তীব্র গরমে নাজেহাল জনজীবন। কোথায় গেলে দুদণ্ড শান্তি মিলবে, সেই খোঁজ করে চলেছেন সবাই।
গাছে-গাছে বর্ণিল সব ফুলের সমারোহ। কোথাও টকটকে লাল কৃষ্ণচূড়া, কোথাও কমলা রঙের রাধাচূড়া। কোথাও আবার ছেয়ে আছে স্নিগ্ধ বেগুনি রঙের জারুল। পথ চলতে থমকে দাঁড়িয়ে এসব ফুলের দিকে কিছুক্ষণ চাননি, এমন মানুষ পাওয়া ভার হবে নিশ্চয়ই। আর মিষ্টি হলুদ রঙের সোনাঝরা সোনালুর ঝলমলে চাহনি গ্রীষ্মের রূপে যোগ করে দ্বিগুণ মাত্রা।
এ সময়ে সারা দেশের মতোই খুলনা ও বাগেরহাটের পথে-প্রান্তরে চোখ ধাঁধানো টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলে সেজেছে গ্রীষ্মের প্রকৃতি। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, বৈশাখের রোদ্দুরের সবটুকু উত্তাপ গায়ে মেখে নিয়েছে রক্তিম পুষ্পরাজি। বিশেষ করে রূপসা সেতুর পূর্বপাড়ে টোল প্লাজার পাশে, সেতুর দুই ধারে ও বাইপাস সড়কের পাশে ফুটে আছে কৃষ্ণচূড়া।
এ ছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ডুমুরিয়ার শহীদ স্মৃতি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে দেখা মিলছে কৃষ্ণচূড়ার। তবে দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি স্বস্তি দিচ্ছে বাগেরহাটের খান জাহান আলী (র.) মাজার সংলগ্ন দিঘির পাড়ের কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন আগুন জ্বলছে। গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে তাপপ্রবাহে ওষ্ঠাগত পথিকের মনে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া এক ধরনের প্রশান্তি এনে দিচ্ছে।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের শহীদ স্মৃতি মহিলা কলেজের প্রধান করণিক হারুন-অর-রশীদ খান বাংলানিউজকে বলেন, কলেজ চত্বরে অপরূপ সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে সারিবদ্ধ কৃষ্ণচূড়া। গ্রীষ্মের প্রখর রোদের সবটুকু উত্তাপ গায়ে মেখে সবুজ চিরল পাতার মাঝে ফুটেছে এই রক্তিম পুষ্পরাজি। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন আগুন জ্বলছে। কলেজ গেট দিয়ে ঢুকলেই ছাত্রী শিক্ষক কিংবা পথচারী, সবার দৃষ্টি কিছুক্ষণের জন্য এ কৃষ্ণচূড়া ফুলে আটকে যাবেই। ফুল দেখলে মন প্রশান্তিতে ভরে যায়। আর কৃষ্ণচূড়া ফুলে অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করে।
রূপসা সেতুর পাশে মিরাজ আল সাদী নামে এক পথচারী বাংলানিউজকে বলেন, রূপসা সেতুর পূর্বপাড়ে টোল প্লাজার পাশে, সেতুর দুই ধারে ও বাইপাস সড়কের পাশে ফুটে থাকা কৃষ্ণচূড়া সত্যিই নয়নাভিরাম।
বাগেরহাটের খান জাহান আলী (র.) মাজারের প্রধান খাদেম শেখ আলী ফকির বাংলানিউজকে বলেন, মাজার সংলগ্ন দিঘির পাড়ে বিশাল দুইটি পুরোনো কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। সেখানে প্রচুর ফুল ফুটেছে এবার।