বৃটিশ স্বাশিত ভারতের গৃীষ্মকালীন রাজধানী ছিল শৈল শহর শিমলা। শিমলার পরিবেশ বাস্তবিকই মনোরম। একদিকে রূপার মতো ঝকঝকে বরফের বিচিত্র সমাবেশ অন্যদিকে মনোরম আবহাওয়া শিমলাকে আকর্ষনীয় করে তুলেছে। এই দুনির্বার আকর্ষনে হাজার হাজার সৌন্দর্য পিপাসু পর্যটকরা ছুটে আসেন প্রকৃতীর রানী শিমলায়।
শিমলার আকর্ষন সারা বছরই সমান। গ্রীষ্মে প্রাকৃতিক রূপ সৌন্দর্য আর মনোরম আবহাওয়া ভ্রমন পিপাসুদের হাতছানি দেয়। আর শীতের সময় আইস স্কেটিং এর আকর্ষনেও অনেক পর্যটক এখানে ভিড় করে।
শিমলা থেকে কিন্নর, মানালি এবং মান্ডি ঘুরে আসতে পারেন। শিমলা থেকে কিন্নর প্রায় ২১০ কি.মি। কিন্নর যেতে অনুমতি লাগবে। হিমালয় পর্বতের সাথে পার্বত্য বনাঞ্চল, আপেল আর কমলার বাগান চোখে পড়বে সর্বত্র। আধুনিক সভ্যতার আলো থেকে এখানকার মানুষগুলো আজও বঞ্চিত। আদীম জীবনযাপনে অভ্যস্ত স্থানীয় জনগন। এখানকার পুরুষরা উপার্জন থেকে শুরু করে সবখানে নারীর উপর নির্ভরশীল। এখানকার মেয়েরা রূপসী এবং কঠোর পরিশ্রম।
প্রয়োজনে ৫০০০ ফুট উচু টপরীতে (কুঠির) রাত্রি যাপন করতে পারে। সাংলাগামী বাসে তিন ঘন্টার আকাবাকা ঘন বনের ভিতর দিয়ে অনেক চড়াই উৎরাই পথ পেরিয়ে সাংলায় যেতে পারেন। সাংলা ভ্যালি যেন এক স্বর্গরাজ্য। এমন মনোলোভা প্রকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ভ্রমন কোনজায়গা থাকতে পারে তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ^াস করা যায় না।
২৭০০ ফুট উচুতে অবস্থিত সাংলা ভ্যেলী। এখানেই কামাক্ষ্যা মন্দির। পাহাড়ের গায়ে পাইন আর দেবদারু গাছের সারি চোখে পড়বে।ছোট ছোট গ্রাম। সাংলায় থাকতে পারেন মাউন্ট কৈলাশ সেই হাউজে থাকা খাওযার সুব্যবস্থাও আছে।
শিমলা থেকে মানালি যেতে পারেন কন্ডাক্টেড ট্যুরের বাসে। তারাই আপনার ভ্রমনের সব ব্যবস্থা করে দেবে। পর্যটন মৌসুমে এখানে পর্যটকদের ভীড় লেগেই থাকে। এছাড়া ঘুরে আসতে পারেন মান্ডি থেকেও। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮৫০০ মিটার উচু পাহাড়ের শীর্ষে মান্ডি অবস্থিত। মানালি থেকে মান্ডির দূরত্ব ১১৬ কি.মি.। মান্ডি বাসে যাওয়া যায়, মান্ডি শহর একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবসা কেন্দ্র সৌন্দর্য পিপাসু পর্যটকদের ভীড় সারা বছর লেগেই থাকে। এখানে ৮০টির বেশি পাথরের মন্দির রয়েছে যা প্রাচীন স্থাপত্য, ভাষ্কর্য আর চিত্রশিল্পের স্বাক্ষর বহন করে।