাল। বিমান বন্দরে এ সব সরঞ্জাম কমিশনিং সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, পতিত সরকার বিমানকে থার্ড টার্মিনালের দায়িত্ব দিতে চায়নি।
বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা নিয়ে জাপান প্রশ্ন তুলেছে বলে জানান বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবির ভুঁইয়া। তাই সর্বোচ্চ যাত্রীসেবা দিয়ে বিমানকে এই দায়িত্ব ধরে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।