সিলং মেঘালয়ের রাজধানী। ভারতে বেড়ানোর জন্য সিলং বেস্ট ডেষ্টিনেশন। সৃষ্টিকর্তা যেন তার নিজ হাতে সিলং বানিয়েছেনযা স্বচক্ষে না দেখলে বিশ^াস করা যাবে না। প্রায় ৫ হাজার ফুট উপরে অবস্থিত সিলং শহরে ঢোকার আগে চোখে পড়বে অপরূপ উমিয়াম লেক। আপনি যদি গৌহাটি হয়ে সিলং যান তাহলে মাত্র তিন ঘন্টার রাস্তা। জার্নিটা খুবই উপভোগ্য। যাওয়ার পথে চারিপাশের প্রকৃতিক দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।
হোটেলে একটু বিশ্রাম নিয়ে যেতে পারেন সিলং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় এলাকা পুলিশ বাজারে। সাতটা রাস্তা এসে মিলেছে এখানে। তাই এর নাম সেভেন পায়েন্টস। সেভেন পয়েন্টস এর চারিদিকে ঝলমলে দোকান, মল হোটেল, রেস্তোরা। এখানকার বড় বাজার এলাকায় পাওয়া যায় না হেন কোন জিনিস নেই। সিলং এ দেখার আছে অনেক কিছু। সাইট সিইং এর জন্য মেঘালয় ট্যুরিজম থেকে ঘন্টা হিসবে গাড়ী ভাড়া নিতে পারেন। তারাই আপনাকে ঘুরে দেখাবে পুরো সিলং।
উল্লেখযোগ্য জায়গা গুলো ঘুরে দেখতে পারেন। শহর থেকে ১৭ কি.মি. দূরে উমিয়াম লেকের ধারে আসা মাত্রই আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে। পাহাড়ের উপর কী করে এত বড় লেক তৈরী হলো তা এক অবাক বিশ^য়। স্থানীয় অনেকের কাছে এটি বড় পানি হিসেবে পরিচিত। চারিদিকে ঘিরে রয়েছে পাইন বনে ঢাকা পাহাড় আর ছোট বড় টিলা। ছবির মতো মনে হবে। লেকের পানিতে বোর্টিং এর ব্যবস্থা আছে। এখানে গড়ে উঠেছে ভারতের প্রথম ওয়াটার স্পোর্টস কমপ্লেক্স।
এরপর যেতে পারেন সিলং গালফ কোর্সে। এখানে যেতে হলে শহর থেকে কিছুটা নীচে নামতে হয়। এখানকার চারপাশের শোভা দূর্দান্ত। সারিসারি পাইনগাছে বেষ্টিত সবুজ ঘাসে ঢাকা এই কোর্সটি। পরের গন্তব্য সিলং পিক। যাওয়ার পথে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তা পাবেন। সিলং পাহাড়ের মাথায় ভিউ পয়েন্ট। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ১৯৬৫ মিটার। কুয়াশায় চারিদিক ঢাকা না থাকলে ওয়াচ টাওয়ারে উঠে পুরো সিলং শহরটাকে দেখতে পাবেন। দেখতে পারেন পাহাড় আর জঙ্গলের শোভাও। রাতের বেলা দেখতে পারেন আলোর ঝলমল পুরো সিলং শহর।
এরপর যেতে পারেন এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় এবং সুন্দর জলপ্রপাত এলিফ্যান্ট ফলস্ এ। শিলং এর আশেপাশে রয়েছে অসংখ্য ফলস্। যেতে পারেন ওয়ার্ডস লেকে। ফুলের বাগান আর গাছপালায় ঘেরা চমৎকার বেড়ানোর জায়গা। লেকে বোর্টিং এর ব্যবস্থা আছে। চাইলে প্রিয়জনকে নিয়ে বোর্টিং করতে পারেন। যেতে পারেন লেডি হায়দারি পার্কে, নানা প্রকার ফুলের দেখা মিলবে এখানে।
এছাড়া চিড়িয়াখানা, স্টেট মিউজিয়াম, ক্যাথলিক চার্চ, বাটার ফ্লাই মিউজিয়াম ঘুরে দেখতে পারেন। খেতে পারেন রাস্তার পাশের সুস্বাদু মোমো। স্থানীয় মেয়েরা মোমো নিয়ে বসে আছে রাস্তার পাশে। খেতে ভিষন টেষ্টি।
বাঙালিরা যেসমস্ত অঞ্চলে বসবাস করে ঘুরে আসতে পারেন সেই এলাকাটিও। আপনার ভারি ভালো লাগবে। তাদের সাথে আলাপচারিতায় আপনার সময় ভালোই কাটবে।