ঢাকার হজরত শাহজালাল রহ. আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাপানের রাজধানী টোকিওর নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে চলতি বছরই ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ।
গত বুধবার বাংলাদেশ ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে যে আটটি বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করা হয় এর মধ্যে এই বিষয়টিও রয়েছে।
এদিন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার কার্যালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষি, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ আটটি চুক্তি ও সমাঝোতা স্মারকে সই হয়েছে। পরে দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ সংবাদ সম্মেলন।
ফ্লাইট চালু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চলতি বছরেই ঢাকা-নারিতা সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে ঢাকা-নারিতা সরাসরি বিমান চলাচলের ঘোষণা করতে পেরে আমরা খুশি।
ঢাকা থেকে সরাসরি আকাশপথে নারিতা যেতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা। এই ফ্লাইট চালু হলে ঢাকা থেকে জাপানের নারিতা বিমানবন্দরে যেতে ছয় ঘণ্টা সময় লাগবে। এতে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জাপানের নারিতায় ফ্লাইট চালু করতে কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে আসছিল বিমান। ফ্লাইট শুরুর বিষয়ে জাপান সরকারের অনুমোদনও বেশ আগেই পায় রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থাটি। প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর বিলম্বিত হওয়ায় এই ফ্লাইট চালুর বিষয়টিও বিলম্বিত হয়।
করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে সর্বশেষ সফরের পরে তিন বছর পর শেখ হাসিনা জাপান সফর করছেন।
প্রধানমন্ত্রী জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের সরকারি সফরে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকা ত্যাগ করেন। একই দিন স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাপান বিমানবন্দরে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানায় এবং গার্ড অব অনার প্রদান করে। সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত সময় পার করছেন।