পৃথিবীর অন্যতম ছোট একটি দশে সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুরের বিমানবন্দরের নাম চাঙ্গি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। বিমানবন্দরটি পৃথিবীর সবচাইতে আধুনিক একটি বিমানবন্দর। ১৯৬৫ সালে সিঙ্গাপুর একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিনত হয়। ১৯৬৭ সালে সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ১৯৭০ সালে দিকে বিমানবন্দরটির জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে যায়।
১৯৭২ সালে কনকর্ডের মতো বিমান সিঙ্গাপুরে ফ্লাইট চালু করে। ট্রাফিক এবং ফ্লাইট বেড়ে যাওয়ার ১৯৭৯ সালে বিমানবন্দরটিকে নতুন করে বড় করার কাজ শুরু হয়। ১৯৮০ সালে মাত্র একটি রানওয়ে নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় টার্মিনালের কাজ শুরু হয় এবং বিমানবন্দরটি বেষ্ট এয়ারপোর্ট হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
১৯৮৯ সালে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরু করে চাঙ্গি এয়ারপোর্ট। ১৯৯০ সালে বিমানবন্দরটিযাত্রী সেবায় শীর্ষে অবস্থান করে। ১৯৯৩ সালে প্রিন্সেস ডায়না ভিজিট করেন এবং তিনি সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টকে বেস্ট এয়ারপোর্টহিসেবে ঘোষনা দেন।
১৯৯৫ সালে সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টে একটি সুইমিংপুল চালু করে। ১৯৯৭ সালে বিমানবন্দর ২০ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে এবং টানা দশ বছর বেষ্ট এয়ারপোর্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
পৃথিবীর প্রায় ৫০টির দেশের ১৪৫ টি শহরে এখান থেকে ফ্লাইট পরিচালিত হয়। এরপর তারা তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শুরু করে। ২০০০ সালে পর সেবার মানে অমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে। ২০১৪ সালে নতুন আর একটি টার্মিনালের কাজ শুরু করে এবং ২০১৫ সাল চতুর্থ টার্মিনালটি চালু হয়।
এই টার্মিনালটি চালু হওয়ার পর চাঙ্গি এয়ারপোর্টের সৌন্দর্য কয়েকগুন বেড়ে যায়। বর্তমানে চাঙ্গি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট বিশে^র একটি ব্যস্ততম এয়ারপোর্ট। ২০১৮ সালে প্রায় ৬ কোটি ৫৬ লক্ষ যাত্রী হ্যান্ডেল করে। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স সহ প্রায় ৬টি এয়ারলাইনের হাব হচ্ছে চাঙ্গি এয়ারপোর্ট।