মোট আগমনের ১৮ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সিরিয়া৷ এর পরেই আছে টিউনিশিয়া (১২ শতাংশ), মিশর (ছয় শতাংশ), গিনি (পাঁচ শতাংশ), পাকিস্তান (পাঁচ শতাংশ), সুদান (তিন শতাংশ), ইরিত্রিয়া (তিন শতাংশ), মালি (তিন শতাংশ) এবং গাম্বিয়ার (দুই শতাংশ) নাম৷
বেড়েছে সিরিয়ান অভিবাসী
এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি সিরিয়ান ইটালি পৌঁছেছেন৷ তখনও নতুন করে দেশটিতে সংঘাত শুরু হয়নি৷ ২০১৩ এবং ২০১৪ সালের পর এই প্রথম এত বেশিসংখ্যক সিরিয়ান সমুদ্রপথে ইটালিতে এসেছেন৷ চলতি বছর সিরিয়া থেকে আসা অভিবাসীদের ৭৭ শতাংশ পুরুষ, সাত শতাংশ নারী, ১১ শতাংশ শিশু এবং ৬ শতাংশ সঙ্গীবিহীন শিশু৷
নভেম্বরে আগমন বেড়েছে ৪২ শতাংশ
নভেম্বরে সমুদ্রপথে আট হাজার একশ জন অভিবাসী ইটালি পৌঁছেছেন৷ অক্টোবরের চেয়ে এ সংখ্যা বেড়েছে ৪২ শতাংশ৷ ওই মাসে সমুদ্রপথে ইটালি পৌঁছেছেন পাঁচ হাজার ৭২২ জন৷ ৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এই তথ্য প্রকাশ করেছে৷
চলতি বছর ইটালিতে অভিবাসী আগমন ২০২৩ সালের চেয়ে তুলনামূলক অনেক কমেছে৷ এ বছরের মাসের হিসাবেও দেখা গেছে আগমনের তারতম্য রয়েছে৷ ২০২৪ সালে জানুয়ারিতে দেশটিতে এসেছেন দুই হাজার ২৫৮, ফেব্রুয়ারিতে দুই হাজার ৩০১, মার্চে ছয় হাজার ৮৫৭, এপ্রিলে চার হাজার ৭২১, মে মাসে চার হাজার ৯৭৬, জুনে চার হাজার ৯০২, জুলাইয়ে সাত হাজার ৪৬৫, আগস্টে আট হাজার ৫২৬ জন অভিবাসী৷
লিবিয়ার উপকূল থেকেই এসেছেন বেশিরভাগ
নভেম্বরে ইটালিতে আসা অভিবাসীরা রওনা হয়েছেন লিবিয়া, টিউনিশিয়া, তুরস্ক এবং আলজেরিয়ার উপকূল থেকে৷ কিন্তু মোট অভিবাসীর ৭৬ শতাংই এসেছেন লিবিয়ার উপকূল থেকে৷
নভেম্বরে আসা অভিবাসীদের অন্তত ৭৫ শতাংশ ইটালির দক্ষিণের ছোট দ্বীপ লাম্পেদুসায় এসে পৌঁছেছেন৷
সমুদ্রপথে আসা বাকি ২৫ শতাংশ অভিবাসী পৌঁছেছেন ইটালির পোৎজালো, ত্রাপানি, জেনওয়া, রোকেলা আইওনিকা, রেজিও ক্যালাব্রিয়া, ক্রোটন, আওগুস্তা, কাতানিয়া, নেপলস, সিরাকুজে, ভিবো ভ্যালেন্তিয়া, লিভর্নো, লাম্পিওনি, পোর্তো পিনো, অর্তোনা, আনকোনা, পালেরমো, ব্রিন্দসি, সালেরনো, কাপো তেওলাদা, সিভিটাভেসিয়া এবং পুলায়৷
ইউএনএইচসিআর এর কার্যক্রম
অভিবাসীদের আগমন পয়েন্টে ইউএনএইচসিআর সক্রিয়ভাবে উপস্থিত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ ইটালির কর্তৃপক্ষ, জাতীয় এবং ইউরোপীয় সংস্থা এবং অন্যান্য অংশীদারদের পাশাপাশি জাতিসংঘের এই সংস্থাটিও সেখানে সহযোগিতা দিয়ে আসছে৷
সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে, নতুন করে আসা অভিবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করা, বিশেষায়িত পরিষেবার মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং দুর্বল ব্যক্তিদের শনাক্ত করে যত্ন-আত্তি নিশ্চিত করা৷
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন এবং সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছে ইউএনএইচসিআর৷ বিশেষ করে, সমুদ্রে অনুসন্ধান এবং উদ্ধার প্রক্রিয়া জোরদারের পাশাপাশি নিয়মিত অভিবাসনের পথ সহজ করতেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি৷