মূলত জটিলতা তৈরি হয় থাই কর্তৃপক্ষ ভিসা পেমেন্টের জন্য ব্যাংক নির্দিষ্ট করে দেওয়া, পেমেন্টর জন্য মাত্র তিন ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া এবং দিনে সর্বোচ্চ ৪০০ ভিসা আবেদনের কোটা নির্ধারণ করে দেওয়ায়। এসব নিয়মের কারণে বাংলাদেশিরা আবেদন করতে পারছেন ঠিকই কিন্তু পেমেন্ট অপশনে গিয়ে আটকা পড়ছেন। ফলে আবেদন চূড়ান্ত হওয়ার আগেই মাঝপথে আটকা পড়ে যাচ্ছে। ফলে সহজে ভিসা পাওয়ার যে আশা থাই কর্তৃপক্ষ দেখিয়েছিল, তা পূরণ হচ্ছে না।
আগে বাংলাদেশিরা অনুমোদিত কেন্দ্রের মাধ্যমে পাসপোর্ট জমা দিয়ে থাই স্টিকার ভিসা পেতেন। দিনে গড়ে তখন ৮০০’র মতো ভিসা ইস্যু করা হতো বাংলাদেশিদের জন্য। তাতে অবশ্য আবেদনের পর থেকে একমাসের বেশি সময় লাগত। কিন্তু অনলাইনের আবদনের সুযোগ দেওয়ার পর সরাসরি আবেদন নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অনলাইনে দিনে মাত্র ৪০০ ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার সুযোগ রেখেছে থাই কর্তৃপক্ষ। যার বিপরিতে জমা পড়ছে ১৭ হাজার-১৮হাজার আবেদন। এই বিপুল আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের সক্ষমতা এখনও থাই কর্তৃপক্ষের তৈরি হয়নি। যার কারণে বিপাকে পড়েছেন ভিসা প্রত্যাশীরা।
ট্রাভেল এজেন্ট বি ফ্রেশের চেয়ারম্যান সামশুল ইসলামের মতে, নতুন এই পদ্ধতিতে ভিসা পেমেন্টের জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক নির্ধারণ করা আছে। সেই ব্যাংকে অনলাইনে পেমেন্টের জন্য সকাল নয়টা থেকে তিন ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দেখা গেছে, আবেদনকারীরা কম্পিউটারের মাউসে আঙুল রেখে সকাল নয়টা থেকেই বসে থাকেন। কিন্তু তিন ঘণ্টা পর দেখা যায় তার ‘পেমেন্ট ফেইলড’। এই সময়ের আগে-পরে পেমেন্ট দেওয়া যায় না বলেই সব আবেদনকারী এক সময়ে ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করেন। সেটাও বড় সংকট তৈরি করে।
ট্রেফেল ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমাদে রাব্বানি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “কবে নাগাদ এর সমাধান হবে কিংবা আদৌ সমাধান হবে কিনা তার সঠিক জবাব পাচ্ছি না। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে স্টিকার ভিসার আবেদন বন্ধ করে রাখায় অফলাইন-অনলাইন সব পদ্ধতিতেই ভিসা মিলছে না। অফলাইন থাকলে অন্তত সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারতাম।”
দেখা গেছে, থাই ভিসা অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়াটি দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি অংশে লগইন করে সব ডকুমেন্ট আপলোড করতে হচ্ছে। যেখানে সময় লাগছে মাত্র ১০ মিনিট। এর পরের অংশ হলো পেমেন্ট, যেটির গেটওয়ে শ্রীলংকার কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন পিএলসি। যাদের বেঁধে দেওয়া তিন ঘণ্টা সময়ের মধ্যে আবেদন করতে গিয়েই পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকা পড়ছেন গ্রাহকরা।
সূত্র : সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন