ঘুরতে যেতে কে না ভালোবাসি! আর তা যদি নামমাত্র খরচে হয়ে যায় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। তাই আমরা আজ এমন এক জায়গার সন্ধান দেব যেখানে ঘোরার ষোলোআনা মজা তো পাবেনই তার সাথে চট জলদি কর্মজীবনে ফিরেও আসতে পারবেন। প্রসঙ্গত, আজকে আমাদের ডেস্টিনেশন (Offbeat Destination) হল শান্ত-নিরিবিলি ঝড়খালি (Jhorkhali)।
তাই আর দেরি না করে কলকাতার কাছেই নিস্তব্ধ-নিরিবিলি এক জায়গা থেকে ঝটিকা সফর সেরে আসুন। শহুরে কোলাহল থেকে দিন কয়েকের বিরতি নিতে সুন্দরবনের এই জায়গা একেবারে আদর্শ হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এই অঞ্চলে রয়েছে ম্যানগ্রোভের জঙ্গল, সুন্দরী, গরান, গেঁওয়া সহ নানা ধরনের গাছ। একদিকে বয়ে চলেছে নদী অন্যদিকে ম্যানগ্রোভের সৌন্দর্য। সাথে একটি লঞ্চ ভাড়া করে নিলেই ঘুরে আসতে পারবেন গোটা সুন্দরবন।
ঝড়খালিতে কী দেখবেন? : এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল এখানকার বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্র। সুন্দরবনের কোনো বাঘ অসুস্থ হলে বা আহত হলে তাদের এখানে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসার পর আবার তাদের ছেড়ে দিয়ে আসা হয় ঝড়খালিতে। সপ্তাহে ছয়দিন খোলা থাকে এই কেন্দ্র। বাঘের পাশাপাশি দেখতে পাবেন কুমীর এবং চিতল হরিন।
সবে মিলিয়ে ঝড়খালির সৌন্দর্য হচ্ছে অতুলনীয়। তাই সুন্দরবন ঘোরার ইচ্ছে থাকলে বেরিয়ে পড়ুন এক্ষুণি। তবে মাথায় রাখবেন যে, সব জঙ্গল লাগোয়া নদীর খাঁড়িতে পর্যটকদের ঢোকা নিষিদ্ধ। সেখানে কেবল বনদপ্তর কর্মীদের যাওয়ারই অনুমতি রয়েছে। সাধারণ পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই বিধিনিষেধ। তবে কপাল ভালো থাকলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেখাও পেতে পারেন।
ঝড়খালি যাবেন কীভাবে? : কলকাতা থেকে সড়কপথে ৩ ঘন্টাতেই পৌঁছে যাবেন ঝড়খালি। রেলপথে গেলে আপনাকে শিয়ালদহ থেকে ক্যানিং লোকাল ধরতে হবে। সেখানে পৌঁছে ছোটগাড়ি বা বাস ধরতে হবে।
ঝড়খালিতে থাকার জায়গার বন্দোবস্ত কী? : রাজ্য পর্যটন বিভাগের রিসর্ট পাবেন এখানে। থাকা খাওয়া সমস্ত সুবিধাই রয়েছে এখানে। অন সিজনে গেলে আগে থেকে বুকিং করে নেওয়া ভালো।