জার্মানির নাগরিকত্ব অর্জন করতে হলে কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন পথ অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত তিনটি প্রধান উপায় রয়েছে: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব, বংশগত নাগরিকত্ব, এবং নাগরিকত্বের আবেদন (naturalization)। নিচে প্রতিটি উপায়ের বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হল:
১. জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব (Citizenship by Birth)
– যদি কোনো শিশুর জন্ম জার্মানিতে হয় এবং অন্তত একজন অভিভাবক জার্মান নাগরিক হন, তাহলে সেই শিশু স্বয়ংক্রিয়ভাবে জার্মান নাগরিকত্ব পেয়ে যায়।
– যদি শিশুর জন্ম জার্মানিতে হয় এবং অভিভাবকরা জার্মান নাগরিক না হন তবে কিছু শর্ত পূরণের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব, যেমন:
– অভিভাবকরা শিশুর জন্মের আগে অন্তত ৮ বছর ধরে বৈধভাবে জার্মানিতে বসবাস করে আসছেন।
– অভিভাবকরা স্থায়ী বাসিন্দার (permanent resident) স্ট্যাটাসে আছেন।
২. বংশগত নাগরিকত্ব (Citizenship by Descent)
– যদি আপনার মা বা বাবা একজন জার্মান নাগরিক হন, তবে আপনি জার্মান নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন, সেটা আপনার জন্ম যে কোনো দেশে হোক না কেন।
– ১৯৭৫ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্ম নেওয়া শিশুরা মায়ের দিক থেকে এবং বাবার দিক থেকে নাগরিকত্ব পেতে পারেন।
৩. নাগরিকত্বের আবেদন (Naturalization)
নাগরিকত্বের আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়:
– জার্মানিতে বৈধভাবে অন্তত ৮ বছর ধরে বসবাস করতে হবে।
– B1 স্তরের জার্মান ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে।
– জীবিকা নির্বাহের উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে।
– জার্মান সমাজে অন্তর্ভুক্তির প্রমাণ থাকতে হবে।
– ফৌজদারি অপরাধের রেকর্ড না থাকা।
– জার্মান সংবিধান এবং আইন মেনে চলার অঙ্গীকার করতে হবে।
– সফলভাবে নাগরিকত্ব পরীক্ষা (naturalization test) উত্তীর্ণ হতে হবে।
জার্মান নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হলে স্থানীয় Bürgeramt বা Ausländerbehörde (বহিরাগতদের কার্যালয়) এ আবেদন করতে হবে। এছাড়াও, প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে কিছু ফি থাকতে পারে।
প্রয়োজনীয় নথি
– পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট
– বসবাসের প্রমাণপত্র
– ভাষার সার্টিফিকেট
– অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার প্রমাণ
– নাগরিকত্ব পরীক্ষার সনদ
জার্মান নাগরিকত্ব প্রাপ্তির বিস্তারিত তথ্য এবং আবেদন ফর্মের জন্য জার্মানির অভিবাসন ওয়েবসাইট বা স্থানীয় অভিবাসন কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
Like this:
Like Loading...