বালি ইন্দোনেশিয়ার ৩৩টি প্রদেশের একটি। যেখানে সাগর আর পাহাড়ের দেখা মিলবে একসঙ্গে।সাগরের পানি স্বচ্ছ নীল। হু হু বাতাস আর সাদা বালুর শৈকতে আছড়ে পড়া ভারত মহাসাগরের ঢেউ। অপরূপ সুন্দর তার রূপ। দূর দীগন্তে দৃশ্যমান মাউন্ট সাঙগু। পাহাড় আর সাগর এসে একাকার হয়ে গেছে এখানে। সাধারনত সাগরের তীরবর্তী অংশটুকু ছাড়া পুরো দ্বীপটার চারপাশটাই সৈকত। নানা অংশের নানা নাম।
সানুর বিচ, বুতা বিচ, নুসা ভূড়া বিচ অন্যতম। বালির অন্যতম সুন্দর বিচের নাম বুতা বিচ। এখান থেকে সূর্যোদ্বয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যায়। শীতের সময় এই দ্বীপে ভ্রমনের জন্য ভালো সময়। বালি দ্বীপে দেখার মতো জায়গা অনেক। সবকিছু ভাল করে দেখতে অন্তত: চারদিন সময় লাগবে। পর্যটন তথ্য কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের তথ্য সরবরাহ করা হয়। এরকম শত শত কাউন্টার ছড়িয়ে আছে বালির সর্ব রাস্তাঘাট থেকে শপিং মল, হোটেল, রেস্তোরা, বাসস্ট্যান্ড, বিমানবন্দর পর্যন্ত।
ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত কাঠ ও পাথরে খোদাই শিল্পের দেখা মিলবে বাটু বুলান। এইসব কাঠ ও পাথরের উপর শৈল্পিক কারুকাজ খুবই আকর্ষনীয়। বালি দ্বীপের সবচেয়ে উচু পাহাড় মাউন্ট আগুং আর জীবন্ত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট বাটু আছে এখানে। বালিতে সবচেয়ে ওয়াটার রাইড দেখা যায়। সামুদ্রিক মাছ, নানা রকম পাত্রী ও উদ্ভিদজগৎ দিয়ে সাজানো হয়েছে মনোরমভাবে।
আছে আন্ডার ওয়াটার মেরিন গার্ডেন। পানির নিচে ঘুরে আন্ডার ওয়াটার মেরিন গার্ডেন। পানির নিচে ঘুরে দেখতে পারেন বাহারি কোরাল, প্রবাল পাথর ও জলজ উদ্ভিদ লতাপাতা আরো কত কী।বালিতে ডেন পাগর ও বুতা বিচের কাছাকাছি কোন হোটেলে থাকতে পারেন। বিচের পাশে অনেক হোটেল আছে। প্রতি রাত্রের ভাড়া পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু।
কুতা বিচের সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ কোনভাবেই মিস করবেন না। কিনতামনি থেকে ফেরার পথে পূর্ণতীর্থ এম্পুল মন্দির। সানুর বিচের দিকে যাওয়ার পথে তোয়া গাজাই ও চিড়িয়াখানা দেখে নিতে রেন। প্রাসাদ, কাঠ ও পাথর খোদাই কাজ, বার্ড পার্ক, হাতির পিঠে চড়ে বেড়ানোর আনন্দ উপভোগ করতে পারেন।
সমুদ্রের পাড়ে অসাধারন ঐতিহাসিক মন্দির। এখান থেকে সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারেন। নূসা ভূয়া উলুয়াটু বিচও খুবই নামকরা। বালির ঐতিহ্যবাহী নাচ উপভোগ করতে পারেন। বারগুলো সারারাত খোলা থাকে। স্ক্রু বা ডাইভিংসহ নাইট ক্লাবগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। সাধারনত পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। শপিং এ যেতে পারেন কুতা বিচের তীরবর্তী শপিং মলগুলোতে।
বালি দ্বীপ থেকে খুবই কাছে লম্বুক দ্বীপ। স্পীডবোটে তিন ঘন্টা আর প্লেনে আধা ঘন্টার মতো সময় লাগে। অসাধারন স্বপ্নময় সুন্দর সুন্দর দ্বীপ। শান্ত আর নিরিবিলি। প্রিয়জনকে নিয়ে একান্তে সময় কাটানো জন্য বালি সুন্দর একটি জায়গা। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিনোদন কেন্দ্র লম্বুক সারা পৃথিবীর পর্যটকদের প্রধান আকর্ষন।