1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
চলো যাই হিমছড়ি ঘুরে আসি
বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৫৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
স্বপ্নভঙ্গের হতাশা আর আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশী শিক্ষার্থীরা ইমিগ্রেশনের সময় এই ৭ কথা ভুলেও বলবেন না, ভেস্তে যেতে পারে ভ্রমণ চীনে বাড়ছে নারীদের আবাসিক ক্লাব, পুরুষ প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাইল্যান্ড ভ্রমণে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করতে পারবেন পর্যটকেরা ছুটি হোক কর্মক্ষমতা বাড়ানোর চাবিকাঠি কেবিন ক্রুদের ধর্মঘটে এয়ার কানাডার সব ফ্লাইট স্থগিত ৬ হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র আগামী বছর ভালুকায় চালু হচ্ছে পাঁচ তারকা হোটেল ‘ম্যারিয়ট’ ঘুরতে গেলে বাজেট শেষ? কয়েকটি টিপসেই মিলবে সমাধান ইউরোপে ‘অবাধ্য’ পর্যটকদের গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা

চলো যাই হিমছড়ি ঘুরে আসি

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

কক্সবাজার থেকে ১২ কি:মি: দূরে পাহাড়ের কোল ঘেষে সমুদ্র সৈকত হিমছড়ি। এখানকার সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজারের অপেক্ষাকৃত নির্জন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এর সৌন্দর্য কিন্তু কক্সবাজার থেকে কোন অংশে কম নয়। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার পথটি স্বপ্নের মতো সুন্দর। একপাশে সবুজ পাহাড়। মাঝখানে মেরিন ড্রাইভ। গাড়িতে মেরিন ড্রাইভে হিমছড়ি ভ্রমনের আনন্দ আপনার সারাটা জীবন মনে থাকবে।

পাহাড় থেকে দেখতে পাবেন নীল দিগন্তে হারিয়ে যাওয়া বিশাল সমুদ্র। হিমছড়ির পাহাড়ের হিম শীতল ঝর্নাগুলো খুব আকর্ষনীয়। হিমছড়ি ভ্রমনের জন্য উত্তম বাহন খোলা ছাদের জীপ বা বাস।

খোলা জীপে বা বাসে চড়ে হিমছড়ি ভ্রমনে আপনার মনে হবে যেন কোন এক স্বপ্নের দেশে ভেসে বেড়াচ্ছেন। পাহাড়ের নানা ঝোপ ঝাড়ের সাথে সমুদ্র সৈকতে সারি সারি ঝাউগাছ আর নারিকেল গাছ চোখে পড়বে।

হিমছড়িতে ছোট একটি পর্যটন কেন্দ্র আছে। ভিতরের পরিবেশটা খুবই সুন্দর। পাহাড়ের উপর আছে বিশ্রামাগার। প্রায় দুই শতাধিক সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হয়।

উপরের উঠার কষ্টটা অবশ্য এক মুহুর্তের মধ্যে ভূলে যাবেন, যখন পাহাড়ের চূড়া থেকে কক্সবাজারের পুরো সমুদ্র সৈকতটি এক পলকে দেখতে পাবেন। দুর্লভ সে দৃশ্য। এখানে রয়েছে একটি ছোট্ট ঝরনা কিন্তু বর্ষা মৌসুমে এটি অন্যরূপ ধারন করে।

এখানেই মারমেইড ইকো রিসোর্ট অবস্থিত। পেচার দ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশে কটেজ তৈরী করা হয়েছে। ইয়োগা সেন্টার, স্পা, নৌকা ভ্রমন, সম্মেলন কক্ষ, প্রেক্ষাগ্রহ সহ সব কিছুরই ব্যবস্থা আছে এই পরিবেশ বান্ধব অবকাশযাপন কেন্দ্রে।

এখানে নেই কোন কোলাহল। একান্ত নিরিবিলিতে বেড়াতে চাইলে এটি হবে বেষ্ট ডেষ্টিনেশন। দুপুরের রোদ পড়ে গেলে বিকালে কুঠিরের সামনের বাসের বেঞ্চে গা এলিয়ে দিয়ে প্রকৃতি উপভোগ করতে পারেন।

বাংলোর সারি সারি নারিকেল গাছ পেরিয়ে হেটে গেলে রেজু খালের পাড় চোখে পড়বে। পাল দিয়ে ভেসে যায় বাহারি সাম্পান। দূরে আদিগন্ত সমুদ্র উপভোগ করতে পারেন।

বালুকনা বা বেলায় পা রাখতেই ছুটে পালাবে লাল কাকড়ার দল। দক্ষিনা বাতাসের দোলায় মাথা নেড়ে অভিবাদন জানাবে ঝাউবন। নির্জন সাগরতীরে ইচ্ছে মতো ঘুরতে পারেন। এক সৌন্দর্য মৌনতার ডুবে আছে পুরো চর। রাতের বেলা চাদের আলোয় সমুদ্র দর্শন আপনার সারাটা জীবন মনে থাকবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com