এক সপ্তাহ আগে হ্যাকারদের কবলে পড়ে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ই-মেইল সার্ভার। জানা গেছে, এখনো পর্যন্ত উদ্ধার না হওয়া এই সার্ভারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস না করার বিনিময়ে বিমানের কাছে ৫০ লাখ ডলার দাবি করেছে হ্যাকাররা।
বিমানের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, টাকা দেয়ার জন্য বিমানকে ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিলো হ্যাকাররা। বেঁধে দেওয়া সময়ের আর মাত্র তিন দিন বাকি আছে।
গত ১৭ মার্চ বিমানের ই-মেইল সার্ভার এক ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রগ্রাম বা ম্যালওয়্যার ‘র্যানসমওয়্যারে’ আক্রান্ত হয়। এই ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে হ্যাকাররা আক্রান্ত ডিভাইস থেকে তথ্য চুরি করে নিতে পারে।
সূত্র জানায়, সার্ভার হ্যাক করার পর থেকে কয়েক দফায় বিমানের কাছে ৫০ লাখ ডলার চেয়েছে হ্যাকাররা। ১৭ মার্চ প্রথম হ্যাকাররা বিমানকে নিজেদের দাবির কথা জানায়। ২১ মার্চ হ্যাকাররা আবারও জানায়, বিমানের ১০০ গিগাবাইটের বেশি ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য রয়েছে তাদের কাছে। বিমান তাদের দাবি মেনে না নিলে তারা এগুলো নিজেদের ব্লগে প্রকাশ করে দেয়ার হুমকি দেয়।
বিমান সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে বিমান ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সিকে চিঠি দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কাজ করছে। তবে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান এ বিষয়ে জানায়, গণমাধ্যম তাদের সার্ভার হ্যাক হওয়া নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। বিমান বলছে, ১৮ মার্চ তাদের কিছু কম্পিউটার ও সার্ভার ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে সার্ভারটি বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ই-মেইল সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়। বিকল্প ব্যবস্থায় বিমানের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত ই-মেইল আইডিগুলো মাইক্রোসফট ক্লাউড সার্ভিসের মাধ্যমে চালু রাখা হয়েছে।