বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স তাদের পথ চলা শুরু করে। চায়না ইস্টার্ন এয়ার লাইন্স মোট ২৭ টি দেশে যাত্রী পরিবহন করে থাকে। টিকেটের সময় পরিবর্তন, টিকেট বাতিল অগ্রিম টিকেট বুকিং, ফ্লাইট বিলম্ব বা বাতিল হলে যাত্রীদের নানা ধরনের সেবা দিয়ে থাকে।
প্রধান কার্যালয়ের অবস্থান
গুলশান ২ নম্বর গোল চত্ত্বর থেকে ১০০ গজ দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত বিলকিছ টাওয়ারের ৭ম তলায় এর অবস্থান।
প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা
বিলকিছ টাওয়ার (৭ম তলা), প্লট # ৬ (নতুন), গুলশান ২, ঢাকা- ১২১২
ফোন: ০২-৮৮১৯৪৮১-৫
ফ্যাক্স: ৮৮-০২-৮৮১৯৪৮৬
ই-মেইল- [email protected]
ওয়েব- www.ceair.com
যেসব রুটে চলাচল করে
লেবানন, সৌদি আরব, চীন, আমেরিকা, ভারত, রাশিয়া, মালদ্বীপ, কুয়েত, আরব আমিরাত, মায়ানমার, সিঙ্গাপুর, বাহরাইন, আজারবাইজান, আফগানিস্তান, ইরাক, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কাতার, কেনিয়া, যুক্তরাজ্য, ওমান, ইয়েমেন, লিবিয়া, কিরগিজিস্তান, মিশর ও কানাডা।
- বিমান ছাড়ার ৭২ ঘন্টার আগে যেকোন সময়ে টিকেট বুকিং দেওয়া যায়।
- বুকিং দেওয়ার সময় সম্পূর্ন টাকা পরিশোধ করতে হয়।
- বিমান ছাড়ার ৭২ ঘন্টার আগে টিকেট ফেরৎ দিলে ২৫% কমিশন কর্তন করা হয়। আর যদি ২৪ ঘন্টার আগে ফেরৎ দেয়া হয় তাহলে ৪৫% কমিশন কর্তন করে রেখে দেওয়া হয়। ২৪ ঘন্টার পরে টিকেট ফেরৎ নেওয়া হয় না।
- বিমান ছাড়ার ৭২ ঘন্টা আগ পর্যন্ত বিমানের টিকেট বুকিং দেওয়া যায়।
- সময় পরিবর্তন করতে চাইলে ৭২ ঘন্টার আগে যোগাযোগ করতে হয়।
- সময় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ২৫% কমিশন দিতে হয়।
- বুকিং দেওয়ার সময় ভিসা ও পাসপোর্ট এর কাগজপত্র প্রয়োজন হয়।
ফ্লাইট বিলম্ব বা বাতিল হলে
- ফ্লাইট বিলম্ব হলে যাত্রীদেরকে কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয় এবং কর্তৃপক্ষ সমস্ত খরচ বহন করে থাকে।
- যদি ফ্লাইটের বাতিল হয়ে যায় কিন্তু ২ দিনের মধ্যে ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার সম্ভাবনা থাকে তাহলে কর্তৃপক্ষ যাত্রীদেরকে নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়। সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সকল ধরনের খরচ বহন করে। যদি ২ দিনের মধ্যে বিমানের ব্যবস্থা করা সম্ভব না হয় তাহলে যাত্রীদের বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
- ফ্লাইট বাতিল হলে যাত্রীদের কোন খরচ বহন করতে হয় না। সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ সকল খরচ বহন করে।
- পরবর্তীতে যাত্রীদের ফ্লাইটের সময় জানিয়ে দেয়া হয়।
আসন ব্যবস্থা
- বিমানের মধ্যে দুই ধরনের আসন রয়েছে। ইকোনোমিক ও বিজনেস ক্লাস।
- এই বিমানের যাত্রী ধারণক্ষমতা ১৩১ জন। এই বিমানে বীমা করার ব্যবস্থা রয়েছে।
টিকেট সংগ্রহ
- টিকেট অফিস অথবা যেকোন এজেন্সী থেকে সংগ্রহ করা যায়।
- টিকেটের মূল্য সরাসরি অফিস অথবা এজেন্সীতে পরিশোধ করতে হয়। টিকেটের মূল্য পরিশোধ করে মানি রিসিট সংগ্রহ করতে হয়।
- ক্যাশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে হয়।
শিশুদের টিকেট
- ০-২ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে ১০% এবং ২-১২ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে ৭৫% কমিশন দিতে হয়।
- রোগী ও প্রতিবন্ধী এবং অটিস্টিকদের জন্য হুইল চেয়ার এবং গাইডের ব্যবস্থা রয়েছে।
- রোগী, প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের টিকেট মূল্যে কোন ধরনের ছাড়ের ব্যবস্থা নেই।
মালামাল পরিবহন
- টিকেট মূল্যের সাথে একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ২০ কেজি পরিমান পণ্য বহন করতে পারে।
- সরকার কর্তৃক যে সকল পণ্য নেওয়া নিষেধ সেসকল পণ্য বহন করা যায় না।যেমন- মদ, গাঁজা, হিরোইন ও আফিম।
অভিযোগ
- কাস্টমার হট লাইনে ফোন করে অথবা ই-মেইল এর মাধ্যমে যাত্রীদের অভিযোগ ও পরামর্শ জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
Like this:
Like Loading...