দেশি-বিদেশি পর্যটকদের অংশগ্রহণে চীনে বসন্তকালীন মন্দির উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যসহ অনন্য লোকজ ক্রিয়াকলাপ, প্রার্থনা, গান ও নৃত্যেপূর্ণ উৎসবটি হাজারো পর্যটককে আকৃষ্ট করে।
গত ১৫ থেকে ১৮ এপ্রিল চারদিনব্যাপী উৎসবটি শানতং প্রদেশের লংকউ শহরের নানশান পর্যটন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
তংচিয়াং পার্টি কমিটি এবং নানশান ট্যুরিজম গ্রুপের যৌথ স্পন্সরে বসন্তকালীন মন্দির উৎসব অনুষ্ঠানটি লংকউ কালচারাল অ্যান্ড আর্ট সেন্টার, লংকউ আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, লংকউ ক্যালিগ্রাফার অ্যাসোসিয়েশন এবং লংকাউ ফটোগ্রাফার অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে আয়োজন করে।
উৎসবে চমৎকার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির প্রচারের জন্য ড্রাম পারফরম্যান্স, সন্ন্যাসী পারফরম্যান্স, ড্রাগন ও সিংহ নাচ পরিবেশন, থাই চি, জাতিগত সংখ্যালঘু নৃত্য পরিবেশনা, চমকপ্রদ শারীরিক কসরতের প্রদর্শন, লোকসংগীত সহ অন্যান্য ক্রিয়াকলাপগুলো দর্শনীয় এবং প্রাণবন্ত ছিল।
ঐতিহ্যবাহী চীনা হস্তশিল্প কাগজ কাটা, চীনামাটির বাসন খোদাই, মাটির বাঘ, হস্তনির্মিত সুতা বুনন এবং পেইন্টিংসহ লোক শিল্পীদের চমৎকার কারুকাজ দেখা যায় এই বসন্তকালীন মন্দির উৎসবে। তাছাড়া পর্যটকদের আকর্ষণ করতে উৎসবকে ঘিরে বাহারি ও সুস্বাদু চাইনিজ খাবারের মেলা বসে।
হাজার হাজার পর্যটক গম্ভীর ও বিশুদ্ধ সংগীতের মধ্যে মহান বুদ্ধের তীর্থযাত্রা করেছিল। ধর্মের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য বৌদ্ধ ধর্মের সন্ন্যাসী এবং অনুসারীরা এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে।
ঐতিহ্যবাহী লোক প্রথা ও সংস্কৃতির এবং মজার খাবারের অভিজ্ঞতা নিতে চারদিনব্যাপী মন্দির মেলায় ৩০ হাজারেরও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের অংশগ্রহণ করেছিলেন।
উৎসবটি বৈচিত্র্যময় ও উত্তেজনাপূর্ণ লোক সংস্কৃতি এবং জাতীয় শৈলীর পরিবেশনার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলোকে প্রতিফলিত করে।