ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের প্রতিটি রাস্তায় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ছাপ পাওয়া যায়। ফরাশিরা শিল্প প্রেমিও বটে। এছাড়া এদের মধ্যে খাওয়া দাওয়ার বৈচিত্র চোখে পড়ে।
প্যারিসে প্রতিবছর সারারাত ক্যাপি আর্টস ফেস্টিভাল অনুষ্ঠিত হয়। গান বাজনা, উৎসাহ উদ্দীপনা মিলিয়ে আক্ষরিক অর্থেই প্যারিসের স্বপ্নিল বাত্রি বিলাসের অনন্য উদাহরন। রাত ৮টা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান।
সাজানো রাস্তার পাশেই ল্য দ্য ম্যাগে ম্যাগেট ক্যাফে। ফ্রেন্স, মেক্সিকান থাই সব ধরনের ফুডই এখানে পাওয়া যায়। তাইতো ভোজনরশিকরা এখানে ভীড় করে থাকে। এখানের চকোলেট ঠাসা কেক খেয়ে মন ভরে যাবে। ডার্ক চকোলেট আর ক্রেপের অভিনব এসোর্টমেন্ট সত্যি অসাধারন।
প্যারিসে রয়েছে অনেক মিউজিয়াম। অবশ্যই ঘুরে আসবেন ইউরোপের বৃহত্তম মডার্ন আর্ট মিউজিয়াম। এখানে গেলে বুঝতে পারবেন আউটডোর পেইন্টিং এর গুরুত্ব। এরপর যেতে পারেন ম্যু সে কার্নিভাল, এখানে রয়েছে প্রায় ২৫০০ পেইন্টিং। অসাধারন সব ফটোগ্রাফ, ভাস্কর্য, মৃতশিল্প, ফার্নিচার বিভিন্ন রকম কয়েনের কালেকশন। প্যারিসের ইতিহাস আর ঐতিহ্য যেন মূর্ত হয়ে ওঠে চোখের সামনে। লুভের মিউজিয়াম দেখতে ভুলবেন না। এখানে রয়েছে বিখ্যাত মোনালিসার ছবি।
প্যারিসের প্রধান আকর্ষন হচ্ছে আইফেল টাওয়ার। শহরের যে কোন প্রান্ত থেকেই আইফেল টাওয়ার চোখে পড়বে। রাতে এখানে বিশেষ লেজার লাইটিং এর ব্যবস্থা থাকে। ১৫ ইউরো দিয়ে আইফেল টাওয়ারে উঠা যায়।
এখানে চাবির রিং, ফুল, সো পিছ নিয়ে দাড়িয়ে থাকে হকাররা। প্রিয়জনকে কিছু একটা উপহার কিনে দিতে পারেন এখান থেকে। প্যারিসের স্যাম্পেইন খুবই জনপ্রিয়। একবার স্বাদ নিতে পারেন। জুন থেকে আগষ্ট আর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর ভ্রমনের জন্য ভাল সময়। এসময় পিক সিজন হওয়াতে হোটেলের ভাড়া বেশি থাকে।
প্যারিসে হোটেলের ভাড়া খুবই বেশি তবে ৫০ ইউরোর মধ্যে সাধারন মানের হোটেল পেয়ে যাবেন। প্যারিসে গিয়ে সাপ্তাহিক পাস করিয়ে নিন। এতে আপনার যাতায়াত খরচ কমবে। এই শহরে সারারাত মেট্রোরেল চলে। আশা করি প্যারিস ভ্রমন আপনাকে দারূন আনন্দ দেবে।