বাংলাদেশে চলাচলকারী দেশি-বিদেশি সব এয়ারলাইন্সের আকাশপথের ভাড়া ডলারের পরিবর্তে টাকায় নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১ জুলাই থেকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে উল্লেøখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
মূলত ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য কমায় আকাশপথের ভাড়া পরিশোধে যাত্রীদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় কমাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে আকাশপথের ভাড়া আগের তুলনায় অনেক কমে আসবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোকসিন্দা ফারহানার সই করা গত মাসের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি এয়ারলাইনসগুলো আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে দেশের বাইরে অবস্থিত বিক্রয়কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট দেশের মুদ্রা ‘হেডলাইন কারেন্সি’ হিসাবে ব্যবহার করে। এছাড়া বিভিন্ন দেশ হেডলাইন কারেন্সি হিসাবে সংশ্লিষ্ট দেশের নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহার করে থাকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে পরিচালিত দেশি-বিদেশি সব এয়ারলাইনস কর্তৃক বাংলাদেশ থেকে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে হেডলাইন কারেন্সি হিসাবে দেশীয় মুদ্রা, অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকা নির্ধারণ করা হলো। ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর হবে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের মাত্র চারটি দেশ বাংলাদেশ, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও তাইওয়ান মার্কিন ডলারে ফ্লাইট টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করে। তবে বাকি সব দেশই এ ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহার করে।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, সব এয়ারলাইনসকে ১ জুলাই থেকে ডলারের পরিবর্তে টাকায় ফ্লাইটের ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমায় কিছু এয়ারলাইনস ও ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ফ্লাইটের টিকিটের জন্য বেশি অর্থ নেওয়ার অভিযোগ আসছিল। এ সিদ্ধান্তের কারণে যেসব যাত্রীকে তুলনামূলক বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছিল, তারা উপকৃত হবেন।