সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৬:১৯ অপরাহ্ন

ছোট্ট এক দ্বীপরাষ্ট্রে ঝটিতি ভ্রমণ

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫
মাল্টা শব্দটি শুনলে অনেকের মতো আমার মনেও ভেসে উঠত কমলা অথবা সবুজ রঙের টক-মিষ্টি স্বাদের একটি ফল। তবে এবার সেই মাল্টার ভিন্ন রূপ দেখার সুযোগ পেলাম। এটি কোনো ফল নয়, বরং ঐতিহ্যবাহী একটি দ্বীপরাষ্ট্র।
 
মাল্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে ছোট দেশ; আয়তন ও জনসংখ্যার বিচারে। মাত্র ৩১৬ বর্গকিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত এই দেশে বসবাস করে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। এটি মূলত তিনটি বড় দ্বীপ নিয়ে গঠিত—মাল্টা, গোজো ও কোমিনো। আয়তনে মাল্টা দ্বীপ সবচেয়ে বড় আর এখানেই রয়েছে রাজধানী ভ্যালেটা এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। আয়তনে ছোট হলেও মাল্টার গুরুত্ব অনেক। এটি পর্যটন, নৌপরিবহন এবং অর্থনীতির এক আকর্ষণীয় কেন্দ্র। মাথাপিছু আয়ও ৪৫ হাজার ডলারের ওপর যা অর্থনৈতিকভাবে দেশটির শক্তিশালী অবস্থান প্রমাণ করে।
 
ভূমধ্যসাগরে অবস্থানের কারণে মাল্টা বরাবরই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। একদিকে সাগরপথে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে ইতালির সিসিলি, অন্যদিকে ৩০০ কিলোমিটার পেরোলেই উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়া। এর অবস্থানই একে বানিয়েছে ইউরোপ, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সংযোগস্থল। এ কারণে প্রাচীনকাল থেকেই এখানে জনবসতি গড়ে ওঠে এবং একে একে বিভিন্ন পরাশক্তির শাসনাধীন হয়। ফিনিশ, রোমান, বাইজেন্টাইন, আরব, সিসিলিয়ান, ফরাসি এবং সর্বশেষ ব্রিটিশদের শাসনের ছোঁয়া লেগেছে এই দেশে। ১৯৬৪ সালে দেশটি ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পায়। মাল্টা কমনওয়েলথ অব নেশনসের সদস্য এবং ২০০৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হয়।
 
উত্তর ইউরোপের তীব্র শীত, বৃষ্টি, কুয়াশা আর অন্ধকারে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। গ্রীষ্মের উষ্ণতা পেতে এবং নতুন কিছু দেখার উদ্দেশ্যে তাই কোথাও ভ্রমণের পরিকল্পনা করি। কাছেপিঠের মধ্যে নতুন ও অপেক্ষাকৃত উষ্ণ আবহাওয়ার দেশ বলতে মনে পড়ল মাল্টার নাম। ভাগ্য সহায় যে ভালো দামে সরাসরি চার ঘণ্টার ফ্লাইটের টিকিটও পেয়ে গেলাম! সকালে বাসা থেকে নাশতা করে বের হয়ে দুপুরেই মাল্টায় পৌঁছানো যাবে। অফিসের ছুটি, দিনক্ষণ সবকিছু ঠিকঠাক মিলে গেল। তাই আর দেরি না করে, ব্যাগ গুছিয়ে বললাম, ‘উঠল বাই, তো মাল্টা যাই!’
 
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়াই সহজে ভ্রমণ করা যায়। এখানকার মানুষদের জন্য কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র থাকাই যথেষ্ট। তাই এবার ইচ্ছা করেই পাসপোর্ট হাতে রাখিনি, বোর্ডিং পাসের প্রিন্ট আউটও নিইনি। সবকিছুই ডিজিটাল, অর্থাৎ মুঠোফোনে সংরক্ষিত। যদিও ব্যাকআপ হিসেবে মানিব্যাগে আইডি কার্ড এবং ব্যাগে পাসপোর্ট রেখেছিলাম, কিন্তু তা বের করার দরকার পড়েনি। ঠিক সময়ে বাসা থেকে রওনা দিয়ে কোনো ঝামেলা ছাড়াই মাল্টায় পৌঁছে গেলাম। বলা যায়, পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়া ভ্রমণের পরীক্ষাটি সফলভাবেই সম্পন্ন হলো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক বিষয় নিয়ে বিতর্ক থাকলেও স্বাধীনভাবে ভ্রমণ এবং এর যেকোনো দেশে বসবাসের সুবিধা সত্যিই দারুণ।
 
মাল্টা বিমানবন্দরে নেমে প্রথমেই চলে গেলাম পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অফিসে। কাউন্টারে বসা ভদ্রমহিলাকে জানালাম যে আমি চার দিনের জন্য মাল্টায় ঘুরতে এসেছি এবং এমন একটি ট্রান্সপোর্ট কার্ড চাই যা দিয়ে নির্দ্বিধায় যেকোনো জায়গায় যেতে পারি। উনি ১৯ ইউরোর বিনিময়ে আমাকে একটি ট্রাভেল কার্ড দিলেন যা দিয়ে যতবার খুশি বাসে যাতায়াত করা যাবে। কার্ড নিয়ে টার্মিনাল ভবন থেকে বের হয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। গন্তব্য মাল্টার রাজধানী ভ্যালেটার পুরোনো শহর। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাকি দিনটা সেখানেই কাটিয়ে সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরব।
 
প্রায় ৪০ মিনিট বাসযাত্রার পর পৌঁছে গেলাম ভ্যালেটার পুরোনো সিটি গেটের সামনে। আগেই ইউটিউবে শহরটির কিছু ভিডিও দেখেছিলাম আর এবার বাস্তবে সেগুলো দেখতে পেলাম।
 
ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ এই শহরের আনাচকানাচে ঘুরতে ঘুরতে যেন ইতিহাসের ভেতর হারিয়ে গেলাম। ভাগ্য ভালো যে না জেনেই সময়মতো ব্যাটারি পার্কে পৌঁছাতে পেরেছিলাম, তাই মাল্টার বিখ্যাত বিকেলের কামান দাগানোর দৃশ্যও দেখা হয়ে গেল। প্রতিদিন নিয়ম করে এখানে দুবার কামান থেকে গোলা ছোড়া হয় যা এখন ঐতিহ্যেরই অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
 
দুপুরের দিকে খুব বেশি ক্ষুধা অনুভব করিনি, তাই মাল্টার জনপ্রিয় পাস্তেসি খেয়েই মধ্যাহ্নভোজ সেরে নিলাম। এখানকার খাবারের মধ্যে ইতালিয়ান প্রভাব বেশ স্পষ্ট; পিৎজা, পাস্তা জাতীয় খাবার প্রচলিত। জেনেছিলাম, এদের খরগোশের মাংস নাকি বেশ নামকরা।
 
সন্ধ্যার পর স্লিমা এলাকায় পৌঁছে হোটেলে চেক-ইন করলাম। হোটেলের অবস্থান বেশ চমৎকার! একদিকে সাগর আর এখান থেকে সব জায়গায় যাওয়াও বেশ সহজ। অভ্যর্থনায় কর্মরত এক দক্ষিণ ভারতীয় ছেলের সঙ্গে আলাপ হলো। সে মাল্টায় ট্যুরিজম নিয়ে পড়তে এসেছিল। পড়াশোনা শেষ করে এখন মাল্টা এয়ারলাইন্সে গ্রাউন্ডহ্যান্ডলিংয়ের কাজ করছে। পাশাপাশি বাড়তি উপার্জনের জন্য হোটেল রিসিপশনে চাকরি করছে। ওর ইচ্ছা, দেশে ফিরে গিয়ে হোটেল ব্যবসা খুলবে। ওর সঙ্গে কথোপকথনের একপর্যায়ে ভালো বিরিয়ানির জন্য ‘সখিনা’ নামের এক রেস্টুরেন্টের কথা জানতে পারলাম।
 
রেস্টুরেন্টের নাম শুনেই একটু স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লাম। মনে পড়ল, প্রয়াত শিল্পী ফকির আলমগীরের বিখ্যাত গান ‘ও সখিনা, গেছস কি না ভুইলা আমারে!’ যদিও বাস্তবে কোনো সখিনার সঙ্গে আমার পরিচয় নেই, তবু এই গান অনেকের মতো আমিও একসময় গুনগুন করেছি।
 
বিরিয়ানি খাওয়ার আশায় সেই রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখি, নাম আসলে ‘সাকিনাহ’ এবং এটি পরিচালনা করেন দক্ষিণ ভারতের মানুষজন। একটু হতাশ হলাম তবে শেষ পর্যন্ত ওখানেই রাতের খাবার খেলাম। বিরিয়ানি ভালোই রান্না করে, আর সবজির আচার ছিল অনন্য। ওয়েটারদের ব্যবহারও বেশ চমৎকার। কথায় কথায় ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করছিল যা বেশ সম্মানজনক লাগছিল। মনে হলো, একদিক থেকে ভালোই হলো, অন্য কোনো রেস্টুরেন্টে গেলে হয়তো এতবার স্যার ডাক শুনতে পেতাম না!
পরদিন সকালটা শুরু হলো এক অনন্য দৃশ্যের সঙ্গে। হোটেলের রুফটপ থেকে নীল সাগর দেখতে দেখতে সকালের নাশতা সারলাম। এখানকার মৃদু শীতল বাতাস আর সূর্যের কোমল উষ্ণতায় মন ভরে গেল। এদিনের পরিকল্পনা ছিল দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের সিরকেওয়ায় যাওয়া এবং সেখান থেকে ফেরি ধরে গোজো দ্বীপে যাওয়া।
 
হোটেল থেকে বের হয়ে গুগল ম্যাপ ও স্থানীয় ট্রান্সপোর্ট অ্যাপে বাস নম্বর দেখে ঠিক করলাম, কোন বাস নেব। কিন্তু সমস্যা হলো, সঠিক বাসস্টপ খুঁজতে গিয়ে। স্থানীয় এক ভদ্রলোককে সিরকেওয়ায় যাওয়ার বাসস্টপের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, এখান থেকে যাওয়া যাবে না। রাস্তার ওপারে ফেরিঘাটের সামনের ছোট ছোট ট্যুর কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে ওদের মাধ্যমে যেতে হবে।
 
কথাটা শুনে একটু অবাক হলাম। আমি তো পাবলিক বাসে যেতে চাই, ট্যুর কোম্পানির প্রয়োজন কী! তবু লোকটিকে ধন্যবাদ দিয়ে আবার ম্যাপে চোখ রাখলাম। বুঝতে পারলাম যে আমি ঠিক জায়গাতেই আছি, আর লোকটি হয়তো মজার ছলে বা অন্য কোনো কারণে আমকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। পরে অবশ্য কাঙ্ক্ষিত বাস পেয়ে গেলাম এবং নির্দ্বিধায় উঠে বসলাম।
 
বাসে চড়ে ঘণ্টা দেড়েক ধরে চললাম চমৎকার এক মেরিন ড্রাইভ দিয়ে। একপাশে বিস্তীর্ণ নীল সাগর, অন্যপাশে ধূসর পাহাড়ি ল্যান্ডস্কেপ! যেন প্রকৃতির এক আশ্চর্য সমন্বয়। মাঝেমধ্যে কিছু দৃশ্য দেখে এতটাই মুগ্ধ হচ্ছিলাম যে মনে হচ্ছিল এখানেই নেমে যাই। তবে মূল গন্তব্য ছিল দ্বীপের একেবারে শেষ মাথা সিরকেওয়া, তাই অপেক্ষা করতেই হলো।
 
সিরকেওয়ায় পৌঁছে আর দেরি না করে গোজো দ্বীপের উদ্দেশ্যে গোজো চ্যানেল লাইনের ফেরি ধরলাম। ফেরিগুলো বেশ আধুনিক, আর সময় খুব বেশি লাগে না। সাগরের শান্ত নীল জলরাশি পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর পুরো অভিজ্ঞতাই ছিল স্বপ্নময়।
 
গোজো ফেরিঘাটে নেমে আবার বাসে চড়ে চলে গেলাম শহরের পুরোনো অংশে। কোনো তাড়া ছিল না, তাই তিন ঘণ্টা ধরে উদ্দেশ্যহীনভাবে অলিগলিতে ঘুরে বেড়ালাম, পুরোনো স্থাপত্য দেখতে দেখতে ইতিহাস ধরার চেষ্টা করলাম। বিকেলের দিকে ফেরার পথ ধরলাম। ঠিক যেভাবে এসেছিলাম, সেভাবেই মাল্টায় ফিরে এলাম। তবে এবার সঙ্গে থাকল গোজোর ইতিহাস, সাগরের নীল রং আর এক দিনের স্মৃতি!
 
পরদিন সকালটা আবারও সেই পরিচিত সৌন্দর্যে শুরু হলো। হোটেলের রুফটপ থেকে বিস্তৃত নীল সাগর দেখতে দেখতে নাশতা করা। আজকের পরিকল্পনা ছিল মাল্টার প্রাচীন রাজধানী মদিনায় যাওয়া, যা ‘সাইলেন্ট সিটি’ নামেও পরিচিত। দ্বীপের কেন্দ্রস্থলে উঁচু স্থানে অবস্থিত এই দুর্গ। শহর ঘিরে থাকা মধ্যযুগীয় এই দুর্গ এবং এর সরু গলিপথগুলো যেন ইতিহাসের গল্পই শোনায়।
 
মদিনায় পৌঁছে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অলিগলিতে হাঁটলাম, স্থাপত্য আর ইতিহাসের ভেতর ডুবে গেলাম। মনে পড়ে গেল একসময় স্কুলে থাকতে নওগাঁ জেলা শহর থেকে সাইকেল চালিয়ে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার দেখতে যাওয়ার কথা। সেটাই ছিল আমার ইতিহাসের সন্ধানে প্রথম অভিযান, যা আজও শেষ হয়নি। বরং প্রতিটি নতুন জায়গায় ঘোরা যেন তারই আরেকটি ধাপ।
 
বিকেলের দিকে আবার ফিরে এলাম ভ্যালেটা শহরে। আগের দেখা স্থানগুলো আরেকবার ঘুরে দেখলাম। এরপর পারিবারিক ভার্চ্যুয়াল মিটিং থাকায় স্টারবাকস ক্যাফেতে গিয়ে এককাপ কফি নিয়ে ঘণ্টা দেড়েক কাটালাম।
 
সেদিন ছিল শনিবার, সাপ্তাহিক ছুটির দিন। কিন্তু আশপাশে তাকিয়ে দেখলাম, অনেক তরুণ-তরুণী, কলেজ-ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা আর গ্রুপ স্টাডিতে ব্যস্ত। আমাদের সময় ক্যাফেতে মানুষ যেত হয় প্রেম করতে, না হয় জম্পেশ আড্ডা দিতে। আর এখনকার ‘জেনারেশন জেড’ ক্যাফেতে বসে স্টাডি করে! এরা এদিক থেকে এগিয়ে আছে। আচ্ছা, এদের ঘরে কি টেবিল-চেয়ার বা আমাদের সময়ের মতো শাসন করার অভিভাবক নেই?
 
সকালে ঠিক করেছিলাম যে রাতে মাল্টার ঐতিহ্যবাহী খরগোশের মাংস খাব। কিন্তু কেন যেন রাতে আবারও বিরিয়ানি খাওয়ার ইচ্ছা হলো। খুঁজতে খুঁজতে পছন্দনীয় এক রেস্টুরেন্টও পেয়ে গেলাম। মেনুতে চোখ বুলিয়ে দেখি, মালাবার চিকেন দম বিরিয়ানি; দ্বিতীয়বার না ভেবে অর্ডার দিয়ে দিলাম। তবে তার আগে ওয়েটারকে জিজ্ঞেস করলাম, এটা কি সত্যিই মালাবার স্টাইলে রান্না করা?
 
ওয়েটার হাসিমুখে জানাল, ‘হ্যাঁ, আমাদের বাবুর্চি কেরালার, তাই স্বাদ একেবারে আসল মালাবার বিরিয়ানির মতোই হবে।’ খাবার আসার পর দেখলাম, চমৎকার গরম বাসমতী চাল, সুঘ্রাণ ছড়ানো মসলা, প্রচুর মাখো মাখো মাংস, সঙ্গে পাপড়, রায়তা আর আচার। আর কী চাই!
 
বিল নেওয়ার সময় ওয়েটার জানতে চাইল, খাবার কেমন লেগেছে। আমি হালকা রসিকতা করে বললাম, বিরিয়ানি এতটাই ভালো ছিল যে এখন দম ফেলাও মুশকিল হয়ে গেছে! ওয়েটার বেশ গম্ভীর মুখে বলল, বিরিয়ানি রাতে না খেয়ে দুপুরে খেলে ভালো হয়, এতে হজম ভালো হয় আর ক্যালরি বার্নেরও সুযোগ থাকে। আমি হাসতে হাসতে বললাম, ভালো কথা, কিন্তু এত মূল্যবান তথ্য খাবার পরে না দিয়ে আগে দিলে ভালো হতো না?
 
রাতের শেষ ভাগটা কাটালাম সাগরের ধারে হাঁটতে হাঁটতে। সাগরের পানিতে দূরের ঐতিহাসিক ভবনগুলোর আলোর প্রতিফলন এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য তৈরি করছিল। বসে বসে ভাবছিলাম গত দুই দিনের অভিজ্ঞতার কথা। মনটা একটু বিষণ্নও হয়ে গেল, কারণ পরদিনই ফিরে যেতে হবে সেই শীত, বৃষ্টি, কুয়াশা আর ব্যস্ততার জীবনে। কথায় বলে, পাখি উড়ে গেলে রেখে যায় তার পালক। আমিও ফিরে যাব, তবে সঙ্গে থাকবে ছোট্ট এই দ্বীপের কিছু স্মৃতি। দিন শেষে, এটাই বা কম কী!

কামরুল হাসান, স্টকহোম, সুইডেন:

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com