কক্সবাজার বিমানবন্দরে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সমুদ্রজলে নির্মিত এই রানওয়েটি হবে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে।
রানওয়ে পরিষেবা চালু হলে, বোয়িং ৭৭৭ এবং বোয়িং ৭৪৭-এর মতো বড় বিমানগুলো কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা।
এ রানওয়ের অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি একেবারে সাগর ছুঁয়ে যাবে। কারণ, ১০ হাজার ৭শ’ ফুট দীর্ঘ রানওয়ের মধ্যে ১৭শ’ ফুট তৈরি হয়েছে সমুদ্রবক্ষে।
বেবিচক চীনের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিইসিসি) সঙ্গে চুক্তি করে। এই কোম্পানি চীনের আরেক প্রকৌশল কোম্পানি চাংজিয়াং ইচাং ওয়াটার ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরোকে (সিওয়াইডব্লিউসিবি) সঙ্গে নিয়ে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু করছে। এর আগে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ছিল ৯ হাজার ফুট।
কক্সবাজার বিমানবন্দর ঘিরে পাশের দেশগুলোর ‘আঞ্চলিক হাব’ হিসেবে তৈরির জন্য কনসালটেন্ট নিয়োগের পরিকল্পনাও করেছে সরকার।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানায়, ২০২১ সালে কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬৭৭৫ ফুট থেকে ৯ হাজার ফুট বাড়িয়ে বোয়িং ৭৭৭ বিমান নামার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে শুধুমাত্র ড্যাশ-৮ এবং এটিআর উড়োজাহাজই চলাচল করত এই বিমানবন্দর দিয়ে। ২০২১ সালের পর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে ১ হাজার ৯শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়।
এদিকে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রকল্প কাজের অগ্রগতি দেখতে বিমানবন্দরের বর্ধিত রানওয়েতে যান প্রধামন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এসময় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা প্রকল্পের পুরো দিক তুলে ধরেন তার কাছে। এরপর তিনি গাড়িযোগে বিমানবন্দর সংলগ্ন সমিতিপাড়া ও নাজিরারটেক পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, বাংলাদেশের জন্য আরেকটি গর্বের প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হবার পথে চলে এসেছে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রানওয়ে হচ্ছে কক্সবাজার বিমান বন্দর। এটি চালু হবার পর যাত্রীরা আকাশ থেকে নামার সময় মনে করবেন যেন সমুদ্রের মধ্যে নেমে যাচ্ছেন। এটি চালু হলো বিশ্বের যেকোনো উড়োজাহাজ কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে নামতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র দুরদর্শী সিদ্ধান্তে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ