সমুদ্র আর পাহাড়ের মেলবন্ধন গোয়ার মতো ভারতবর্ষে খুব কম জায়গাতেই রয়েছে। আপনার মন যখন শহরের কোলাহলে অস্থির হয়ে উঠেছে, যখন মন চাইছে একটু ব্যতিক্রমী একটা সকাল, নেশাময় রাত, সমুদ্র সৈকতে নির্মল বাতাস উপভোগ করতে চলে আসুন গোয়া। এখানে সোনালি চুল মেলে রূপসী সৈকত অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। রাতে তার উন্মুক্ত রঙ লাগায় গায়ে, আগুন লাগায় ড্যান্স ফ্লোরে, মিউজিকে আপনার জীবনকে রঙিন করে দেওয়ার প্রতিশ্রæতিতে হাতছানি দেয় গোয়া সুন্দরীরা।
বাই এয়ারে গোয়া এয়ারপোর্ট থেকে শহরের একটি রিসোর্টে উঠলাম। এখানে বেশ বড় একটা সুইমিং পুল আছে। রাতে পাশের বার কাউন্টার থেকে বেশ জোরে মিউজিক শুনতে শুনতে সুইমিং পুলে বসে পছন্দের পানীয়তে চুমুক দেওয়া যায়। রিসোর্টে পৌছানোর পর একটু রেষ্ট নিয়ে বিকালে গেলাম বিচে।
কালাংঘুট হলো গোয়ার দীর্ঘ সৈকত। গোয়ার সৈকতগুলোর রানী হচ্ছে কালাংঘুট। এখানে ওয়াটার স্পোর্স্টসেরব্যবস্থা আছে। বিচের ধারেই মারমেইড বলেই একটা হোটেল আছে। এখানে অসাধারন সব সি ফুড পাওয়া যায়। আর দুর্দান্ত সব ককটেল। গোয়ার সব বিচেই এক রকম রিলাক্স করে সমুদ্রতীরে কেটে গেল প্রথম দিন সন্ধেটা। গোয়ার বৈশিষ্ট্য হল নান রকমের সমুদ্র সৈকত।
আজ নর্থ গোয়ার তিনটি সমুদ্র সৈকত দেখাবো আমরা। কেরিম বিচ হলো উত্তরে আবস্থিত টিরাকোল ফোর্টের ধারের একটি সৈকত। পরিত্যাক্ত পর্তুগিজ দুর্গ ও শান্ত একটি গির্জা নিয়ে এই সৈকত যেন ধানমগ্ন। এই সৈকত সন্ধার পর সারি সারি মাছধরা নৌকা ভিড় জমায়। প্যারাগøাইডিং এর সুযোগ আছে এখানে। নর্থ গোয়ার অন্যতম ছবির মতো সুন্দর সৈকত হল আরামবোল সৈকত। একদিকে জেলেদের গ্রাম আর এক দিকে পাহাড় চ‚ড়া, তার পাশে সোনালি সৈকত মুগ্ধ করবে আপনাকে। এই সৈকতে হিপ্নিরা সানবাথ নেয়। এই সৈকতই গোয়ার হিপ্নি সংস্কৃতির পীঠস্থান। এই বিচ রঙিন হয়ে ওঠে রাতের পার্টিতে।
ফিরে এলাম হোটেলে। সন্ধ্যার পর সবাই গেলাম ডিবা ডেক। বাগা বিচের ধারে জাহাজের আদলে তৈরি এই রেস্তেরায় ডিনার ভারি আন্দদায়ক। রেস্তোরায় ড্যান্স ফ্লোর আছে। ড্যান্স করতে পারেন প্রিয়জনকে নিয়ে বা পান করুন এখানের পছন্দের কোন পানীয় এবং খাবার।
এর পাশেও অনেক নাইট ক্লাব আছে। কাফে মাম্বোস, কেপ টাউন ক্যাফে, ক্লাব এক্স ও কামাকি এদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাইট ক্লাব। রাত নয়টা থেকে শুরু করে সারারাত চলে হৈ হুল্লোড় পার্টি।
পরের দিন সকালে ছুটলাম নর্থ গোয়ারই আরেক বিচ মেক্সিম সৈকতে। ডলফিন দেখার সুযোগ পাবেন এখানে। পাখিদের ডাক শুনতে আর কচ্ছপদের সাথে খেলা করতে পারেন এখানে। রাশিয়ার অনেকের ঠিকানা এই মেক্সিম সৈকত।
পরদিন সকালটা বাগা বিচেই কাটিয়ে দেই। অপূর্ব প্রকৃতি, নৈশ পার্টি, বিচ শ্যাক, দারুন সব খাবার, ওয়াটার স্পোর্টস, টুরিষ্টদের কাছে ফেভারিট ডেষ্টিনেশন।
তারপর গেলাম ক্যান্ডেলিম বিচ।ডিসেম্বরে বিদেশী পর্যটকরা এখানে এসে রৌদ্র¯œান উৎসব উদযাপন করে। এখানে দেখতে পাবেন আগুয়াড়া ফোর্ট ও লাইটহাউজ। ইউরোপ থেকে আসা জাহাজগুলো এই দুর্গের ভিতর থাকতো। চারতলা একটা লাইট হাউজও আছে এখানে। এটি এশিয়ার সবচেয়ে পুরোন লাইটহাউজ। আগুয়াড়া ফোর্টথেকে ফেরার পথেই সিঞ্জুয়েরিম বিচ ও সেঞ্জুয়েরিম ফোর্ট। এই ফোর্ট সমুদ্র উপকুলকে মাঝখানে থেকে ভাগ করে দিয়েছে।
এবারে চললাম রকি বিচ, ভ্যাগেটর ও আনজুনা। পাথরের চাই টপকে সমুদ্রে পৌঁছাতে হবে। সমুদ্রের কাছাকাছি ক্যাফেগুলো দারুন।
মায়ানগরী গোয়ার আরেকটি আকর্ষন মিরামার বিচ। শহরের মাঝখানে হঠাৎ করেএকটুখানি ঢুকে পড়েছে সমুদ্র। খুবই সুন্দর বিচ মিরামার বিচ। সূর্যাস্তের সময় গোধুলি লগ্নে আমরা প্যার্যগøাইডিং উপভোগ করলাম। ফেরার পথে মন্ডবি নদীর ধারে রিভার ক্রুজ উপভোগ করে ফিরলাম। পাশেই ক্যাসিনো রয়্যাল। উচ্চবিত্তদের জন্য বিলাসবহুল রিসোর্টগুলো দেবে একটু বেসামাল হওয়ার, রঙিন করে তুলবে রাত।
ডোনা পাওলা বিচেও একবার গেলাম।দক্ষিণ ভারতের সেরা বিচ কোলভা বিচ। এটা হানিমুনের জন্য বেষ্ট ডেষ্টিনেশন। শান্ত নির্জন সমুদ্র, খাবার দাবার লা জবাব।সি ফুড সালাদ, অক্টোপাসের নানা আইটেম থেকে শুরু করে রাস্তার পাশে চিকেন শোওয়ারমা খেতে পারেন।
শপিং এর জন্য যেতে পারেন মাপুসা বাজার। যাওয়ার পথে পাহাড়ের উপরে আকাশ ছুয়ে দাড়িয়ে থাকা ক্লাব খাবারদাবার। উপভোগ করুন মজার মজার সব ককটেল। ক্লাব কাবানাকে বলা হয় নাইট ক্লাব অব দ্যা স্কাই।
পুরোনো গোয়ার ব্যাসিলিকা অবারুম জেসাম অন্যতম পর্যটন আকর্ষন। এটি একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এখানে সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্সের ব্যবহৃত জিনিষপত্র ও সমাধি আছে। ব্যারাক স্থাপত্যের নিদর্শন এই গীর্জাটি ভারতের অন্যতম পুরোনো গির্জা।
উল্লেখযোগ্য হোটেলগুলোর মধ্যে ডাবল ট্রি বাই হিলটন হোটেল, গোয়া ম্যারিয়ট রিসোর্ট এ্যান্ড স্পা,পাকর্ হায়াত রিসোর্ট এ্যান্ড স্পা অন্যতম।
সমুদ্র আর পাহাড়ের মেলবন্ধন গোয়ার মতো ভারতবর্ষে খুব কম জায়গাতেই রয়েছে। আপনার মন যখন শহরের কোলাহলে অস্থির হয়ে উঠেছে, যখন মন চাইছে একটু ব্যতিক্রমী একটা সকাল, নেশাময় রাত, সমুদ্র সৈকতে নির্মল বাতাস উপভোগ করতে চলে আসুন গোয়া। এখানে সোনালি চুল মেলে রূপসী সৈকত অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। রাতে তার উন্মুক্ত রঙ লাগায় গায়ে, আগুন লাগায় ড্যান্স ফ্লোরে, মিউজিকে আপনার জীবনকে রঙিন করে দেওয়ার প্রতিশ্রæতিতে হাতছানি দেয় গোয়া সুন্দরীরা।
বাই এয়ারে গোয়া এয়ারপোর্ট থেকে শহরের একটি রিসোর্টে উঠলাম। এখানে বেশ বড় একটা সুইমিং পুল আছে। রাতে পাশের বার কাউন্টার থেকে বেশ জোরে মিউজিক শুনতে শুনতে সুইমিং পুলে বসে পছন্দের পানীয়তে চুমুক দেওয়া যায়। রিসোর্টে পৌছানোর পর একটু রেষ্ট নিয়ে বিকালে গেলাম বিচে।
কালাংঘুট হলো গোয়ার দীর্ঘ সৈকত। গোয়ার সৈকতগুলোর রানী হচ্ছে কালাংঘুট। এখানে ওয়াটার স্পোর্স্টসেরব্যবস্থা আছে। বিচের ধারেই মারমেইড বলেই একটা হোটেল আছে। এখানে অসাধারন সব সি ফুড পাওয়া যায়। আর দুর্দান্ত সব ককটেল। গোয়ার সব বিচেই এক রকম রিলাক্স করে সমুদ্রতীরে কেটে গেল প্রথম দিন সন্ধেটা। গোয়ার বৈশিষ্ট্য হল নান রকমের সমুদ্র সৈকত।
আজ নর্থ গোয়ার তিনটি সমুদ্র সৈকত দেখাবো আমরা। কেরিম বিচ হলো উত্তরে আবস্থিত টিরাকোল ফোর্টের ধারের একটি সৈকত। পরিত্যাক্ত পর্তুগিজ দুর্গ ও শান্ত একটি গির্জা নিয়ে এই সৈকত যেন ধানমগ্ন। এই সৈকত সন্ধার পর সারি সারি মাছধরা নৌকা ভিড় জমায়। প্যারাগøাইডিং এর সুযোগ আছে এখানে। নর্থ গোয়ার অন্যতম ছবির মতো সুন্দর সৈকত হল আরামবোল সৈকত। একদিকে জেলেদের গ্রাম আর এক দিকে পাহাড় চ‚ড়া, তার পাশে সোনালি সৈকত মুগ্ধ করবে আপনাকে। এই সৈকতে হিপ্নিরা সানবাথ নেয়। এই সৈকতই গোয়ার হিপ্নি সংস্কৃতির পীঠস্থান। এই বিচ রঙিন হয়ে ওঠে রাতের পার্টিতে।
ফিরে এলাম হোটেলে। সন্ধ্যার পর সবাই গেলাম ডিবা ডেক। বাগা বিচের ধারে জাহাজের আদলে তৈরি এই রেস্তেরায় ডিনার ভারি আন্দদায়ক। রেস্তোরায় ড্যান্স ফ্লোর আছে। ড্যান্স করতে পারেন প্রিয়জনকে নিয়ে বা পান করুন এখানের পছন্দের কোন পানীয় এবং খাবার।
এর পাশেও অনেক নাইট ক্লাব আছে। কাফে মাম্বোস, কেপ টাউন ক্যাফে, ক্লাব এক্স ও কামাকি এদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাইট ক্লাব। রাত নয়টা থেকে শুরু করে সারারাত চলে হৈ হুল্লোড় পার্টি।
পরের দিন সকালে ছুটলাম নর্থ গোয়ারই আরেক বিচ মেক্সিম সৈকতে। ডলফিন দেখার সুযোগ পাবেন এখানে। পাখিদের ডাক শুনতে আর কচ্ছপদের সাথে খেলা করতে পারেন এখানে। রাশিয়ার অনেকের ঠিকানা এই মেক্সিম সৈকত।
পরদিন সকালটা বাগা বিচেই কাটিয়ে দেই। অপূর্ব প্রকৃতি, নৈশ পার্টি, বিচ শ্যাক, দারুন সব খাবার, ওয়াটার স্পোর্টস, টুরিষ্টদের কাছে ফেভারিট ডেষ্টিনেশন।
তারপর গেলাম ক্যান্ডেলিম বিচ।ডিসেম্বরে বিদেশী পর্যটকরা এখানে এসে রৌদ্র¯œান উৎসব উদযাপন করে। এখানে দেখতে পাবেন আগুয়াড়া ফোর্ট ও লাইটহাউজ। ইউরোপ থেকে আসা জাহাজগুলো এই দুর্গের ভিতর থাকতো। চারতলা একটা লাইট হাউজও আছে এখানে। এটি এশিয়ার সবচেয়ে পুরোন লাইটহাউজ। আগুয়াড়া ফোর্টথেকে ফেরার পথেই সিঞ্জুয়েরিম বিচ ও সেঞ্জুয়েরিম ফোর্ট। এই ফোর্ট সমুদ্র উপকুলকে মাঝখানে থেকে ভাগ করে দিয়েছে।
এবারে চললাম রকি বিচ, ভ্যাগেটর ও আনজুনা। পাথরের চাই টপকে সমুদ্রে পৌঁছাতে হবে। সমুদ্রের কাছাকাছি ক্যাফেগুলো দারুন।
মায়ানগরী গোয়ার আরেকটি আকর্ষন মিরামার বিচ। শহরের মাঝখানে হঠাৎ করেএকটুখানি ঢুকে পড়েছে সমুদ্র। খুবই সুন্দর বিচ মিরামার বিচ। সূর্যাস্তের সময় গোধুলি লগ্নে আমরা প্যার্যগøাইডিং উপভোগ করলাম। ফেরার পথে মন্ডবি নদীর ধারে রিভার ক্রুজ উপভোগ করে ফিরলাম। পাশেই ক্যাসিনো রয়্যাল। উচ্চবিত্তদের জন্য বিলাসবহুল রিসোর্টগুলো দেবে একটু বেসামাল হওয়ার, রঙিন করে তুলবে রাত।
ডোনা পাওলা বিচেও একবার গেলাম।দক্ষিণ ভারতের সেরা বিচ কোলভা বিচ। এটা হানিমুনের জন্য বেষ্ট ডেষ্টিনেশন। শান্ত নির্জন সমুদ্র, খাবার দাবার লা জবাব।সি ফুড সালাদ, অক্টোপাসের নানা আইটেম থেকে শুরু করে রাস্তার পাশে চিকেন শোওয়ারমা খেতে পারেন।
শপিং এর জন্য যেতে পারেন মাপুসা বাজার। যাওয়ার পথে পাহাড়ের উপরে আকাশ ছুয়ে দাড়িয়ে থাকা ক্লাব খাবারদাবার। উপভোগ করুন মজার মজার সব ককটেল। ক্লাব কাবানাকে বলা হয় নাইট ক্লাব অব দ্যা স্কাই।
পুরোনো গোয়ার ব্যাসিলিকা অবারুম জেসাম অন্যতম পর্যটন আকর্ষন। এটি একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এখানে সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্সের ব্যবহৃত জিনিষপত্র ও সমাধি আছে। ব্যারাক স্থাপত্যের নিদর্শন এই গীর্জাটি ভারতের অন্যতম পুরোনো গির্জা।
উল্লেখযোগ্য হোটেলগুলোর মধ্যে ডাবল ট্রি বাই হিলটন হোটেল, গোয়া ম্যারিয়ট রিসোর্ট এ্যান্ড স্পা,পাকর্ হায়াত রিসোর্ট এ্যান্ড স্পা অন্যতম।