1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
জায়ান্টস্ কজওয়ে: আয়ারল্যান্ডের দর্শনীয় স্থান
শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
Uncategorized

জায়ান্টস্ কজওয়ে: আয়ারল্যান্ডের দর্শনীয় স্থান

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১

আয়ারল্যান্ড এর বাসমিল শহরে থেকে প্রায় ৪.৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এই প্রাকৃতিক রাস্তার অবস্থান। ইউনেস্কো কর্তৃক ১৯৮৭ সালে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী (World Heritage) স্থাপনা হিসেবে তালিকা ভুক্ত করে আর বিশেষ করে ১৯৮৬ সালের দিকে  উত্তর আয়ারল্যান্ড সরকার এটিকে জাতীয় মর্যাদার স্থানে অন্তর্ভুক্ত করে।  আজ থেকে প্রায় ৬০ মিলিয়ন বছর আগে বিশাল এক অগ্নুৎপাতের ফলে এখানে একটি লাভার মালভূমি তৈরি হয়েছিলো। আর ঐসকল  লাভা ঠাণ্ডা অবস্থায় ভাগ ভাগ হয়ে স্তম্ভে পরিণত হয় এবং এই স্তম্ব একটা সুনিপুণ আকৃতিতে রূপান্তরিত হয়। দেখে মনেই হবে না যে এটা একটি প্রকৃতির খামখেয়ালি।

এই স্তম্ভগুলি দেখতে এত নিখুঁত যে মনে হয় যেন এগুলি মানুষের তৈরি করা কোন শৈল্পিক শহর। প্রায় ৬০ মিলিয়ন বছর আগে এখানে একটি প্রচন্ড আগ্নেয়গিরির বিস্ফারণ হয়। লাভা এক যায়গায় জমা হয় এবং লাভা বিভিন্ন স্তর স্তরে জমাট বাধতে থাকে। যেহেতু এক এক যায়গার তাপমাত্রা এক এক রকম ছিলো, তাই বিভিন্ন স্থানের জমাট বাধার প্রক্রিয়া বিভিন্ন হয় । তবে প্রশ্ন থেকেই যায় যে সব গুলো পাথর একই রকম ভাবে জমাট বাধছে কেন! জমাট বাধার সময়ের তারতম্যের জন্য উপর নীচ হয়েছে, কিন্তু আকৃতিগত মিল কি ভাবে সম্ভব! থাক, কিছু রহস্যা এই প্রকৃতিতে থাক। কিছু জিনিস এর ব্যাখ্যা নেই এবং ব্যাখ্যাটি না থাকাই শ্রেয়।

জায়ান্ট কজওয়ে
জায়ান্ট কজওয়ে

আপনারা যারা সাওপাওলো শহর দেখেছেন তারা দেখবেন সাওপাওলো শহর কেমন অদ্ভুত সুন্দর লাগে। যেন পুরো পাহাড় কেটে কেটে বাড়ি বানানো। ব্যাপারটি আরো ভাল ভাবে বোঝানো যাবে যদি আপনারা কল্পনা করেন ঢাকা শহর একটি পাহাড়ের উপর অবস্থিত। আবার লাভার জন্য ফ্লাট রাস্তা তৈরি হয়েছে যা দেখে মনে হবে (সবারই এটা  হয়) যে এটা একটি অত্যন্ত পরিকল্পিত রাস্তা। তবে এর পুরুতা অনেক অনেক বেশী।

এটা স্থলভাগে যেমন বিস্তৃত ঠিক জলভাগেও বিস্তৃত। এমন কি জল ভাগের মধ্যে আছে ১৮৩ মিটার পর্যন্ত। আর স্তম্ভ গুলো বিভিন্ন আকৃতির যেমন প্রায় গুলোই ১৫ ইঞ্চি ব্যাস থেকে ২০ ইঞ্চি ব্যাস এর মধ্যে। যা সুন্দর ভাবে একটির পরে আরেক টি সাজানো। পাথর গুলোর স্তর স্তর হয়ে জমাট বেধেছে। দেখতে অনেকটা বাংলাদেশের হিয়ারিং রাস্তার মত (যেন সরকারি প্রজেক্টে তৈরি)।

এর তরল পাথরের স্তম্ভগুলো আভ্যন্তরিন লাভার চাপে স্তুপ আকার সেফের আকার ধারণ করেছে যা  দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে প্রাকৃত রাস্তা, শহরের সেফ এবং রহস্যময় স্থাপনা। বিভিন্ন স্থানে স্তম্ভগুলোর উচ্চতা বিভিন্ন রকম কোথাও ১২ মিটার আবার কোথাও এর উচ্চতা অনেক কম। আর এটার জন্যই এই রাস্তার সৌন্দর্য এত মনোমুগ্ধকর। আজ এখানে হাজার হাজার পর্যটক যায় এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে।

এই রহস্যময় জায়ান্ট কাজওয়ের সৃষ্টি নিয়ে অনেক গল্প, উপকথা প্রচলিত আছে, যেমন  কারো কারো মতে, দৈত্যদের এক বংশ স্টাফাতে যাওয়ার পথে তাদের নিজেদের জন্য চলাচলের পথ হিসেবে এ রাস্তা তৈরি করেছিল। কারণ এই স্টাফাতেও এ রকম দেখতে একটি বাঁধানো পথ রয়েছে। আবার কারো কারো মতে, দুটি দৈত্যের মধ্যে লড়াইয়ের ফলে স্থানীয় জায়ান্টস গ্রেভ নির্মিত হয় আর তা পরে এই সেফে আসে। আবার অনেকে মনে করে, আয়ারল্যান্ডের জায়ান্ট ফিন-ম্যাককোল স্কটল্যান্ডের (ইংল্যান্ড এর অংশ) সাথে যুদ্ধ করার জন্য যখন স্কটল্যান্ড দিকে যাচ্ছিলেন কখন এই পথটি তৈরি করেন

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com