চলনবিল পর্যটকদের আকর্ষণ করছে। চলনবিল মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হরেক প্রজাতির পরিযায়ী পাখি, শাপলা ফুল আর মাছের সমারোহ। একইসাথে বছরজুড়ে দেশী প্রজাতির পাখিদের নিত্য আনাগোনা। মাছ-পাখির পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী চলনবিল আরো একটি কারণে পর্যটকদের আকর্ষণ করছে।
বর্ষা-শরৎ ও হেমন্ত মওসুমে বিলজুড়ে ফোটে সাদা, লাল, বেগুনি প্রজাতির শাপলা ফুল ও গুল্মলতা। এরমধ্যে নয়নাভিরাম মনোমুগ্ধকর লাল, সাদা ও বেগুনি শাপলা ফুলের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি। বর্ষা মওসুমে বিল-নদীতে প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নেয় শাপলা। আবহমান কাল থেকেই শাপলা মানুষের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারে পাওয়া যেত শাপলা ফুলের মধু (পদ্ম মধু) শালুক আর ঢেপের খইয়ের মোয়া।
চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক আনিস বলেন, এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য খুবই সুন্দর। এখানকার পদ্ম আমাকে মুগ্ধ করেছে।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক তানিশা জানান, এখানকার জলরাশি, পদ্ম, পাখির আনাগোনা তাকে খুবই মুগ্ধ করেছে। একইসঙ্গে এখানকার পরিবেশও খুবই ইউনিক।
কুমিল্লা থেকে আসা পর্যটক সবুজ হাওলাদার জানান, এটিকে প্রকৃতি আসলেই চমৎকারভাবে সাজিয়েছে । এখানে না আসলে এর প্রকৃত সৌন্দর্য বোঝা যাবে না।