জমহল, ভালবাসার প্রতীক। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার প্রিয় স্ত্রী মমতাজের জন্য এটি নির্মাণ করেছিলেন। কথিত আছে, তাজমহল দিনের নানা সময় ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে। তার এই সৌন্দর্য দেখতে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান।
আপনি যদি দিনের বেলা তাজমহল পরিদর্শন করেন তবে সব জায়গাতেই মানুষ পাবেন। এর বাম দিকে রয়েছে একটি মসজিদ। যেখান থেকে আপনি কিছুটা ছিমছাম তাজমহলের দর্শন পাবেন। এ ছাড়াও, এখানে মেহতাব বাগ রয়েছে। যেখানে আপনি শান্তি খুঁজে পাবেন। এখানে বসে তাজমহলের সৌন্দর্যের প্রশংসা করতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতেও আপনি দ্বিধা বোধ করবেন না।
মেহতাব বাগ, মুনলাইট গার্ডেন নামেও পরিচিত। যেখানে বসে উপভোগ করতে পারবেন তাজমহলের চমৎকার দৃশ্য। এটি মূলত সম্রাট শাহজাহানের জন্য নির্মিত হয়েছিল। তিনি তাজমহল দেখার জন্য এই বাগানটি তৈরি করেছিলেন। এই বাগানটি কোরআন শরীফে উল্লেখ করা চারটি বাগান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হয়েছে। পারস্য শৈলীর আদলে গড়ে তোলা হয়েছে এই বাগান।
মেহতাব বাগ বাগানের চারটি বিভাগ নকশা করা হয়েছিল। এর প্রত্যেকটি তাজমহলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, বছরের পর বছর ধরে বন্যা হওয়ায় এই বাগান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। যা কিনা কাদার স্তূপে পরিণত হয়। ১৯৯৪ সালে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (এএসআই) বিষয়টি হাতে নেয়। মেহতাব বাগের গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালায়।
মেহতাব বাগ বাগানের সাথে যুক্ত একটি জনপ্রিয় পৌরাণিক কাহিনীও রয়েছে। শোনা যায়, শাহজাহান আসলে নিজের সমাধির জন্য তাজমহলের আরও একটি অনুলিপি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তবে তা সাদার পরিবর্তে কালো মার্বেল দিয়ে। কিন্তু ব্ল্যাক তাজ মহলের নির্মাণ কখনই ঘটেনি। কারণ তার পুত্র আওরঙ্গজেব তাকে বন্দী করেছিলেন। মুমতাজ মহলের পাশেই তাকে দাফন করেছিলেন।
বর্তমানে মেহতাব বাগ দেখতে হলে আপনাকে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা’র মধ্যে যেতে হবে। বাগানটি প্রতিদিনই সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। এর প্রবেশ মূল্য প্রায় ২০ রূপি।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া