ঢাকা থেকে রাঙামাটি বাসে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে অনেকগুলো এয়ারকন্ডিসন বাস যায় রাঙামাটিতে।রাত্রের বাসে যাওয়াই ভাল। সকালে রাঙামাটি পৌছে যাবেন। বাই এয়ারে গোল ঢাকা থেকে চিটাগং বাই এয়ারে গিয়ে সড়কপথে কয়েক ঘন্টায় রাঙামাটি যেতে পারেন। রাঙামাটি গেলে মনে হবে যেন ভূস্বর্গ।
এখানকার মানুষ, প্রকৃতি, জীবনযাত্রা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি অত্যান্ত বৈচিত্রময়। রাঙামাটি শহরটি দেখতে যেন ছবির মতো। চারিদিকে পাহাড় আর সবুজ বন। এখানকার স্থাপত্য রীতিত্ত ব্যতিক্রমী। বাড়ীর দরজা ও জানালার নকশা অত্যন্ত চমৎকার। এখানকার টিলা এবং তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।
কাপ্তাই সবার কাছে ভীষন পছন্দের জায়গা, এই হ্রদের গভীরতা কোথাও ১০০ ফুট আবার কোথাও ৫০০ ফুট। ১১,০০০ বর্গ কিমি এর এই কাপ্তাই লেক এ দেশের সর্ববৃহৎ হৃদ। এই হৃদে নৌকা ভ্রমনের ব্যবস্থা আছে। আপনি চাইলে নৌকা ভাড়া করে হ্রদে ঘুরে আসতে পারেন।
এছাড়া নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর শুভলং জলপ্রপাত দেখতে পারেন কাপ্তাই লেকে রয়েছে একটি ঝুলন্ত সেতু। ৩৩৫ ফুট লম্বা এই সেতু থেকে কাপ্তাই লেকের দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।
এদের সাংস্কৃতিকে ধারন করে আছে দেশের এক বিলিয়মান নৃ-গোষ্ঠির যাদুঘর। বহু মুল্যবান স্বারকের এক বিপুল সংগ্রহ আছে এখানে। এখানে আছে একটি আইভরি শপ। এখানে দেখতে পারেন হাতির দাত দিয়ে তৈরি বিভিন্ন এন্টিক ইটেম। মৃত হাতির দাত থেকেই তৈরি হয় এসব আইভরি। দাম একটু বেশি।
রাঙামাটি ঘুরতে গেলে আপনি অবশ্যই বৌদ্ধবিহার দেখতে চাইবেন। অপরূপ সৌন্দর্য এবং শান্তির প্রার্থনাকৃ গেলে আপনি বিমোহিত হবেন। বিশেষ করে এসব বৌদ্ধ বিহারের আঙ্গিানা জুড়ে বানরগুলোর উপস্থিতি আপনাকে মুগ্ধ করবে। এছাড়া এখানকার রাজবাড়ীটা দেখতে ভুলবেন না। এখানে বেড়াতে গেলে কী কী আপনাকে সাথে রাখতে হবে? ট্যুর গাইড আপনাকে তা আগে থেকে বলে দেবে। বিদেশি পর্যটক হলে পাসপোর্ট এবং ভিসার কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।