কক্সবাজারসমুদ্র সৈকতের বিস্তীর্ণ বেলাভূমি সারিসারি ঝাউবন সৈকতে আছড়ে পড়া বিশাল ঢেউ, সকাল বেলা দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি ভেদ করে লাল সূর্যোদয়ের দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। দিগন্তের চারিদিকে আরো বেশি স্বপ্নিল রং ছড়িয়ে সন্ধ্যাবেলায় আবার বিদায় জানায়।
শুধুমাত্র শীত মৌসুমে নয় এই সৈকত বছরের সারাটা সময় পর্যটকদের কলকাকলিতে ভরে থাকে। বাংলাদেশের দক্ষিন-পূর্ব উপকূলে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এখানকার সি-বিচের পানিতে গোসল করতে, সাগরপাড়ে মৃদুমন্দ বাতাসের মধ্যে হেটে বেড়াতে, এখানকার সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের দৃশ্য আপনাকে মগ্ধ করবে।
কক্সবাজার সৈকত ভ্রমনের শুরুটা হতে পারে লাবনী পয়েন্ট থেকে। হিমছড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত এই সমুদ্র সৈকত। এছাড়া বৌদ্ধ মন্দির, বার্মিজ মার্কেট, হিলটপ রেষ্ট হাউজ থেকে ঘুরে আসতে পারেনসৈকতের চারিপাশে বিভিন্ন মানের হোটেল, মোটেল পাবেন। পর্যটকদের জন্য রেষ্টুরেন্ট সাজিয়ে রেখেছে নানা রকম মুখরোচক খাবার। আছে রাখাইন মেয়েদের কাপড়ের দোকান। যেখানে পাবেন উপজাতীয় থ্রি-পিস, লুঙ্গি, গামছা, শতরঞ্জি, রুমাল, ঝিনুক ও মুক্তার মালা।
ঢাকা থেকে সড়কপথে বা আকাশপথে যেতে পারেন কক্সাবাজার। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আরামদায়ক বাসে ভ্রমন করতে পারেন। রাত্রিকালিন বাসেই যাওয়া ভাল। এছাড়া বিমান, ইউ,এস বাংলা, নভো এয়ার এর নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে কক্সবাজারে। কক্সবাজার এয়ারপোর্টটি আন্তর্জাতিক মানের। কক্সবাজার থাকার জন্য রয়েছে বিভিন্ন মানের প্রচুর হোটেল। ফাইভ স্টার থেকে নরমাল।
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল রয়েছে বেশ কয়েকটি। তারমধ্যে হোটেল শৈবাল, মোটেল উপল, মোটেল প্রবাস, মোটেল লাবনী অন্যতম। পর্যটনের ঢাকা অফিস থেকে বুকিং করা যায়। এছাড়া পাচ তারকা মানে হোটেলের মধ্যে হোটেল সায়মন, কক্সটু ডে, রয়েল টিউলিপ অন্যতম। মধ্যমানের হোটেলের মধ্যে হোটেল সি কুইন, হোটেল সোনারগাও, সুগন্ধি গেট হাউজ। জিয়া গেষ্ট ইন, হোটেল সি হাস্ট, হোটেল ডায়মন্ড প্লেস অন্যতম।