জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর মিউনিখে নরওয়ের এক নাগরিক বোর্ডিং পাস বা বৈধ টিকিট ছাড়াই সফলভাবে দুটি ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন। প্রাথমিকভাবে ধরা পড়ার পরেও নিরাপত্তা কর্মীদের ফাঁকি দিয়ে তিনি বের হয়ে যান ও পরের দিন সুইডেনে গেছেন। খবর ডয়চে ভেলের।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, একজন নরওয়েজিয়ান পর্যটক মিউনিখ বিমানবন্দরে বিমানের কোনো বৈধ টিকিট ছাড়াই দুটি বিমানে উঠেছিলেন। প্রথমবার ধরা পড়লেও দ্বিতীয়দিন একই কৌশল অবলম্বন করে সফল হন এবং সুইডেনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি ফ্লাইটে যাত্রা করেন।
৩৯ বছর বয়সি এই ব্যক্তি ৪ আগস্ট প্রথমবারের মতো জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের বোকা বানাতে সক্ষম হন। সাধারণত যাত্রীরা একটি স্বয়ংক্রিয় গেটে তাদের টিকেট স্ক্যান করে বোর্ডিং এলাকায় প্রবেশ করেন।
তবে জার্মানির বিল্ড সংবাদপত্র জানিয়েছে, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এই যাত্রী অন্য এক ভ্রমণকারীর কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং নিজের বোর্ডিং পাস না দিয়েই গেট অতিক্রম করেন।
গেটে বিমান সংস্থার কর্মীদেরও ফাঁকি দিয়ে যান ও প্রথমে উত্তর জার্মানির হামবুর্গ শহরের উদ্দেশে যাওয়া একটি বিমানে ওঠেন। বিমানটি যাত্রীতে পরিপূর্ণ থাকায় কোনো আসন পাননি বলে ধরা পরে যান।
তখন বিমানবন্দর পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হলেও কিছুক্ষণ পরে ছেড়ে দেয়া হয়। পরের দিন তিনি স্টকহোমের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বিমানে উঠে পড়েন। সেই ফ্লাইটটিতে আসন খালি থাকায় তাকে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি।
সুইডেনে পৌঁছানোর পরপরই তিনি সেখানকার নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ফিরতি বিমানে উঠে মিউনিখ ফিরে আসার চেষ্টা করেছিলেন। সুইডিশ পুলিশ তার কাছে একটি ১০ সেন্টিমিটার ব্লেড ও ছুরি পায়। তবে পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে তাদের কাছে কোনো হুমকি মনে হয়নি।
মিউনিখ বিমানবন্দরের মুখপাত্র হেনার অয়রিং বলেন, ‘‘নিরাপত্তা তল্লাশির আগে কীভাবে যাত্রী স্বয়ংক্রিয় বোর্ডিং পাস চেক এড়াতে পেরেছিলেন তা আমরা অনুসন্ধান করে দেখছি। বিমান সংস্থাও সাধারণত বোর্ডিং গেটে পাস দেখতে চায়। তার কোনো ব্যত্যয় হয়েছে কিনা সেটিও দেখা হচ্ছে।”